ইমন কল্যাণ
পরিচ্ছেদ ৬ অনেক রাতে ফিরেছিল কল্যাণ ওরফে শহীদুল।গাড়িটা শেডে রাখার পর দু’বার হালকা করে মা…..
হৃদিতা নিজের অজান্তেই সিজারকে নিয়ে তার সন্দেহটা কখন যেন হারিয়ে ফেললো। সিজারের পায়ে ব্যথা পাওয়া, তারপর হৃদিতার প্রতি তার মানসিক নির্ভরতার শিশুসুলভ প্রকাশ, হৃদিতার সন্দেহের ওপর পর্দা ফেলে দিলো আবার। হৃদিতার অবচেতন মনও হয়তো এটাই চেয়েছিলো।
সিজার তার অসম্ভব প্রিয় একজন মানুষ। ছোটবেলা থেকেই সিজারের প্রতি মানসিকভাবে নির্ভরশীল হৃদিতা। সেই সিজার একজন সুযোগসন্ধানী, মন্দ লোক, এটা ভাবতে ওর কষ্ট হচ্ছিলো। প্রিয়জনের ক্ষুদ্রতা মেনে নিতে গেলে হৃদয়টা বহু খন্ডে খন্ডিত হয়ে যায় কষ্টে, আফসোসে! হৃদিতা সিজারকে সন্দেহ করা বন্ধ করে ওর হৃদয়টাকে খন্ডিত হওয়া থেকে বাঁচিয়েছিলো হয়তো।
সিজারও দীর্ঘ বিরতির পর হৃদিতাকে পেয়ে প্রগলভ হয়ে উঠলো। সে নিজের আবেগ প্রকাশে আর কোন রকম জড়তা রাখছিলো না। সিজার বললো,
– তোর কন্ঠস্বরটা কেমন জানিস?
– কেমন?
– চা এর মতো। যাদের চা এর নেশা আছে, তাদের সকাল- সকাল চা না হলে চলে না। তুই যখন ফোন করা বন্ধ করে দিয়েছিলি, তখন ভোরবেলা ঘুম ভাঙ্গলেই আমার অস্থির লাগতো। আগের মতো তোর ফোন পেয়ে কেনো ঘুম ভাঙ্গছে না, এটা ভেবে রাগ হতো। “গুড মর্নিং নাইস নাইস! ” – তোর এই কথাটা শোনার জন্য আমার প্রায় তখন পাগল পাগল লাগতো মাথা। ব্যাপারটা অনেকটা চা এর নেশার মতো।
হৃদিতা বলে,
–আমার এক বান্ধবীর কন্ঠস্বর আমার মতো। মানে, ফোনে শুনতে একরকম লাগে আরকি। অনেকে বলেছে এটা। কৈ, ওর কন্ঠ শুনে তো আমার কখনও নেশা লাগলো না।
– অসম্ভব! পৃথিবীর কোন মেয়ের কন্ঠস্বর তোর মতো হতে পারে না। আমি বিশ্বাস করি না। যারা বলেছে তারা কোন কারণে মিথ্যা বলেছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সিজারের কথাটাকে রসিকতা ধরে নিয়ে সশব্দে হাসে হৃদিতা। সিজার হাসে না। সে গভীর গলায় বলে,
– হৃদি! তুই আমায় ফেলে কখনও চলে যাস না।
হৃদিতা সাথে সাথে উত্তর দেয় না। কিছুক্ষণ ভাবে। তার সিজারকে কিছু কথা বলার ছিল। এখন কি বলবে? একটু ভেবে হৃদিতা বলাই মনস্থির করলো। সে বললো,
–সিজার! তোমাকে বিশ্বাস করতে চাই। অবিশ্বাস করলে আমার এতো অস্থির লাগে যে আমি এটা বেশিক্ষণ সহ্য করতে পারি না। ধরো, তোমায় যদি কেউ প্রমাণসহ বলে, তোমার মা চরিত্রহীনা। তবে সেটা মেনে নিতে তোমার খুব কষ্ট হবে, তাইনা? ব্যাপারটা অনেকটা সেরকম। তুমি আমাকে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা বলছো, এটা আমি নিজের ভালো থাকার স্বার্থেই ভাবতে চাই না। তোমার প্রতি আমার এই আকর্ষনের কোন কারণ আমি জানিনা। এটা কোথা থেকে যেন স্রোতের মতো আসে।
হৃদিতাকে কথার মাঝপথে থামিয়ে দেয় সিজার বলে,
– হৃদি! এমনই হওয়ার কথা। তুই আর আমি আসলে দুইটা মানুষ নই, একটা মানুষ। আমাদের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ কাজ করবে, এটাই স্বাভাবিক।
হৃদিতা বলে,
– সমস্যা সেটা নয়। সমস্যা হচ্ছে, এটা তুমি আর আমি মেনে নিচ্ছি, কিন্তু সবাই মানবে না। আমাদের এই ফোনালাপ শুনলে আমার মায়ের মাথায় বাজ পড়বে। মিতা খালামনি, তনু, পরিবারের বাকি সবাই আমাদের দুজনকে খারাপ বলবে।
– সুইট! সুইট! এটা নিয়ে তোর আগেই আমি অনেক ভেবেছি। এইজন্য তোকে আমি আজ কিছু কথা বলবো। মনোযোগ দিয়ে শুনবি। না বুঝলে প্রশ্ন করবি, ওকে?
– হুম।
– দ্যাখ, মানুষের এই জীবনটা খুব রহস্যময়! আমরা কে, কোথা থেকে দুনিয়ায় এলাম, আবার মৃত্যুর পর কোথায় চলে যাবো, সব প্রমাণ সহ কিন্তু জানিনা। এসব নিয়ে কিছু মানুষ যুগ যুগ ধরে কথা বলে গেছে কিন্তু কথাগুলির স্বপক্ষে শক্তিশালী প্রমাণ দেখাতে পারে নাই। কারণ আমরা চাইলেও জন্মের আগের মুহূর্তে চলে যেতে পারিনা। মৃত্যুর সময় কাউকে বলতে পারিনা যে- চলেন ভাই! আমার সাথে চলেন। দেখে আসবেন ব্যাপারটা কি!
এই কারণে প্রত্যেকটা ধর্মীয় মতবাদ বিতর্কিত। কারণ ধর্মকে সাধারণ মানুষের চোখ বুজে বিশ্বাস করতে হয়। তারা প্রমাণ পায় না। যারা সাধারণ মানুষ নন, তাঁরা প্রমাণ পান। এই বিশেষ মানুষগুলি কারা? তাঁরা হলেন নবী, পীর, আউলিয়া, সাধু, সন্ন্যাসী – এসব মানুষ। আমার বাবাও ছিলেন এমন মানুষ। তুই কি জানিস, গৌতম বুদ্ধ তিনশ বার পৃথিবীতে এসেছিলেন? এমনকি একবার এসেছিলেন গুবরে পোকা হয়ে! গৌতম বুদ্ধের মতো মানুষের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে তোর – আমার কি অবস্থা ভাবতে পারিস! কতোবার, কতোরূপে এই পৃথিবীতে আসবি হৃদি? পৃথিবী একটা পরীক্ষার জায়গা। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারলে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসতে হয় শাস্তি স্বরূপ।তারপর আবার এক জ্বালা -যন্ত্রণার জীবন পাড় করতে হয়। যতোদিন না তুই এই পরীক্ষায় পাশ করবি, তোকে বারবার আসতেই হবে। এই পৃথিবীতে আমি এবারের পর আর ফিরে আসতে চাইনা। আর তোকেও আমার সাথে নিয়ে যেতে চাই।
–বুঝলাম না। কোথায় যাওয়ার কথা বলছো?
–পৃথিবীর পরীক্ষায় পাশ করে যায় কিছু মানুষ। মৃত্যুর পর সেইসব মানুষ যেখানে যায়,সেখানে। তুই কি জানিস, আমরা সব মানুষেরা একসময় এক বৃহৎ আদি শক্তির অংশ ছিলাম? আমাদেরকে সেই আদি শক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন করে এই পৃথিবীতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তারপর একেকটা মানুষের জন্য একেক ধরনের পরীক্ষার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এই পরীক্ষায় যে পাশ করে সে মৃত্যুর পর আবার সেই আদি শক্তির সাথে মিশে যাওয়ার সুযোগ পায়।
হৃদিতা বলে,
– সেই আদি শক্তির সাথে মিশে কি লাভ হবে?
– আহ্! হৃদি! সেটাই তো সুখ! সেটাই আসল সুখ! পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ অতৃপ্তি নিয়ে বেঁচে থাকে, খেয়াল করে দেখিস। সবাই সুখের জন্য ছটফট করছে। সুখ পাওয়ার জন্য নানানটা করছে কিন্তু সুখি হতে পারছে না। কেউ কেউ সুখি হলেও হচ্ছে অল্প সময়ের জন্য, সাময়িকভাবে। দীর্ঘমেয়াদী সুখ কারো কপালে জোটে না। আসলে কি জানিস, মানুষ কখনও পৃথিবীতে সুখি হতে পারবে না। এটাই তার ভবিতব্য। মানুষ সুখি হবে তখন, যখন সে তার আদি শক্তির সাথে মিলিত হতে পারবে। মানুষেরা পৃথিবীতে আসার আগে এই মিলনের সুখের সাথে পরিচিত ছিল। কারণ সে এই আদি শক্তির অংশ ছিল। যখন সে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথিবীতে আসে তখন থেকে তার বিরহ পর্ব শুরু হয়। সে অতৃপ্তি আর হাহাকার নিয়ে পৃথিবীতে বেঁচে থাকে। এই হাহাকার দূর করতে কেউ টাকার পেছনে ছোটে, কেউ ভোগের পিছনে। কেউবা নানা সৃষ্টিশীল কাজ করে। গান গায়, ছবি আঁকে। অনেকে যুদ্ধ করে। কিন্তু সুখ নামের সোনার হরিণ অধরাই থেকে যায়।
–যদি আদি শক্তির সাথে মিলিত হতে পারে তবে যে সুখটা পাবে, সেটা কেমন হবে?
– এটা বোঝানো মুশকিল। তবু আমি একটা উদাহরণ দেয়ার চেষ্টা করছি। ধর, একটা ছোট বাচ্চা, তার মায়ের কোলে বসে হাসছে, খেলছে। তাকে তার মায়ের কোল থেকে সরিয়ে নে। দেখবি সে চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করবে। তখন তাকে চকলেট বা খেলনা যাই দেয়া হোক না কেনো, সে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। তার মাকেই চাই। আর যদি কোন খেলনা দিয়ে তাকে ভুলানো যায়ও, একটু পর দেখবি আবার মাকে খুঁজছে,কান্নাকাটি শুরু করেছে। তখন বাচ্চাটাকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিলে কিন্তু সাথে সাথে তার কান্না বন্ধ হয়ে যাবে। তার মধ্যে অদ্ভুত একটা শান্ত ভাব আসবে সেকেন্ডের মধ্যেই। ঐ মুহূর্তে বাচ্চাটার মধ্যে যে সুখের জন্ম হলো, তাকে যদি কয়েক লক্ষ গুণ বাড়িয়ে দেয়া যায়, তাহলে যে পরিমান সুখ আর শান্তি পাওয়া যাবে, ওটাই হলো আদি শক্তির সাথে মিলনের শান্তি। এবং এই শান্তি হবে চিরন্তন। কোনদিন শেষ হবে না। কোনদিন কমবে না।
এই শান্তির খবর যে একবার পেয়েছে সে আর কোনদিন এই পৃথিবীতে ফিরে আসতে চাইবে না। আমিও চাইনা। এবার আসল কথা বলি?
–বলো।
–দেখ, সব জন্মে তোর সাথে হয়তো আমার দেখা হবে না। আমরা হয়তো এবারের মতো জানতেও পারবো না যে, আমরা পরস্পরের টুইন। এই জন্মে আমার বাবা আমাকে এই তথ্যটা দিয়ে আমার কাজ আগিয়ে রেখেছেন। সামনের জন্মে বাবাকেও হয়তো পাবো না।
হৃদিতা বিস্মিত হয়ে সিজারের কথাগুলি শুনছিল। খুব যে বুঝছিল তা নয়। সে বোঝার চেষ্টা করছিল। তাই প্রশ্ন করলো,
–তাহলে আমাদের এখন করণীয় কি?
– আমাদের একসাথে থাকতে হবে হৃদি। শক্ত করে একজনের আরেকজনকে ধরে থাকতে হবে। কে, কি ভাবলো তা নিয়ে মাথা ঘামালে চলবে না। সমাজ আর পৃথিবীর নিয়ম কানুনে আটকা পড়লে, আমরা বিপদে পড়বো। পরীক্ষায় পাশ করা হবে না। তোকে একটা ঘটনা বলি?
– বলো।
–কাল আমি ধ্যানে বসেছিলাম। শুধু এটা বোঝার জন্য যে, আমাদের এখন করণীয় কি? আমার তো বাবার মতো অতোটা ক্ষমতা নেই। আমার কাছে তথ্য আসে ধীরে। অসংখ্য তথ্য আসে। তাও রূপক হিসাবে। সঠিক তথ্য বেছে নিয়ে অর্থ বের করতে সময় লাগে। অনেকটা কলের মতো একটা মেশিন দেখি আমি। সেই কল দিয়ে একটার পর একটা শব্দ বের হয়ে আসে। ঠিক কোন শব্দটা দরকার, আমার মন আমাকে বলে দেয়। তারপর সেই শব্দগুলিকে আমি সাজাই। একটা বাক্য তেরি হয়। আমি তখন সেই বাক্যটা থেকে আমার প্রশ্নের উত্তর পাই। কাল যেটা বুঝলাম, সেটা হলো, তোকে আর আমাকে যৌথভাবে এই পৃথিবীর জন্য কোন কাজ করে যেতে হবে। সেটাই আমাদের পরীক্ষা।
হৃদিতা বললো,
– কি কাজ?
– এইটা নিয়ে আমার একটু কনফিউশন আছে। আমরা কিছু একটার জন্ম দেবো এটুকু বুঝেছি। কিন্তু সেটা কি, এটা বুঝতে পারিনি ঠিকঠাক। একবার মনে হলো, একটা বই। আবার মনে হলো, বই না, সন্তান!
– কি! সন্তান?
– ঠিক সন্তান না। বইও হতে পারে। তবে সেই বইটা বা সন্তানটা পৃথিবীর মানুষকে কোন একটা বিপদ থেকে বাঁচাবে। তাই তাকে জন্মাতে দেয়াটা খুব জরুরী। এই কাজটা যদি আমরা করতে পারি তবে আমরা পরীক্ষায় পাশ করে গেলাম। আমাদের দায়িত্ব শেষ।
কথাগুলি বলে সিজার একটু দম নেয়। দীর্ঘক্ষণ বানিয়ে- বানিয়ে কথা বলে সে এখন মনে মনে হাঁফাচ্ছে। তাছাড়া সন্তানের কথা শুনে হৃদিতা যেভাবে রিএ্যাক্ট করলো, তাতে ওর আত্মবিশ্বাসে একটু চিড় ধরেছে। সিজার তাই গলায় যথাসম্ভব আবেগ ঢেলে বললো,
– হৃদি! আমাকে ছেড়ে যাস না। আমাদের জন্য পৃথিবীর অনেক মানুষ অপেক্ষা করে আছে। মানবজাতিকে ঠকাস না। আমাকে বিশ্বাস কর। আমার হাতটা ধর।
সেদিন রাতে হৃদিতা কিছুতেই ঘুমাতে পারছিলো না। সিজারের কথাগুলি নিয়ে ভাবতে চাইছে তার মন। ঘুমাতে চাইছে না। মনে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে অনেক। হৃদিতার মনে হচ্ছে, এতো অলৌকিক ঘটনা তার জীবনে কেনো ঘটবে? আর কারও জীবনে তো এমন ঘটছে না।
অন্যদিকে সিজার হৃদিতার ভরসার স্থল ছিল সবসময়। শিক্ষকের নির্দেশ যেমন বাধ্য ছাত্র বিনা বাক্য ব্যয়ে মেনে নেয়, তেমনি হৃদিতা সবসময় সিজারের কথা মেনে নিয়েছে। সিজারের নির্দেশ অমান্য করতে হৃদিতার ব্রেণ অভ্যস্থ নয়। তাই আজ চট করে সে সিজারের কথা উড়িয়ে দিতে পারছে না।
ভোরের দিকে ঘুমিয়ে পড়লো হৃদিতা। একটা স্বপ্নও দেখলো। দেখলো, সিজার ওর স্বামী। ওদের একটা ছেলে হয়েছে। হৃদিতা বাচ্চাটাকে কোলে করে বসে রয়েছে। সিজার বলছে-দেখো! বাচ্চাটার নাকটা একদম তোমার মতো। হৃদিতা তখন অবাক হয়ে বললো -আমাকে ‘তুমি ‘ করে বলছো কেনো? আমাকে তো ‘তুই‘ বলো!
স্বপ্নটা দেখার পর ও ঠিক করলো ধর্ম নিয়ে কিছু পড়াশোনা করবে। কিন্তু নেট ঘেটে তেমন কিছু পেলো না। আসলে হৃদিতা আধ্যাত্মিকতা নিয়ে সিজারের কথাগুলি বোঝার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে সে তেমন কিছু জানে না। মুশকিল হচ্ছে, সব ব্যাপার সে সিজারের কাছ থেকেই ক্লিয়ার হয়। কিন্তু এখন তো আর সিজারকে গিয়ে ও বলতে পারছে না – তোমার কথাগুলি সত্য না মিথ্যা, আমায় বলে দাও!
তবে ধর্ম সম্পর্কে পড়াশোনা করে হৃদিতা একটা জিনিস দেখলো। সেটা হচ্ছে ব্যভিচারকে প্রতিটা ধর্ম অন্যায় বলেছে। বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম এটাকে খুনের কাছাকাছি অপরাধ বলেছে। হৃদিতা ভাবতে শুরু করলো – ধরা যাক, তার আর সিজারের একটা সন্তান হলো। বই নয়। এখন সন্তানটা হবে অবৈধ সন্তান। এই অবৈধ সন্তান কি করে সৃষ্টিকর্তার চাওয়া হতে পারে, যেখানে তিনি ব্যভিচার পছন্দ করেন না?
হৃদিতা ঠিক করলো আজ সে প্রশ্নটা সিজারকে করবে।
চলবে…. .
পরিচ্ছেদ ৬ অনেক রাতে ফিরেছিল কল্যাণ ওরফে শহীদুল।গাড়িটা শেডে রাখার পর দু’বার হালকা করে মা…..
পরিচ্ছেদ ৫ আকাশে এখন আর মেঘ নেই। হাওয়া হচ্ছে।কদিন পরেই বর্ষা নামবে।একদিন হাসপাতাল থেকে ফিরতে…..
পরিচ্ছেদ ৪ ভোর হয়ে আসছে।রাতে ভালো ঘুম হয়নি।ঘুমের ঘোরে মনে হচ্ছিল দম বন্ধ হয়ে আসছে।এরকম…..
পরিচ্ছেদ ৩ শীত শেষ হয়ে আসছে।রাঙ্গালীবাজনা ঢোকার মুখের রাস্তাগুলো পলাশ ফুলে ভরে গেছে।অথচ ঠান্ডাই।…..