লাইমুন নাহার সীমার কবিতা
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
বর্ষা, বলেছে সম্পাদনা পালন করো
বলেছে পেখম মেলে ময়ূরের মতো হও
বিজ্ঞাপিত করো ডানায় অজস্র যোনির প্রলোভন
বলেছে কারি ঘটা ঘেরি আয়ো ঘোর বাদরিয়া
শুধু ময়ূরের নাচ আর ব্যাঙের মিলন ঋতু লেখো
আয়োজিত বৃষ্টিতে যে লাল ধারার স্ট্রাইপ
সম্পাদনা বলছে ওবসন্তস্মৃতি ফাগের আবীর
বর্ষা বলো বর্ষা করো ললিত পলিতে ঢাকা
মানচিত্রের ক্ষত চিহ্ন দখলের প্রয়োজনে
কবির চোখের সামনে ভেঙে পড়ছে মেঘদূত
মেক্সিকান বৃদ্ধ গাইছে ঝমঝম গিটার বাজিয়ে
সাথে ফলুট আর ড্রাম বাজাচ্ছে মেক্সিকোর প্রৌঢ়া
গানের ঢেউয়ে যুবক যুবতীরা হয়েছে জোড়ে নাচিয়ে
তাদের বুক দুটি দুলছে,পায়ের ডিম, নিতম্ব বেশ চওড়া
এদিকে লম্বা গির্জা ওদিকে ঢাউস জিউস মিউজিয়াম
আকাশকে চুমু খেতে পর পর বিল্ডিং উঠেছে চারপাশে
চত্বরে নাচের নেশা লেগেছে পায়ে তুমুল তুলকালাম
লেসবিয়ান মেয়ে দুটি চুম্বনে, পরস্পরকে ভালোবেসে
আমার দুই সঙ্গিনীও চলে গেল সেই টানে নাচের চত্বরে
নাচে কালো সাদা মাজা ইন্ডো চীনা আমেরিকান
আমারো হামেশা ইচ্ছা যুগ্মনাচ ওরকম হাতে হাত ধরে
স্মরণে আসে কলকাতা সাথে তার ডায়রি ভর্তি গান
ফুটপাতে মাইক রাণুছায়ার খোলা মাচা রবীন্দ্র সদন
নিজেরা যা ইচ্ছা বাজাও আমাকে দাও হারমনিয়াম
বহুদিন ক্যালকেশিয়ান হলেও একদা গ্রামের মদন
একটানা গেয়ে দেবে বেঁধে থোয়া তিন কুড়ি গান
বার বার মেপে দেখব অক্ষমতা, তাইতো কবিতা
তাড়নার স্বমেহন ভবিতব্য, নিয়তি, এই লেখাজোখা
আর বাতিল বাতিল বলে মর্মন্তুদ নিঃশব্দ চিৎকার
পিছল পিছল ক্যানভাসে যখনই গাঁথাগাঁথি
দোলাচলে প্রান্তিক নিয়তি বাধ্যতে কর্মকার
যখনই মন পবনে পাল খুলে এগিয়েছে নাও
যখনই পুরবাসীর শঙ্খ সাজ দাও উলু দাও
তখনই পায়ে কেউ ঠেলে দেয় ফেলে
স্বর্ণ কলস ভরা ধান
বিবাহ সম্পূর্ণ, মণ্ডপে বাহ্যিক ধ্বনি তোলে কেউ
ওদিকে অন্তঃপুরে অকৃতকার্যের খান খান
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..