প্যাটাক্যুয়রিক্যাল নাইটশোয়ে আপনাকে স্বাগতম (শেষ পর্ব )
ইংরেজি ভার্সান এখানে >>> Welcome to the Pataquerical Night Show (Last Episode) পূর্ববর্তী পর্ব এখানে>>>…..
সিজারের মেজাজটা আজ কয়দিন থেকে খারাপ হয়ে আছে। হৃদিতাকে নিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকা সাজার কল্পনার খেলাটা সাকসেসফুল হলো না সেদিন। তাই এর পরের পর্ব, স্বামী-স্ত্রীর খেলাটা কবে খেলতে পারবে তা বলা যাচ্ছে না। সিজার আর অপেক্ষা করতে পারছে না। তার অস্থির লাগছে। এতো সময় সে হৃদিতাকে দিচ্ছে, এতোকিছু করলো ওর বিশ্বাস জেতার জন্য অথচ সিজারের প্রতি হৃদিতার ভালোবাসাটা সেই মুগ্ধতাতেই আটকে থাকছে। এটা কিছুতেই শারীরিক আকর্ষণে রূপান্তরিত করা যাচ্ছে না। মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েড বলেছেন, নারী-পুরুষের পারস্পরিক আকর্ষণ মানেই শারীরিক আকর্ষণ। সিজার যদি কথাটাকে সত্যি বলে ধরে নেয় তাহলে আশা করা যায় হৃদিতার মনের অভ্যন্তরে ওর জন্য শারীরিক আকাঙ্ক্ষা সুপ্ত অবস্থায় আছে। সেই ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরিকে জাগাতে হবে সেলিমের। এই চেষ্টায় ও প্রথমবার সফল হয়নি কিন্তু তাই বলে দ্বিতীয়বারও হবে না, এমন মনে করার কোন কারণ নেই।
সিজার তাই সেদিন সন্ধ্যায় নিজেই ফোন করলো হৃদিতাকে। গল্প করার এক ফাঁকে সে হৃদিতাকে একটা এডাল্ট জোক শোনালো। হৃদিতা হাসলো না কিন্তু রাগও করলো না। শুধু টেলিফোনের অপর প্রান্তে গভীর নিস্তব্ধতা নেমে এলো। সিজার প্রথমে ভাবলো, হৃদিতা ফোন রেখে দিয়েছে কিন্তু মোবাইল স্ক্রিন বলছে হৃদিতা এখনও সিজারের সাথে কানেক্টেড। সিজার তাই কথা ঘোরায়,
-হাসলি না যে! সিরিয়াস মুডে আছিস? তাহলে একটা সিরিয়াস গল্প শোন।
সিজার বর্তমানে যে রোমান্টিক ধাঁচের রহস্য উপন্যাসটা পড়ছে সেটা নিয়ে কথা বলা শুরু করলো।
টেলিফোনের অপর প্রান্তে হৃদিতা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে এবার, সিজারের অন্তত তাই মনে হয়। হৃদিতা এখন আবার স্বাভাবিক গলায় টুকটাক প্রশ্ন করে গল্প শুনতে শুরু করেছে। সিজার ইচ্ছা করেই গল্প শেষ করার পর আবার একটা এডাল্ট জোক শুরু করলো। এতো সহজে হৃদিতাকে ছাড়বে না সে আজ। কিন্তু কৌতুকটা শেষ করার আগেই হৃদিতা বিষন্ন গলায় বললো,
-সিজার! তুমি আমায় কথা দিয়েছিলে, এসব কথা বলবে না। আমি তোমাকে বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু তুমি আবার বলছো। আমার খুব মন খারাপ লাগছে।
-আশ্চর্য! এটুকুও বলা যাবে না। আমি তো তোকে ব্যক্তিগত ভাবে কিছু বলছি না, একটা কৌতুক বললাম মাত্র। এমন না যে, এই কৌতুকটা আমি উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে তোকে শোনাবো বলে নিজে তৈরি করেছি। এই কৌতুক আমি শুনেছি আমার এক বন্ধুর মুখে। ভাবলাম, হাসির জোক, তোর শুনলে ভালো লাগবে। অথচ তুই সম্পূর্ণ উল্টোভাবে রিএ্যাক্ট করছিস! এটুকুও তোর সাথে শেয়ার করা যাবে না?
-না, যাবে না।
-তাহলে তোর সাথে আমি কি নিয়ে গল্প করবো? ফুল, গাছ, লতা,পাতা নিয়ে গল্প করবো? হৃদিতা! একজন পুরুষের পক্ষে এই অভিনয় দীর্ঘদিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। বিশেষ করে এমন একজন নারীর সাথে,যাকে সে তার টুইন মনে করে। যে নারীকে সে প্রচন্ডভাবে আপন মনে করে।
সিজারের কথা আজ হৃদিতা আগের মতো মেনে নিলো না। কারণ, লাইজুর কথাগুলি আবার ওর মনে পড়ে গেছে। ও তাই বললো,
-কেনো একজন পুরুষের পক্ষে একজন নারীর সাথে দীর্ঘদিন ফুল, লতা-পাতা নিয়ে কথা বলা কঠিন? কেনো এটা অভিনয়? আমাকে বোঝাও।
-গত পরশু ডিসকভারি চ্যানেলে একটা প্রোগ্রাম দেখাচ্ছিলো। নারী এবং পুরুষের ভাবনা জগতের তুলনামূলক আলোচনা। দেখেছিস?
-না।
-ওরা নানা রকম থিওরী আলোচনা করলো। সেসব আলোচনায় আমি এখন যাচ্ছি না। আমি শুধু ওদের দেখানো হাতে আঁকা দুইটা ছবির কথা তোকে বলবো। ওরা প্রথমে একটা নারী মস্তিষ্কের ছবি দেখালো। সেখানে অনেক কিছু আছে। প্রেম, স্নেহ, রাগ, ক্ষোভ, স্বপ্ন,যৌনতা, নানানটা। কিন্তু যখন একজন পুরুষের মস্তিষ্ক দেখালো, তখন দেখা গেলো, সেখানেও নারীটির মতো নানা অনুভূতির ক্ষেত্র রয়েছে। কিন্তু মস্তিষ্কের সিংহভাগ দখল করে রেখেছে যৌনতা। ওরা যেটা ছবি এঁকে দেখালো সেটা শতভাগ সত্যি। এখন আমি একজন পুরুষ মানুষ। আমার সাথে গল্প করতে আসলে এসব গল্প আমি করবোই। তোকে মেনে নিতে হবে। যদি মেনে নিতে না পারিস তবে আমাকে আর ফোন করবি না।
-তুমি এসব কথা আমাকে বলবেই? কোনভাবে এগুলি বাদ দেয়া সম্ভব না।
-না, সম্ভব না। গরুর মাংস দেখেছিস কখনও, খেয়াল করে? কিছু মাংসে চর্বি এমনভাবে মেশানো থাকে যে তা মাংস থেকে আলাদা করা যায় না। পুরুষ মানুষও তেমনি। এদেরকে তুই কখনও যৌনতা থেকে আলাদা করতে পারবি না। আমি তো তোর জন্য প্রকৃতি বিরুদ্ধ আচরণ করতে পারবো না। আমার সে ক্ষমতাও নেই। আমি অনেস্ট মানুষ। শুধু শুধু মিথ্যা কথা বলে তোর মাথা খাওয়ার কোন পরিকল্পনা আমার নেই। তোর যদি এসব এডাল্ট গল্প শোনার মতো মনের জোড় না থাকে তুই আমাকে ফোন করবি না।তাছাড়া আমি ইদানিং খেয়াল করছি তুই আমাকে কেমন সন্দেহ করছিস? নানা কথা দিয়ে আমাকে মাপার চেষ্টা করছিস। আমি তোকে দোষ দিচ্ছি না। তুই একটা অল্পবয়সী সুন্দরী মেয়ে। কোন পুরুষ কেমন সেটা যাচাই করে তবেই তো মিশবি তুই। ঠিকই আছে। কিন্তু কেউ আমার কথা দিয়ে সারাক্ষন আমাকে মাপামাপি করবে, বোঝার চেষ্টা করবে আমি ভালো না মন্দ মানুষ, এটা আমার পক্ষে সহ্য করা সম্ভব না। কারণ, আমি জানি আমি কতোটা সৎ মানুষ। সৎ থাকাটা খুব সহজ কাজ না হৃদি। প্রতি মুহূর্তে নিজের লোভগুলিকে গলা টিপে মারতে হয়। সংযমের চাকুটায় প্রতিনিয়ত ধার দিয়ে চলতে হয়। একটু বেখেয়ালি হবি তো তোর সংযমের ধার চলে যাবে। তুই লোভকে কচুকাটা করতে পারবি না। এই কঠিন কাজটা আমি সারাজীবন করে এসেছি। এটা করতে গিয়ে নিজেকে অনেক কষ্ট দিয়েছি যে আমি, সেই আমি তোর ক্ষতি করবো, তোর মনে হয়? তোকে নিয়ে আমার কোন অসৎ উদ্দেশ্য নেই। আমি তোকে ভালোবাসি আর তুই আমার টুইন, তাই আমি কোন বাঁধা না রেখে সরল আবেগে তোর দিকে এগিয়ে গেছি কিন্তু তুই আমাকে নিতে পারলি না হৃদিতা। আমাকে সন্দেহ করলি! এমন একজনকে সন্দেহ করলি, যে তোর নিজের অংশ। তোর টুইন। আচ্ছা বল, তুই কি খারাপ? আমাকে নিয়ে তোর কোন অসৎ উদ্দেশ্য আছে? তবে আমার কেনো তোকে নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য থাকবে? আমি একটা কৌতুক বললে তুই সহজ ভাবে নিতে পারছিস না, হৃদি! আমার খুব অপমান লেগেছে, খুব। তুই আমায় আর ফোন করিস না। আর যদি করিস তবে এটা মাথায় রেখে করবি যে, আমি একজন পুরুষ মানুষ। পুরুষ মানুষরা এ ধরনের কথা বলবেই। সে একজন মেয়ের মতো করে কথা বলতে পারবে না। তারমানে এই না যে, সেই পুরুষ মানুষটা একজন লম্পট পুরুষ মানুষ!
হৃদিতা মোটামুটি স্তম্ভিত! সিজার কখনও তার সাথে এভাবে কথা বলেনি। তাছাড়া সিজারের কথাগুলিতে সে ভালোরকম ধাক্কা খেয়েছে। কারণ কয়েকদিন আগেই সিজার তাকে বলেছিলো, হৃদিতার যেসব কথা খারাপ লাগে সেসব কথা ও কখনও বলবে না। অথচ আজ তার কথার সুরই বদলে গেছে। সে হৃদিতাকে নোংরা কৌতুক শোনানোর দাবি জোর গলায় জানাচ্ছে! তবে কি লাইজুর কথা সত্যি? হৃদিতার কষ্টে দম বন্ধ হয়ে আসছে এটা ভাবতে যে, সিজারকে নিয়ে লাইজুর কথা সত্যি হতে চলেছে। হৃদিতা তার মনের সবটুকু জোড় গলায় ঢেলে বললো,
-ঠিক আছে। আমি আর কখনও, কোনদিন তোমার সাথে গল্প করতে আসবো না।
শেষের দিকে নিজের অজান্তেই কান্নায় ওর গলা বুজে এলো। নিজের ওপর বিরক্ত হয়ে ফোন কেটে দিলো হদিতা কিন্তু ওর মনটা ওকে বিরক্ত করতেই থাকলো। ও কিছুতেই কান্না থামাতে পারছে না। বিশ্বাস ভাঙ্গার মতো ব্যাথা আর কিসে আছে!
হৃদিতা ফোন রেখে দেয়ার পর সিজার একটু চিন্তায় পড়লো। সে হৃদিতাকে কিছুটা মানসিক চাপে রাখার জন্য আজকের এই রাগটা দেখিয়েছে। হৃদিতা মানসিকভাবে ওর ওপর যতোটা নির্ভরশীল তাতে করে সিজারের সঙ্গ ছাড়া ও খুব বেশিদিন থাকতে পারবে না। কিন্তু যদি পেরে যায়? যদি আর ফোন না করে? সিজার এতোদূর এসে হেরে যাবে? নাহ! হৃদিতা ওর সাথে কথা না বলে কিছুতেই থাকতে পারবে না। নিজেকে প্রবোধ দেয় সিজার। ও যা করেছে ঠিক করেছে। খেলায় ঝুঁকি না নিলে কখনও জেতা যায় না। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। হৃদিতাকে নিয়ে যে খেলা সিজার শুরু করেছে সে খেলায় ও জিতবেই। ওকে জিততেই হবে।
কিন্তু সাতদিন পার হয়ে গেলো হৃদিতা ফোন করলো না। সিজার অবশেষে নিজেই ফোন করলো কিন্তু হৃদিতা ফোন রিসিভ করছে না। এমনকি সিজার প্রায় দশ বারোবার ফোন করার পরও না। শেষে সিজার একটা টেক্সট করলো হৃদিতাকে। সেখানে লিখলো,
“জীবনে এমন অসহায় নিজেকে আর কখনও মনে হয়নি। আর কারো কাছে আমি এভাবে হাত পাতিনি বেহায়ার মতো। তুই যদি আমার এই ফোনটা না ধরিস আমি আর কোনদিন তোর সাথে কথা বলবো না। দেখা হলেও না। মনে রাখিস, আমি যা বলি তা করি।”
এবার হৃদিতা ফোন রিসিভ করলো। সিজার বললো,
-তুই কি করে পারলি হৃদি, বলতো? আমার ফোন তুই রিসিভ না করে কিভাবে থাকতে পারলি! আমি স্তম্ভিত!এতোটুকু মেয়ে, তার ব্যক্তিত্বের কি জোড়! আমি শুধু দেখলাম। আমি শুধু তোর শক্তি দেখে গেলাম। তুই আমার অনেক ছোট। তবু তোর প্রতি শ্রদ্ধায় আমার মাথা নত হয়ে আসছে। ভালো থাকার জন্য, শুদ্ধ থাকার জন্য তোর এতো সংযম? সত্যি হৃদি, তুই এমন হবি, আমার মন জানতো। কারণ তুই আমার টুইন। তোর তো এমনই শুদ্ধ আর সুন্দর হওয়ার কথা। তুই যদি এমন শুদ্ধতার ভক্ত না হতি তবে আমার টুইন হলেও আমি তোকে ছেড়ে দিতাম। তোকে এমন আঁকড়ে ধরতাম না। তুই কি স্ট্রং একটা মেয়ে হৃদিতা! আমাকে ফোন না করে থাকতে তোর নিশ্চয় খুব কষ্ট হয়েছে তবু তুই আমাকে ফোন করিস নাই, শুধু পুরুষসুলভ গল্পগুলি শুনতে হবে বলে? তোকে স্যালুট।
সিজারের এতো উচ্ছ্বাসের জবাবে হৃদিতা খুব শান্ত গলায় বললো,
-তুমি ভালো আছো?
-না রে! ফুটবল খেলতে গিয়ে পা মচকে ফেলেছি। ব্যাথা পেয়ে প্রথমেই তোর কথা মনে এলো। বিশ্বাস কর, ব্যাথা পাওয়ার পর জীবনে প্রথমবারের মতো মুখ দিয়ে ‘মা ‘’ শব্দটার পরিবর্তে তোর নামটা বের হয়ে এলো। আশেপাশের সবাই এগিয়ে এসে বললো- স্যার! চলেন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই।
আমি গেলাম না, জানিস। আমি তোকে ফোন করলাম।কিন্তু তুই ধরলি না। আমি মাঠের এক কোনায় বসে আছি এখনও। ঠিক করেছিলাম তুই ফোন না ধরা পর্যন্ত আমি ডাক্তারের কাছে যাবো না। তুই যদি আজ ফোন না ধরতিস, আমি সত্যি যেতাম না।
এবার হৃদিতার গলায় মায়া ঝড়ে পড়ে, সেইসাথে বিস্ময়,
-তুমি কি পাগল সিজার! তুমি ডাক্তারের কাছে না গিয়ে বসে বসে আমায় ফোন করছো? প্লিজ ডাক্তারের কাছে যাও। তোমার আশেপাশের ছেলেগুলিকে বলো তোমায় নিয়ে যেতে।
-বলবো রে। ওরা আমাকে নিয়ে যাবে বলে এখনও অপেক্ষা করে আছে। আগে তুই আমার কাছে আয়। আমার ডান পায়ে একটু হাত বুলিয়ে দিয়ে যা মনে মনে।তুই স্পর্শ করলেই আমার পা ঠিক হয়ে যাবে হৃদি। দিবি না? আমার মা বেঁচে থাকলে নিশ্চয় আমার পায়ে হাত বুলিয়ে দিতেন।
-আমি মনে মনে তোমার পায়ে হাত বুলিয়ে দিয়েছি। এবার যাও।
-আরেকবার প্লিজ।
-ওকে। আরেকবারও দিলাম।এবার যাও তুমি ডাক্তারের কাছে। আমাকে জানিও কি হলো।
সিজার হাসে,
-নিশ্চয় জানাবো।
হৃদিতা ফোন রেখে দেয়ার পর সিজার একটা শান্তির নিঃশ্বাস ফেলে। যাক! হৃদিতা তার পা মচকানোর ব্যাপারটা বিশ্বাস করেছে। ওর প্রতি জানানো সিজারের শ্রদ্ধাটাও নিশ্চয় দু’ হাত পেতে গ্রহন করেছে। মেয়েদের সংযমী বললে মেয়েরা খুব খুশি হয়।
হৃদিতার সাথে সিজারের কথোপকথন বন্ধ হতে গিয়েও হলো না। সিজার হতে দিলো না। সে নতুন করে আবার গাড়ি চালু করেছে। ঝিকঝিক করে এই ট্রেন এখন চলতে শুরু করেছে আবার …আবারও!
ইংরেজি ভার্সান এখানে >>> Welcome to the Pataquerical Night Show (Last Episode) পূর্ববর্তী পর্ব এখানে>>>…..
ইংরেজি ভার্সান এখানে >>> Welcome to the Pataquerical Night Show (Episode-5) পূর্ববর্তী পর্ব এখানে>>> শেষ…..
ইংরেজি ভার্সান এখানে >>> Welcome to the Pataquerical Night Show (Episode-4) পরবর্তী পর্ব পড়ুন এখানে>>>>…..
আগের পর্ব পড়ুন এখানে: >>> বাদল মেঘের আলোয় (পর্ব ১২) কবির আর গওহর স্বাভাবিক দাম্পত্য…..