দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
আমাকে বানিয়ে গেলে তুমি বেদুঈন
স্বাধীন জীবন এক করেছো যে দান
মননে হেয়ালি খেলা হেয়ালি চমক
পুড়েতো মরেছি যেনো বিরান শ্মশান
ধরণীর কাছে এক অস্পৃশ্য মানবী
দেবতার পায় যার হয়নিতো ঠাঁই
জলের আকরে আঁকি পুড়ন্ত জীবন
আসলে মরণ সত্য বাঁচাই কঠিন
শূন্যেই করেছি বাস শূন্যের কোটরে
আমাকে ফেরাও তুমি নিবিড় প্রশ্রয়।
২
আগুন পোড়ায় যাকে সমুদ্র ডোবায়
তাকেই দেখাও ভয় অগাধ তৃষ্ণার
আকাশ দেয় না ছায়া ভেজায় না বৃষ্টি
বুকের ভিতরে বয় নিকষ আঁধার
আলোক বিহীন নয় রোদেলা দুপুর
আশার বিষাক্ত নীলে জ্বলন্ত শরীর
পৃথিবী আঁধার হল জাগে তবু চাঁদ
চাঁদের বড়াই জানে আকাশ দেবতা
কার করুণায় জাগে চাঁদের জৌলুস
জেনেও ভুলেছি সব শুধু অভিমানে।
৩
সুদূরে চলেছো একা তাকালে না পিছু
বিমুঢ় দাঁড়িয়ে থাকি বিষন্ন কান্নায়
ক্লান্তিতে হৃদয় নিঃস্ব বুঝতে পারোনি
জীবন প্রবাহ কাটে আকুল তৃষ্ণায়
বিদায় বিষাদ অশ্রু আজো তো থামেনি
আকুল আকুতি মেশা জীবন সীমান্তে
ফুলের পাপড়ি ঝরা বসন্ত সায়াহ্নে
মর্মর বিলাপ শোক হলুদ পাতার
কখনো পাবে কি আর সুরের বাহার
বিস্মিত অপেক্ষা চিত্তে চকিত ছোঁয়ার।
৪
বেদনা অশ্রুতে ভাসে গোপন প্রণয়
আগলে রাখোনি প্রেম কুণ্ঠিত পীড়ায়
এখন ঢেউয়ে মাতি জলের ছায়ায়
নিষিদ্ধ করেছো যাকে লোকজ লজ্জায়
নিজেকে অমূল্য ভেবে দলেছো চরণে
আড়ালে রাখলে তাকে জটিল সংশয়ে
যদিও হারাও তবু নিভৃত মননে
নিজের বুকেই রাখি অদৃশ্য হনন
তোমার অভাব খু্ঁজি বায়ুর শরীরে
বাতাস গুমোট ভারী সুর্যের গ্রহনে।
৫
আমার কবিতা তুমি গোপন ঐশ্বর্য
নিভৃত অন্তরে আঁকি সুখের প্রণয়
হারিয়ে গিয়েও তুমি আছোতো নিকটে
বুকের ভেতরে কান্না জলের ফোটায়
অনাদি কালের স্মৃতি হৃদয়ে অক্ষত
নিবিড় চেতনা নিয়ে অনন্ত অপেক্ষা
প্রভাতে সোনালি আলো পাতার শরীরে
নতুন জীবন আনে কোমল লতায়
তোমার স্বপন স্মৃতি আমার অন্তরে
পরশে পরশে সুখ মনের মন্দিরে।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..