আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহে চাষীর গায়ের ঘাম চুঁয়ে-
অঙ্কুরোদগমের দুফোঁটা রসদে মাটি ভিজলো,
শহর জুড়ে ফ্লাট তৈরীর মেলা,
গাছেরা ব্রাত্য তাই রুপ বদল আসবাবে;
মাঠাল জমি, বাগান, পুকুর হচ্ছে দখল সকাল দুপুর-
বিকেল সন্ধ্যে শূণ্য নয়নে একলা গাছটা খুঁজছে দোসর..
“বৃষ্টি কবে আইতেছে গো?”
মাঠাল চাষীর বাইকগামী শিক্ষিত কে আর্জি,
“খবর নাইগো”
দুঅক্ষরে সমঙ্গী উত্তরে বাইকের স্পিড দ্বিগুন..
ব্যস্ত সবাই ইদুর দৌড়ে সন্জীবন বা ঐক্যাত্ম খোঁজে-
ভাবছে ক’জন প্রকৃতি রুষ্ট,
রাজা কিংবা পিয়াদাদের নেই কোন অভিষ্ট!
থালায় কিন্তু মাছ ভাত চাই-
নাহলে বাঙালীর স্ট্যাটাস কোথায়?
গাছ কমে যাক, মানুষ বাড়ুক;
ঘর বেড়ে যাক, একান্নবর্তী কমুক..
ফলন না পেয়ে রুক্ষ চাষীটা যখন-
দুবেলার বদলে একবেলা খেয়ে,
অভিনয় করে পেট ভরা আর ঘুমের;
স্রষ্টা তুমি কি সরব তখন অদুরের মাপদন্ডে?
হোক না এমন পৃথিবী আবার সবুজে ভরা মোড়াট সবার,
ফোরজি থ্রিজির উন্নয়ন ভুলে;
গাছ, পাখি আর পুকুর নিয়ে রামধনু আকাশে বাঁচতে-
পুরানো রঙ তুলি নিয়ে মূলস্রোতে ফিরতে..।।
আমি সমুদ্রের ঢেউএ ভেসে যেতে চাই,
শিউলির গন্ধে উবে যেতে চাই;
ধরতে চেওনা আমায়-
আমি বিষময়, ছুয়ে হয়োনা নীল..
কথা হবে হয়তো একদশক বা জনম পরে,
সময়ের মানচিত্রে হয়তো মিলবেনা ঠিকে;
তবু এগিয়ে চলা নাকি জীবন-
অমৃত গরলের সম্ভারে জোয়ার ভাটার কীর্ত্তন..
আসুরিক প্রবৃত্তিগুলো ঠেলছে কালাডোবায়,
মানবিকতার খুন হচ্ছে প্রতি পাতায়;
সূর্য কিন্তু ভোলেনি জানলা দিয়ে উকি দিতে-
অসার দেহটা ছুটছে তেপান্তরের খোজে..
স্বপ্নরা বেহুস ভুল নেশায় বুদ হয়ে,
গোধুলিতে গুন্জন করে পাখিদের ঘরফেরা;
ফেরা হলোনা এ দীনের তোমার আঙুলে-
শূণ্য পথ, শুকনো ফুলদানী, বিষাক্ত আমি…।
রেল লাইনের মাঝে উজার করা বাহু,
সিগনাল পোস্ট লাল-
জলের পাইপ থেকে দু ফোটা শব্দ:
টপ্ টপ্…
জিহ্বা লালায়িত;পাশ থেকে থ্রু ট্রেন,
এক গালে মুচকি হাসি-
নিজের পাগলামিতে ব্যস্ততার ঢং,
২নং লাইন থেকে ট্রেনটার গভীর আলিঙ্গন-
রক্তে লেখা তার নাম পাথরে পাথরে,
লাল শাড়ি পড়ে প্লেন নং ১৪৭ যাচ্ছে বিদেশ-
মধুচন্দ্রিমা আর চিতার আগুন দুদেশে,
বেকারের প্রেমে সিদুর দান নেই,
রাজা দায়ি নাকি পিছুফেলে যাওয়া সে-
রক্তের ডাস্টবিনে শুধু সন্তানহারার ক্রন্দন…
ভালোবাসার রঙ আমি জানিনা,
জানি শুধু তোমায় ছোয়া।
শৈশবের লুকোচুরি খেলা:ধুলোমাখা হয়নি,
হয়েছে তোমার সাথে বালিয়াড়িতে বালি ছোড়াছুড়ি।
নিজেকে গুটিয়ে যেভাবে সব থেকে মনকে ভেঙেছি,
তোমার আগমনে মনপাখী ছুয়েছে নীলআকাশ।
কখনো তোমাতে:কখনো নিজেতে ডুবেছি ‘আমি’ ভেবেই-
ভুল ত্রুটির গন্ডি পেরিয়ে তুমি ‘আলাদা স্বত্তা’।
‘ভালোবাসার মানে কি?’ তা বুঝিনি সেদিন,
হৃদয়ের অর্ধাংশে আমি বাস করতে চেয়েছি।
পারিনি রক্তক্ষয় হয়েছে:হৃদয় কেপেছে,
সব ছেড়েছি তোমাতে স্বর্গীয় ভালোবাসার খোজ পেয়ে।
আমার প্রেম নিশ্বাসের মতো,
কিছুক্ষন বন্ধ রাখা যাই:ছেড়ে থাকা যাইনা।
তুমিই আমার আত্মসঙ্গী-
চাইনা তাই আড়ম্বড়ের দামামা।
চাই তোমার শীতল কোলে মাথা রাখার ঠাই,
চাই অঘোর ঘুমে তোমার প্রেমে ডুবে যেতে।
চাই জীবন মরনের ওপারের প্রেম..
চাই অর্ধনারীশ্বরের প্রেম…
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..