শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
পঙক্তিনামা
এক.
রৌদ্র এবং ছায়ার গল্প থাক
অন্যভাবে সে নিজের জীবন সাজাক।
দুই.
তোমাকে বলেছিলাম বাজাতে
তুমি সুর তুললে ভায়োলিনে,
দুঃখটা কি তোমার ছিল, নাকি আমার!
তিন.
পরাজিত কে বললো, তাকে কি চেনো তুমি
নাকি বলবে, যুদ্ধের ময়দান হলো মনোভূমি!
চার.
মানুষ হতে বলেছিলাম, মহামানব হতে নয়
ও হতে গেলে নিজের খোয়াব হারাতে হয়।
পাঁচ.
হারাতে হারাতে হাতের আর কি পাঁচ বাকি
দিয়ে দাও, সেটা খুব গোপনে লুকিয়ে রাখি!
বিস্ময়
রুমি বলেছিলেন, ডানা আছে উড়ছো না কেন!
বিস্মিত হয়েছিলেন তিনি, সক্ষমদের অক্ষমতায়।
আমরাও বিস্মিত, বারো’শ সাত থেকে দু’হাজার উনিশ
রুমির বিস্ময় কাটেনি এখনো, আমাদেরও
কেটে দেয়া ডানা দেখে, আজ বিস্ময়ও বিস্মিত।
মানবজনম
(ফাগুন, যে বলেছিল, ‘পুড়ে যাব’)
রুমি বলেছিলেন, মোম হওয়া ততটা
নয় সহজ, যতটা ভাব,
আলো দিতে হলে অন্যদের ঘরে
নিজেকে জ্বলতে হয় বেঘোরে;
জবাব কঠিন, পুড়ে যাব!
এই তো মানবজনম অন্যের তরে
মোম হই, আলো দিই, পুড়ি অঘোরে,
মানবজনম, সহজ নয় যতটা ভাব
রয়েছে জনমে মানুষের অভাবও!
প্রশ্ন
আমি আমার সমস্ত শক্তি জড়ো করি
সকল দান-ধ্যান, পূণ্য-অঞ্জলি সব,
দাঁড়াই ঈশ্বরের সামনে, বলি সকলই বৃথা যাবে?
নাকি বিশ্বাস খুব ছোট হয়ে গেছে দিন শেষে
কৃত কর্মের কাছে, তবে কি পাপ ছায়ার মতন
কখনো বড় হয়ে উঠে ঈশ্বরের চেয়েও!
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..