প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
শুভ জন্মদিন প্রিয়,
এক পৃথিবী ভালোবাসা নিও,
আর নিও শিশির ভেজা একগুচ্ছ মরশুমী ফুল।
হেমন্তের কুয়াশা সন্ধ্যা
আর শীতের ছোঁয়া লাগা প্রথম ঝরাপাতা
তোমার জন্য পাঠালাম।
বয়সটা কতো হলো তোমার?
পঁয়ত্রিশ পেরিয়ে ছত্রিশ?
নাকি পঁচিশ পেরিয়ে ছাব্বিশ?
অথবা পঞ্চাশ পার করলে বুঝি?
এবার কিন্তু বুড়ো বলবে সবাই।
আমার তাতে বয়েই গেলো ছাই।
আমার তুমি আঠারোর ঝোড়ো হাওয়া,
বৃষ্টি আকাশে রামধনুর হাসিখুসি,
আমার তুমি সাগর পারের ভোর,
মন ভালো করা অবুঝ স্বপ্ন রাশি।
আমি হলাম একুশ কিংবা বাইশ,
না হয় আমি একটু হলাম বড়ো।
তোমার দুষ্টু দুষ্টু বুদ্ধি গুলোকে,
ভীষণ ধমকে বললাম “চুপ করো “।
তখন তুমি মাথা নিচু করে,
ভাবছো “আচ্ছা মুশকিল হলো,
এ মেয়ে যে কিছুই বোঝেনা ছাই,
ইচ্ছেগুলো সব ভেস্তে দিলো”।
তখন আমি তোমার কাছে এসে,
জড়িয়ে কোমর চোখ রেখেছি চোখে,
ঠোঁট ছুঁয়েছি আলতো ঠোঁটের চাপে,
চোখ বুঁজেছি তোমার আকাশ বুকে।
তুমি আমার পক্ষীরাজের ডানা,
বাঁধনছেঁড়া ভোঁকাট্টা উড়ো ঘুড়ি,
তুমি আমার জমানো বোবাকথা,
লক্ষী ঝাঁপির সঞ্চিত পাঁচটি কড়ি।
তোমায় তাই যত্নে আগলে রাখি,
আদুরে শাসনে রক্তজালকে বহো।
….”জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়ে”
…..”চির সখা হে….মম হৃদয়ে রহো”।
অডিও পডকাস্ট শুনুন এইখানেঃ-
https://www.facebook.com/OngshumaliMagazine/videos/305222530414808/
মেয়ে তুই বিদ্যাধরী,
খই ফোটা তোর বকম বকম,
চোখে তোর হীরের কুচি,
মন ভরায় তোর রকম সকম।
মেয়ে তুই দখিন হাওয়া,
গলাতেও সুর আছে বেশ,
কথকের বোলের ঠেকায়,
ঘুঙুরেও তুফান রেশ।
মেয়ে তুই কাব্য লিখিস,
মন ছোঁয়া তোর ঝরনা হাসি,
রুখেও তুই দাঁড়াতে পারিস,
মন বলে তাই ভালোবাসি।
তর্কে কভু মানিসনা হার,
ঝাঁঝ বেশ তোর মেজাজের,
রান্নাটা বেশ ভালোই পারিস,
নেই তো দোষ চরিত্রের।
বৌ হয়ে আসিস ঘরে,
সযতনে রাখবো বেশ,
মেখে নিস সুখের আলো,
ভালোবাসার আদুরে রেশ।
বৌ তুই বুঝিস বেশী,
বকবক কথায় ডুব,
ট্যারা চোখে তাকাস কোনো?
চলনেও দস্যি খুব।
বৌ তুই অলক্ষী এক,
তোর গলা বেশ চড়া সুরে,
বৌ হয়ে নেত্য কিসের?
নূপুর এখন মানায় তোরে।
লেখালেখি থাক ভুলে সব,
সংসারটাই সামলা আগে,
মেনে নিতে শিখেনে এবার,
অপমানে ফুলিস না রাগে।
তক্কো বেশী করিস না আর,
এতো ঝাঁঝ নয়কো ভালো,
রান্নায় ঝাল কেনো দিস?
মন তোর বেজায় কালো।
বৌ হয়ে ঘর জ্বালালি,
সবেতেই অলক্ষী তুই,
অবাধ্য আর লাগামছাড়া,
ঘরে বুঝি মনটি নেই?
মেয়ে আমি ছিলাম বেশ,
বধূ রূপে হলাম বিষ,
বিয়ের আগে গুণের কদর,
হাতে হাতে নগদ নিস।
আমার এতো গুণের বহর,
সবই শুধু বিয়ের তরে,
আমি বেশ পাত্রী ভালো,
কেতাতেও মানায় মোরে।
যতো আমি হইনা সেরা,
বধু রূপে লক্ষী নই,
মৃত হোক স্বত্বা আমার,
পতির পুন্যে সতী হই।
কিছু তবে থাক বাকি।
আঙুল জড়ানো কিছু আশা,
রেশমি বুনোনে হোক বাঁধা,
জমানো সুখের কিছু ভাষা।
হৃদয়ে বৃষ্টি ঝরলো বুঝি?
ভিজলো মনের চোরকুঠি,
আগল ভাঙতে চাওয়া মনে,
জোনাকির চকমকি খুঁজি।
তোমাতে আমাতে গভীরতা,
মন খোঁজে ভরসার ঝাঁপি,
শরত শিউলি আমি ওগো,
আলতো শিশির ছোঁয়ায় কাঁপি।
মন তুই তেপান্তরের মাঠ
আম কুড়ানি কালবোশেখি শ্বাস,
মন তুই আচার চুরি দুপুর,
কিশোরী বেলার প্রথম সর্বনাশ।
মন তুই একমুঠো কাঁচগুলি,
খুনসুটি মেশা কাটাকুটির ছক,
সোনার কাঠি রূপোর কাঠির ছোঁয়া,
জমাটি আড্ডার ঝালমুড়ি বকবক।
মন তুই হঠাৎ বড়ো হওয়া,
সহজপাঠ থেকে সঞ্চয়িতা,
মন তুই শীতের মিঠে রোদ,
কাঁচা হাতের টলোমলো কবিতা।
মন তুই এলোমেলো এক ঝড়,
ঝড় শেষে তুই শান্ত জলছবি,
মন তুই মুক্তো জমানো ঝিনুক,
তোরই জন্য আজ হয়েছি কবি।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..