ইমন কল্যাণ
পরিচ্ছেদ ৬ অনেক রাতে ফিরেছিল কল্যাণ ওরফে শহীদুল।গাড়িটা শেডে রাখার পর দু’বার হালকা করে মা…..
দুপুর বেলা সাধারণত সিজারকে ফোন করে না হৃদিতা। তখন সিজার অফিসে থাকে। কিন্তু আজ করলো। হৃদিতা সিজারকে প্রশ্নটা করতে চায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত ও অপেক্ষা করতে পারবে না। প্রশ্নটা ওকে অস্থির করে তুলেছে।
সিজারকে রিং করতেই পাওয়া গেলো কিন্তু কথা শুরু হতে না হতেই কেউ একজন চলে এলো বোধহয় ওর রুমে। সিজার হৃদিতাকে লাইনে রেখে কথা বলতে শুরু করলো তার সাথে। যে কথা বলছে সে সম্ভবত বাঙ্গালী নয়। তার ইংরেজী উচ্চারণ শুনে সেরকমই মনে হলো হৃদিতার। কিন্তু এরপর সিজার আর ঐ লোকটার কথোপকথন শুনে লজ্জায় কান ঝাঁঝাঁ করতে শুরু করলো ওর। লোকটা বলছিল,
– আর ইউ টকিং টু ইয়োর গার্লফ্রেন্ড? ইউ নো, হাও ব্রাইট ইয়োর ফেস ওয়াজ? প্লিজ টেল হার দ্যাট ইউ লাভ হার এ লট!
সিজার হাসতে হাসতে বললো,
– ইয়া, আই মাস্ট সে হার।
হৃদিতা ফোন রেখে দিলো। এসব কি ঘটতে শুরু করলো তার জীবনে! সিজার আর ঐ লোকটির কথাগুলি শুনে তার এতো সুখ লাগছে কেনো? সিজারের সাথে সে জড়িয়ে পড়ছে ক্রমশঃ। এর শেষ কোথায়? সিজার যা বলছে তা কি সত্য হয়ে যাবে?
হৃদিতার ভাবনায় ছেদ পড়লো সেলফোনটা বেজে উঠায়। সিজারের ফোন,
– রেখে দিলি কেনো?
– তুমি বিজি হয়ে গেলে তাই। লোকটা কে?
– আমার কলিগ। মাইকেল, আমেরিকান। বয়স্ক মানুষ। আমায় খুব পছন্দ করে। প্রায়ই গল্প গুজব করতে চলে আসে। একটা রাশিয়ান মেয়ে ওর বৌ। ও খুব চিন্তায় থাকে,এতো অল্পবয়সী বৌ, কখন ওকে ছেড়ে চলে যায়! তবে লোকটা ভালো। আমি ওকে হাবলু বলি। ও জানতে চেয়েছে হাবলু মানে কি? আমি বলি নি। বলেছি তোমায় ভালোবেসে বলি। ও মেনে নিয়েছে।
– হা হা হা! হাবলু!
তোমাকে সবাই পছন্দ করে কেনো বলোতো? রহস্যটা কি?
– আমি সব আমেরিকানদের হাবলু বলি। এদের মাথায় সমস্যা আছে। এবার বল,যারা আমাকে পছন্দ করে সেই দলের মধ্যে কি তুই আছিস?
– আছি তো।
– বেশ। তাহলে আমার আর কিছু চাই না।
হৃদিতা দেখলো সে সিজারকে প্রশ্নটা করতেই পারছে না।উল্টো আরও ভালোলাগায় ভেসে যাচ্ছে। হৃদিতা তাই সময় নষ্ট না করে দ্রুত বলে,
– একটা প্রশ্ন করার জন্য অফিস আওয়ারে ফোন করে ফেলেছি। বিরক্ত হচ্ছো না তো?
– না, হচ্ছি না। কারণ আমি আমার কাজ বন্ধ করি নাই।কাজ চলছে।
– কি কাজ করছো?
– আমি তোর সাথে কথা বলার পাশাপাশি মেইল চেক করছি আর রিপ্লাই লিখছি।
– তোমার অসুবিধা হচ্ছে না একসাথে দুইটা কাজ করতে?
– উঁহু, হচ্ছে না। একসাথে দুইটা বা তিনটা কাজ আমি করতে পারি। একসাথে কয়েকটা কাজ করার ক্ষমতা না থাকলে তুই পিছিয়ে পড়বি।
– আমি পারি না।
– প্র্যাকটিস কর। হয়ে যাবে। হুম,তোর প্রশ্নটা এবার বলে ফেল।
হৃদিতা মনে মনে প্রশ্নটা গুছিয়ে নেয়। তারপর ধীরে ধীরে শুরু করে।
– তুমি বলেছো, পৃথিবীর পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। পরীক্ষায় পাশের জন্য টুইন হিসাবে আমাদের কাজ হচ্ছে এমন একটা বই বা সন্তানকে এই পৃথিবীতে জন্ম দেয়া, যার পৃথিবীতে আসাটা খুব জরুরী।
– হুম।
– এখন তুমি বা আমি কেউই লেখালেখির সাথে জড়িত না। তাই বই বাদ। বাকি থাকলো, সন্তান। আমাদের সন্তান মানে সে হবে অবৈধ সন্তান কারণ আমরা স্বামী-স্ত্রী নই, হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। সৃষ্টিকর্তা ব্যাভিচার পছন্দ করেন না। তাহলে কেনো আমাদেরকে এমন একটা কাজ করতে হবে পরীক্ষায় পাশের জন্য, যেটা সৃষ্টিকর্তা অপছন্দ করেন? এটা তো পাশ হলো না। এটা তো ফেল হলো।
সিজার হৃদিতার একটা কথায় খুব মজা পেলো। মেয়েটা অবলীলায় উচ্চারণ করছে-আমাদের সন্তান! কয়েক মাস আগেও হৃদিতা নিশ্চয় এমন কথা মাথাতে আনার কথাও ভাবতে পারতো না। আর আজ এ ব্যাপারে ভাবছে, প্রশ্ন করছে। সিজারের কথার তীর হৃদিতার অন্তরে জায়গামতো লেগেছে। এখন এই তীরের কম্পন হৃদিতা অস্বীকার করতে পারবে না। সে তীর নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। সিজারের কাজ হবে এই তীরটাকে আরও গভীর করে ওর বুকে বসিয়ে দেয়া। যেন হৃদিতা সেই তীর নিজের বুক থেকে টেনে বের করে ফেলতে না পারে। আহত হৃদিতাকে নিয়ে তখন উল্লাস করবে সিজার, সাধ মিটাবে বিজয়ী শিকারীর মতো।
সিজার বলে,
– এর উত্তর আমার কাছে আছে। কিন্তু বললে তুই ভুল বুঝবি না তো? ভাববি না তো আমার কোন অসৎ উদ্দেশ্য আছে?
– না। তুমি বলো।
– শুরুতে বলে নেই, নারী- পুরুষের ভালোবাসা কোন নোংরা ব্যাপার নয়। যারা বলে তারা ভুল বলে। আমাদের বাবা- মা পরস্পরকে ভালোবেসেছিলেন বলেই কিন্তু আমাদের জন্ম হয়েছে। আমরা কি নোংরা না উনারা নোংরা?
তবে তোর কথা ঠিক,অবৈধ সন্তান সৃষ্টি কর্তার অপছন্দ। কিন্তু কেনো? পৃথিবীর সব প্রাণী যে প্রক্রিয়ায় বংশ বিস্তার করছে, সে প্রক্রিয়াতে মানুষও করছে। কিন্তু যুগ যুগ ধরে তিনি আসমানী কিতাব পাঠিয়ে, নবী পাঠিয়ে কেনো বলছেন যে ব্যাভিচার করো না। দোজখ বানিয়ে রেখেছি। আগুনে ফেলে দেবো। দুইটা মানুষ ভালোবেসে কাছে আসলে উনি কেন রেগে যাচ্ছেন। কারণ দুইটা মানুষের মিলনের ফলে যে সন্তানটা জন্মাবে সেখানে সমস্যা।
বলা হয় একটা সময় আসবে যখন মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞানে অনেক উন্নতি করবে। এমন কোন জিনিস থাকবে না যা মানুষের আয়ত্বের বাইরে থাকবে। শুধু তিনটা ব্যাপার সৃষ্টিকর্তা তার হাতে রেখে দেবেন। সেই তিনটা ব্যাপার হলো-জন্ম, মৃত্যু আর বিয়ে।
বিয়েটাকে আটকে দেয়া হয়েছে, কারণ তিনি চান পৃথিবীতে তাঁর পছন্দমতো দুইটা মানুষের মিলনের ফলে সঠিক মানুষটা পৃথিবীতে আবির্ভুত হোক। মানুষ ধীরে ধীরে আরও সভ্য আর উন্নত হোক। এভাবে কঠিন নিয়মের মধ্যে মানুষের জন্মের প্রক্রিয়া চলে বলেই কিন্তু মানব জাতি আজ এতো উন্নত। যারা গুহায় বাস করতো, বনে জঙ্গলে শিকার করে নিজেদের প্রয়োজন মেটাতো তাদের বংশধররা আজ পৃথিবীর বাইরে মহাকাশযান পাঠাচ্ছে। সভ্যতাকে তারা কতোটা এগিয়ে নিয়ে গেছে ভাব্। সামনে মানব সভ্যতা আরও অগ্রসর হবে। আর এইজন্য সঠিক দুইটা মানুষের মিলন জরুরী। যাদের মাধ্যমে যোগ্য ভবিষৎ প্রজন্ম এই পৃথিবীতে এসে মানবজাতিকে সমৃদ্ধ করবে। আর এই সঠিক জোড়া ঈশ্বর মিলিয়ে দেন। এখানে মানুষের ইচ্ছা চলে না।
এখন একটা কথা আছে। সেটা হলো আধুনিক মানুষ কিন্তু বাচ্চার জন্মকে আটকাতে পারে। জন্মটাকে আটকাতে পারলে কি অবৈধ মেলামেশা যায়েজ? যুক্তি বলছে যায়েজ। সে অন্য তর্ক। প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের অবৈধ সন্তান কিভাবে জায়েজ?
– হুম, কিভাবে?
– উত্তরটা বলবো। চোখ বন্ধ কর। এবার মনে মনে আমার কাছে আয়। এসেছিস?
– হু।
– আমার পায়ের ওপর শুয়ে পড়। আমি তোর মাথার চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। টের পাচ্ছিস?
– তুমি বলো।
– শোনার পর কিন্তু ইমোশনাল হয়ে কান্নাকাটি করতে পারবি না।
– করবো না।
– তুই আর আমি আসলে একজন মানুষ। দুইজন না। তাই আমাদের শারীরিক মিলনে যে সন্তানের জন্ম হবে সে অবৈধ হবে না। সবার জন্য যেটা পাপ,সেটা আমাদের জন্য পাপ না।
হৃদিতা ফোন কেটে দিলো। তার বমি লাগছে, মাথা ঘুরছে। অদ্ভুত এক উত্তেজনা, সেইসাথে তীব্র বিষণ্ণতা ওকে গ্রাস করে নিচ্ছে। ও ইরেজার দিয়ে মনে মনে সিজারের বলা সব কথা মোছার চেষ্টা করলো কিন্তু কোন কাজ হলো না। সিজারের মুখ, সিজারের কথা, সিজারের জন্য ওর আকর্ষণ, সন্দেহ ওকে পাগল করে তুললো। কয়েকবার ভাবলো, লাইজুকে সব বলবে। কিন্তু লাইজু তো আধ্যাত্মিকতার কিছুই জানে না। ও কি ব্যাপারটা বুঝবে! হৃদিতা ওর মাকে ফোন করলো।
কনা বললো,
– কিরে তোর গলা এমন শোনাচ্ছে কেনো? কি হয়েছে?
– কিছু না মা। ঠান্ডা লেগেছে বোধহয় তাই গলা বসে আছে। তুমি কি কর?
– তোর বাবার শরীরটা যাতে তারাতাড়ি সাড়ে তাই ওর জন্য একটা জানসিন্নী দেবো। একটা খাসি। এতিম বাচ্চাদের খাইয়ে দেবে।মসজিদের হুজুর এসেছেন, উনার সাথেই কথা বলছিলাম।
– মা! তোমার কাছে কি দুইটা খাসি কেনার টাকা আছে?
– আছে।কেনো?
– তুমি আমার জন্য একটা সিন্নী দেবে?
– কেনো রে? তোর কি হয়েছে ঠিক করে বলতো?
– কিছু না মা। এমনি বললাম। একটা খারাপ স্বপ্ন দেখেছি।
– ঠিক আছে। তবে তোর নামেও দিচ্ছি। শোন মা, নিজের জন্য নিজেরও দোয়া করতে হয়। শুধু অন্যে দোয়া করলে হয় না। নামাজটা ধর। তোরা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া ছেলেমেয়েরা নামাজ-কালাম থেকে সাত হাত দূরে থাকিস কেনো বুঝি না।
– তুমি দোয়া করো মা।
– করবো।
হৃদিতা সেদিন নামাজ পড়ে দোয়া চাইলো যাতে আল্লাহ তাকে সঠিক পথ দেখান। সিজারের বক্তব্য সে মানতে পারছে না। কিন্তু অস্বীকারও করতে পারছে না। সিজারকে সে ছোটবেলা থেকেই পাগলের মতো পছন্দ করে। এটা ঠিক সেটা প্রেম নয়। কিন্তু তাহলে সেটা কি? পৃথিবীর আর কারও প্রতি সে সিজারের মতো আকর্ষণ বোধ করেনা। তবে কি সিজার সত্যি তার টুইন? আর তাই সিজারকে ওর এতো ভালো লাগে?
এদিকে সিজার হৃদিতার ওপর মহা বিরক্ত হয়ে আছে। হৃদিতার জায়গায় অন্য কোন মেয়ে হলে এতোদিনে পটে যেতো। এই মেয়ে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে যাচ্ছে। সিজার বিরক্তের চূড়ান্ত হয়েছে আজ। হৃদিতা এখন ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছে। এতো মহা মুশকিল হলো। কোথায় সে শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে ভাববে তা না ধর্মের দিকে চলে গেলো। সিজারের এখন কি করণীয়? সিজার এক কাপ কোল্ড কফি খেয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাবতে বসে। চোখ বন্ধ করে প্রশ্ন ও উত্তরের খেলায় মেতে ওঠে ও। এই খেলা থেকে সে বুঝতে চায় তার পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে –
প্রশ্নঃ কি চাও হৃদিতার কাছে?
উত্তরঃ হৃদিতার প্রেমিকা রূপ। যে রূপে হৃদিতা সিজারকে পাগলের মতো কাছে টেনে নেবে।
প্রশ্নঃ হৃদিতাই কেনো, অন্য কেউ নয় কেনো?
উত্তরঃ আমি শক্ত টার্গেট জিততে পছন্দ করি। সহজলভ্য নারীরা আমাকে আকর্ষণ করে না। আমি খুব দ্রুত আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। আমার শরীরের সাথে মন চাই। পাগল করা ভালোবাসা চাই।
প্রশ্নঃ হৃদিতা কে পেতে হলে আর কি করতে হবে?
উত্তরঃ ওর মন ও শরীরের জড়তা কাটাতে হবে। মনের জড়তা কমে এসেছে। শরীরের জড়তা কাটাতে পারলে মনের বাকি জড়তাটাও শরীরের সাথে সাথে কেটে যাবে।
প্রশ্নঃ তার জন্য কি করতে হবে?
উত্তরঃ হৃদিতাকে ছুঁতে হবে। ওকে সিজারের স্পর্শের কাঙ্গাল বানাতে হবে। যে খাবার হৃদিতা খায়নি কখনও তা খাওয়ার আকুলতা ওর মধ্যে থাকার কথা নয়। ওকে খাবারটা অর্ধেক দিতে হবে। তারপর সরিয়ে নিতে হবে। তখন ও খাবারটা খেতে চাইবে। সহজে না পেলে আকুল হয়ে চাইবে।
প্রশ্নঃ যদি খাবারটা ওর পছন্দ না হয়?
উত্তরঃ হবে। সিজারকে সে মানসিকভাবে পছন্দ করে। ওর মন শারীরিকভাবেও সিজারকে গ্রহন করবে। মানুষ মাত্রই জৈবিক চাহিদা আছে। হৃদিতারও আছে।
সিজার চোখ খুললো। আগামীকাল সে নরসিংদী থেকে ঢাকায় ফিরে যাবে। তারপর পনেরোদিন সে থাকবে ঢাকায়। এই সময় কোন একদিন সে হৃদিতা কে একা চায়। সেরকম কোন পরিস্থিতি যদি তৈরি না হয় ওকে তৈরি করে নিতে হবে। ঢাকায় গেলে হৃদিতার সাথে ফোনে বা সামনা সামনি কথা হয় না তেমন। মেয়েটা আগের মতো কাছে আসে না। কিন্তু দেখা তো হয়, ওটাকেই কাজে লাগাতে হবে।
ভাগ্য সিজারের অনুকূলে ছিল। ঢাকায় আসার পর প্রথম সাতদিন কোন সুযোগই মিললো না ওর। সিজার যখন মনে মনে উপায় খুঁজছিলো তখন আট দিনের মাথায় আচমকাই সুযোগ এসে গেলো।
সিজার রেডি হচ্ছিলো অফিসে যাবে বলে।মিতা এসে বললো,
– তুমি যাওয়ার সময় হৃদিতাকে নামিয়ে দিতে পারবে?
– কেনো তুমি নামিয়ে দাও।
– স্কুলের দেরি হয়ে যাবে। আমি বাচ্চাদের নিয়ে এখুনি বের হবো। হৃদিতা এখনও তৈরি হয়নি।
-আচ্ছা, ও আমার সাথে যাবে।
-তবে হৃদিতাকে বলে দেই যেন তৈরি হয়ে তোমাকে বলে? ও বোধহয় শাওয়ারে ঢুকেছে। তুমি ওকে না নিয়ে চলে যেও না। আর বুয়া তো দেশে গেছে। খালি বাড়ি। যাওয়ার সময় মনে করে গেট লক করে যাবে। বুঝেছো? বাই।
– ওকে। বাই।
একটু পর সিজার নক করলো হৃদিতার দরজায়,
– আসবো?
– এসো।
সিজার রুমে ঢুকে হদিতার দিকে তাকিয়ে হাসলো। হৃদিতা ব্যাগটা কাঁধে নিতে নিতে বললো,
– সরি। তোমায় দেরি করিয়ে দিলাম না তো? চলো, আমি রেডি।
– না, দেরি হয়নি। হাতে সময় আছে। তোর ক্লাস শুরু কখন?
– ক্লাস নাই তো। এক বান্ধবীর জন্মদিন। ওর বাসায় থাকবো আজ। সারাদিনের প্ল্যান।
– তবে আরেকটু বস। তোর সাথে কিছুক্ষণ গল্প করি।
সমাপ্ত
পরিচ্ছেদ ৬ অনেক রাতে ফিরেছিল কল্যাণ ওরফে শহীদুল।গাড়িটা শেডে রাখার পর দু’বার হালকা করে মা…..
পরিচ্ছেদ ৫ আকাশে এখন আর মেঘ নেই। হাওয়া হচ্ছে।কদিন পরেই বর্ষা নামবে।একদিন হাসপাতাল থেকে ফিরতে…..
পরিচ্ছেদ ৪ ভোর হয়ে আসছে।রাতে ভালো ঘুম হয়নি।ঘুমের ঘোরে মনে হচ্ছিল দম বন্ধ হয়ে আসছে।এরকম…..
পরিচ্ছেদ ৩ শীত শেষ হয়ে আসছে।রাঙ্গালীবাজনা ঢোকার মুখের রাস্তাগুলো পলাশ ফুলে ভরে গেছে।অথচ ঠান্ডাই।…..