প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
জটিল কবিতা আর স্বাস্থ্যমুখর গভীর নাভিময় কবিতার ভাঁজমণ্ডলের জমে থাকা মৃত্তিকা
কে বেশী আদরণীয়।
জনান্তিকা বলতে পারেন।
উর্মীময় অক্ষরমঞ্জরী আর পাহাড়ী শরীর থেকে পতনঋদ্ধ বর্ণমালা
কাকে তুমি সিনান সহচরী বানাবে যদুভট্টের গৃহিনী জানলেও জানতে পারেন।
আমি পাহারাদার মাত্র।
কোন টোকায় কতখানি উলুক ঝুলুক মোহ আর
কোন ঠকঠকানিতে কতখানি বিগত প্রণয় জানতে গিয়ে
সহস্র রজনী নাম মাত্র প্রেমিকার অনুচেতক সেজেছি।
তবু জানতে পারিনি অনালোকিত কলম থেকে কিভাবে জন্ম হয় এক অক্ষৌহিনী জোনাকি।
শরীরকে পাত্র ভাবিলে রাজতরঙ্গীনির না খোলা অধ্যায় থেকে
নেমে আসবে জলপক্ষীর অধরা পয়গম।
এই যে সহস্র গমনদ্বার।
কোন দ্বারে তোমার নিদ্রা আলোকিত পানসিতে ভেসে যাচ্ছে সুপারীবান্ধবী।
কে বলে দেবে।
জনান্তিকা আপনি জানেন।
নৈঃশব্দ আর কুয়াসার ভিতর জোকারটা শেষ খেলা শুরু করেছে।
এ যাবৎ তাকে যত পাউড়ার আর স্নো সঙ্গ দিয়েছে তাদের হিক্কাগুলো জমিয়ে রাখা কৌটোয় অঙ্কুরিত ধূসর বেলুন।
তার ভেতর ছেড়ে যাওয়া প্রেমিকার গূঢ় আত্মকথাগুলোর জন্মদিন আজ।
অস্থায়ী ভূমিকার ফাঁক দিয়ে ঢুকে পড়া আপেল
বর্ণনা কিংবা অর্ন্তবাস ছেড়ে রাখার পর গোপন সন্ধির বর্ণময়
কামুক লিপির তমন্না আজ ভাসিয়ে দেবে চাতকের ঠোঁটে।
বায়ুসাঁতারে পটু মেয়েরটার খেসে যাওয়া ডানা দিয়ে বানানো পুতুলের নাচঘরে একমাত্র আমন্ত্রিত জোকার নাগর।
বিবর্ণ কৌটোর ভেতর জেগে ওঠো অবদমিত গুগুপ্সা কাঠির ছোঁয়ায়
জেগে ওঠো পুতুল রসিকা।
তোমার ওড়না থেকে যে মৌমাছি জন্ম নেয়
তার ডানা মৃত নক্ষত্রের বাসরগীতি হয়ে ওঠে।
ফুলে ফুলে রচনা করে ডোমেদের, জোকারের,
দেহবালিকাদের জীবনকথন।
মাঝে তিনি।
দুই পাশে দুই পুরুষ সতিন।
শুয়ে আছি।
অনন্ত বৃষ্টি পাহারাদার।
তার মধ্যদেশের নাভি সৌকর্য
বিভাজিকায় তিলের মগ্ন উচ্চারণ,
কস্তুরী গন্ধের গিরিখাত জুড়ে সুতনুকার হেসে ওঠার শয়ন মঞ্জরী
কে বেশী ভাগ নেবে।
সতিন ছায়াকে বলি
তোমার লবঙ্গমুখর ছুঁয়ে থাকা
এই জন্মে ভাগও চাই না।
শুধু নির্বাণ প্রাপ্তির ছাই দিয়ে
দোলাচল মেঘের অসহ্য বেলেল্লাপনা এঁকে দেব ত্রিবলী মোহনায়।
লোকে বলুক ধ্বস্ত পুরুষ।
অবেহায়া রাঁঢিদের আড্ডায় মানবিক শরীরবাদক।
লেখা হবে নৈরঞ্জনা ঘাটে
কাল ঘোটকী যানে মানবীকথন।
এই সেই উজুবট গ্রামখানি।
মাটির শানকিতে মিঠে নদীরা কি রেখে যায় দরদী কথন।
ঘোড়াদের ক্ষুরে ক্ষুরে জন্ম হয় মানব জমিন
ফুরুৎ চড়াই।
ধর্ম তাকে তুর্কী প্রতারণায় প্রবাহে ভাসায়।
নদীও অসতীর মত তাহাকে বহন করে।
বহনই করে মোহনার সংঘারামে।
চড়ুই ঘরনী আজ সাঁঝ ঘরে আলো জ্বালে সাধনপরাগে।
গৃহে গৃহে সম্ভার ডুমুর ফলেছে অনতি ধর্মে।
বিকৃতিকারদের ডেকে জিজ্ঞেস করা হোক
কৈবত্য ডাকিনীর ধর্ম মুখোসের মূল উপাদান কী।
সরহকে ডেকে জিজ্ঞেস করা হোক
ক্ষণবিপ্লবী বাউলানীর দেশ কি বরিশাল।
দ্বাদশ স্তুপে জেগে থাকা ব্জ্রগর্ভী ঘাস কী
অভিশাপ প্রাপ্ত দ্বাদশ অপ্সরা।
লেলিনকে জিজ্ঞেস করা হোক
বরাহকে ডেকে জিজ্ঞেস করা হোক
অবলোকিতেশ্বরকে জিজ্ঞেস করা হোক
দেবদত্তের অবৈপ্লবীক ধনুক থেকে ধার্মিক নক্ষত্রের
সার দিয়ে বানানো
তুলাইপঞ্জী ধান কতটা মহতী গন্ধ ধারন করেন।
বিকৃতিকার এই আমাদের উলঙ্গ দেহ
বেড়ে ওঠা লাউমাচা যে শ্রমের সুতিকাগার,
তার বিভাজনে কি বিকৃতির জয় নদী মেনে নেবে।
এই নিন আমাদের কর্ষণধর্মের সব অশ্বের
গোপননামা।
কোন পূর্ণচ্ছেদ নেই বলে অমৃত দোহনের বাঁক থেকে
জেগে ওঠা সন্ধ্যাকর মোষের পিঠে চেপে নগর ভ্রমণে যাবেন।
আমরা তার ভিজে ভাতে লবণসরণী।
রামমোহন জানেন
পরকীয়াজাত কবিতায় কতটা রক্তক্ষরণ হয়।
রাম নিধিগুপ্ত কি তোমার বান্ধব।
আজ বৃষ্টিতে ভিজে গেছে উঠোন।
কাস্তে চাঁদের আলোয়কে আর চালতা গাছের
কান্না সংরক্ষণ করে।
আমাদের নিহত কল্পনারা তার ডালে ডালে
লাজুক কিশোরীর মত দোল খায়।
স্বপ্ন সংরক্ষণ না করে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি।
যদিও তিনি আমার প্রকৃত শত্রু আর
জ্ঞাতার্থে মিত্রও বটে।
আমাদের একপাতে পেঁয়াজ লঙ্কা এবং
কাঁচা সর্ষের তেল ঘানিজাত।
যেদিন ডাকাতি হল তার বৌয়ের চন্দ্রহার
আর আমারটার রূপহার ধর্ষিত একই সুদর্শনে।
আমরা দারোগামুখী কিন্তু ভিন্ন যানে
একই মালকিনটির সাথে উভয়ের পরকীয়া।
সবার গোপননামা বিষুব নক্ষত্রের
ষষ্ঠ কক্ষের দ্বাদশ সুতোয় ঝুলে থাকে শুন্যে।
একই বর্ণের কাঠ থেকে গড়া ধরণীকর্মার বাঁটালির
সুক্ষ্ণ ঠাট্টাগুলো আমরা প্রতিদিন ছুঁয়ে থাকি।
আমাদের একই ট্যাঁকশাল।
পঞ্চমুখী ধানের ধরণী।
কাজের মাসীর পূর্ব ও মধ্য সম্পর্কজাত বংশধর
একজন হস্তবিদ অন্যজন মস্তবিদ।
আজ পাঠক নামক সমুদ্রের
ছোট ভাগ্নীর নীল লেফাফা খুলে দেখি
আজ আমার জন্মদিন।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..