যাযাবর
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
আমার স্পর্ধা’কে ক্ষমা করো…
আসলে কেও ডাকেনি তোমার মতো করে
গীটারের তারে আঙুলের স্পর্শ
আমি এবং আমরা, আগামী খেয়ালে ফসল ফলাবো!
প্রতিদিন বোঝাপড়া প্রতিবার বেঁচে ওঠা
অভাগী একাকীত্বে মুছে যায় কাজল দু’টি আঁখি
কোনো থিম নেই— নেই ক্যাপশন
তোমার হাতে ভবিষ্যতের দিনলিপি!
বারবার বন্ধুত্বের উদাহরণ, বড় বেমানান…
আকাশী নীল রঙ জামা আর মুঠোফোনে ছবি
এখন তুমি হাইস্পীডে, সেই প্রিয় মুখটি ভেসে ওঠে
ফিরে আসতেই হবে- দেখো, কবিতারা কেমন সত্য হয়ে যায়!
বিশাল আকাশ, নত হই বটবৃক্ষের ছায়ায়…
উদারতার শেষ শব্দটি হাত পেতে নিলাম
সব সত্যি সত্য নয় কিংবা সব মিথ্যে বেঠিক
অন্ধকার নেমে আসছে তোমার শহরে, আজ আলোয় বড্ড পিপাসা!
জানানার ওপাশে পাহাড়টার কাঁধ ঘেসে যখন মেঘেরা আসে
তখন মরুভূমির সূর্যাস্তে চিঠিগুলো পুড়ে হয় ছাই
লেপটপের সামনে এখন আঙুলের ফাঁকে কফির মগ!
ইয়ারফোনে গান আর কিছু ভেজা স্মৃতি
কাঞ্চনজঙ্ঘায় এই শরতের শেষবেলা, কুয়াশায় ধূসর
গাড়ি চলছে পেছনে ফেলে-আসা কাঁচের মুখোশে!
দেখা হোক বা না হোক আমরা বন্ধু…
মন কেমনতর, মনের ঠিকানা নিজেই জানে না
আমিও যাবো, ঠিক পাশে বসে তারাদের ঠোঁট ছুঁয়ে ছুঁয়ে!
নীরবতারাও নীরবে আজ ভীত…
পড়ে-থাকা মাছের কঙ্কাল, আর কিছু উচ্ছিষ্ট
চলো শুধু একবার, কথাগুলো মনে করো!
ভালোবাসা অনৈতিক হয় না…
ভালোবাসা ভালোবাসা-ই, নদী হতে চাই নিঃশব্দে বুকে
একটি ছোট্ট ঘর, নরম এবং বাকিটুকু গভীরে!!
আমি মনে মনে কোনো ধর্ম’কে লালন করি না
তবুও একটা আছে, দেশ আছে
নথিপত্র ঘাটা হয়, সীমান্তে কাঁটাতার!
ঐশ্বর্যবিহীন পাখিদের নির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা নেই
বিধান যাজকরা বেঁধে রাখতে পারেননি ভালোবাসা’কে
যদি প্রতীকী হয় তা, তবে ঘৃণা করি তাকে!
আকাশ তো তুমি আমি সবাই দেখি
তবে সীমান্তবর্তী মোহ-মায়া কেনো…
ব্লাক কফির স্বাদে তুমি আজও দেখো নগ্নতা!
যখন ধীরে-ধীরে সরষে ক্ষেতে হলুদ ফুলে ভরে যায়
তখন ঠোঁটে ফুটে ওঠে এক বিস্ময়কর অনুভূতি
প্রার্থনা ঘরে ভেদাভেদ মানা হয় না!
চাষীদের ঘামের গল্প ফসলে লেখা থাকে না…
কিন্তু সুখ খোঁজা হয় বিলাসিতার ঐহিত্যে
হয়তো তোমার অনেক কিন্তু আমি কপর্দকহীন হয়ে শবযাত্রায় যাবো!
বাতি নিভে যায়, আবার জ্বলে
নেভানো বাতির নীচে দাঁড়িয়ে
একটি অনন্তকালের পদযাত্রা!
আমি ভুল করি, না ভোলার জন্যে
সেদিন সব সত্য ছিলো না
জন্ম ও জন্মভূমি’কে অস্বীকার করা যায় না!
স্মৃতির ঘুমে ডুবে যেতে যেতে
বিষণ্ণ পোকামাকড়, কবিতার মঞ্চে করতালি বাজায়
ঝাঁঝাঁলো রোদে কচিপাতা দুমড়ানো চিরকুটে পুরোনো ঠিকানা!
মেঘ-বৃষ্টি এক হয়ে জনসমুদ্রে মিশে
ফুটপাত, যানজট ঠেলে এগিয়ে যাওয়া
অবিভক্ত ভালোবাসার পদতলে তখন একমুঠো দৈন্যতা!
সব কিছুর হিসেব হয় না
ফিরিয়ে দাও অসমাপ্ত মুহূর্তগুলো
মন ভাঙে, তবুও মনের কষ্ট বেঁচে থাকা!
আধো ঘুম, আধো প্রেম
আঙুল ধরলেও হাতটা সরে যায়
প্রিয় ধূসর রঙটা আজ বড্ড বেশি খসখসে!
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
কবি গো ওওও,আর যত গুণীজন কি দিয়ে পূজি তোমাদের চরণ আমি যে অভাগা জানি না…..
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..