প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
ক্ষেতের চারার থেকে আজ
সবুজ পাটের পাতা ভেঙেছে জমির কারুকাজ
শালার ঘুমটা ভাঙে না
ভাতঘুম ভাতঘুম কিছুতে ভাঙে না
স্বপ্ন আর স্বপ্নদোষে ঘরে বসে কাটে দিন
যেমন সূর্যের সোনা ঝরে প্রতিদিন
বিষণ্ন সূর্যের তেজ
এখনও হয়নি নিস্তেজ
তবু, আমাদের তেলতেলে স্বভাবের আলো
প্রদীপের তলা জুড়ে এতো এতো কালো
চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে কতো বীর্য
মধ্যাহ্ন গগনে হায় সৌম্যকান্তি সূর্য
জনপদে তারপরও আজ কেউ বীর্যবান নই
পাটের আঁশের বেশে আমরাও নেতিয়ে পড়ে রই
আমাদের আবাদী জমির যতো সোনালী পাটের আঁশ
ঘরকে ঘিরছে যেন চারিপাশ
মাঠ থেকে আজ থোকা থোকা পাটপাতা
গ্রাম হাঁট গঞ্জঘাট ছেড়ে শহরের দিকে ওত পাতা
ধীরে ধীরে গঞ্জের ঘাটের যত নৌকার গলুই
গুম হয়ে পড়ে থাকে নদীর দু’পারে ওই
রাস্তাগুলো বেদখল সাড়ম্বরে
একটি বিস্তীর্ণ মরা লাশের খপ্পরে
বাংলার জংলার প্রান্তরের কুয়াশা কাতর হেমন্তকে ঘিরে
আজ আর কোনো উৎসব নেই ওরে
এখানে কেবলি লাশ
খেয়ে যাচ্ছে নিরাসক্ত স্বর্ণালী পাটের আঁশ
এখনও ঘুমের ঘোরে যারা দেখে স্বপ্ন দুচারিটি
এই লাশ এই আঁশ এইসব ঘোলা ঘোলা স্বপ্নের চ্যারিটি
গিলে খাবে মহাকাল গিলে গিলে আয়ু
তেমাদের যত পরমায়ু
আজ সব ফাঁপা ফাঁপা জ্বলন্ত ফানুস
পাটের চারার ঘাম আমাদের হুঁশ
শ্রমিকের ঘরে নুন দিয়ে যাবে
তুমি সেই নুন শুষে শুষে কি করে বানাবে
রক্ত কিংবা একতাল মাংসের স্তুপ
গোধুলি আলোয় সেইসব স্বপ্ন কী স্বপ্নদোষেরা চুপ
সমস্ত ভূগোলে আজ সোনালী আঁশের
বোঁটকা গন্ধের মৌতাত; বিষণ্ন লাশের
চোখ থেকে কেবল পাটের দড়ি
আমাদের ঘরের ভেতরই
ঢুকে পড়ে হুকুম করেছে কোনো
দিগভ্রান্ত জেনারেল যেন
বলে যাচ্ছে মাখো তেল যতো পারো ধনবাদী গুহ্যদ্বারে
আমরা আসব ফের বারে বারে
আসবোই পাটকল থেকে লাশ হয়ে হয়ে
লাশ করে দিয়ে যাব এই রুগ্ন প্রেতের আলোয়
মৃতের সৎকার কিন্তু আমার কাজ না
তোমরা বারে বারে ডাকছো গোরের নিকট
আমি শুধু নীলিমার দিকে চেয়ে থাকি অপলক
আমি তো আমৃত্যু জীবনের কারিগর
শুশ্রুষা আমাকে সাজে
সৎকারে আমার কোনো কাজ নেই
মৃতের শরীর কিংবা আত্মা
কোনোটাই আমাকে টানে না
আমাকে একান্তে আজ থাকতে দাও
তোমাদের কান্নাকাটি লাশধোয়া কবরখনন
এসবে ডেকো না আর পরাস্ত সৈনিকে
নীলিমার শূন্যতায় বিষণ্ন অসীমে
আমি হয়তো খুঁজে নেব অনন্ত জীবন
আমাকে ডেকো না আর মৃতের সৎকারে
(উৎসর্গ: কবি সাজিদুল হক)
আরজ আলীর মা’র জানাজা পড়েনি ওরা ভয়ে
মায়ের লাশের ছবি তুলেছে আরজ বড় মায়া করে
আজ তুমি মদীনাতে কাবা শরীফের সামনে দাঁড়িয়ে
কতো যে সুন্দর ছবি তোলো স্বামীর দু’হাত ধরে
পানির ধরম কিন্তু তরল ও স্বাদহীন গন্ধহীন থাকা
বরফ জলীয় বাষ্প পানির স্বজন তবে তারা পানি নয়
আরজের মায়ের সমাজ আর তোমাদের আদব লেহাজগুলা
শীতল শান্তির পক্ষে তবু কিছুতেই এক নয় এক নয়
শৈশবে ফুফুকে পাই সিনেমা দেখেননি তিনি বেহেস্তের লোভে
এখন তো ঘরে ঘরে সিনেমা হলের যুগ যখন যেমন
মানুষের ধর্ম নয় সজল পানির বেশে শান্তি নিয়ে আসে
এখানে আগুন জ্বলে জাতে পাতে ঠোকাঠুকি চলে সারাক্ষণ
আগুনকে তারা বড় ভালবাসে কিংবা কোনো জ্বলন্ত বিক্ষোভ
অর্থ শিক্ষা ভেদাভেদে ইচ্ছে হলে নেভে জ্বলে যতো ক্ষুব্ধ স্টোভ
সাগরের জলকণা প্রতিটি সন্ধ্যায়
উন্মত্ত ঊর্মিল ঢেউ গ্রাস করে হৃৎপিণ্ড
দ্রুতশ্বাস স্মৃতি
আলুথালু বালুচরে
অন্ধকারে শব্দের সংক্ষুব্ধ আস্ফালন
কেবল কর্ণিয়া দেখে বহু দূর
দূরের ফেনিল জেলেনৌকা লন্ঠনের ছায়া
চাঁদের নিশানা নেই
মেঘস্বর ডমরু বাজায়
চলো চলো
ঝাঁপিয়ে পড়ার এইতো সময়
জলঢোঁরা হয়ে বেঁচে আছি প্রিয়
আমাকে বলো না ফণা তুলে দাঁড়ানোর কথা
আমার শরীর থেকে খসে পড়ে গেছে
যৌবনের সোনালী খোলস টুকু
আমি জলঢোঁরা আমি নির্বীর্য ভীষণ
মিছিলের কন্ঠ শুনে ভয়ে কাঁপি
মানুষের শব্দে খুব শঙ্কা জাগে
কে কোথায় কিভাবে মরেছে
কে আবার কিভাবে রয়েছে বেঁচে
কোথায় ক্যাসিনো থেকে ঝরঝর মুদ্রা গলে পড়ে
কোথায় বালিশ তুলে সহস্র টঙ্কায়
কী আসে কি যায় বলো
কেবল বাঁচার শর্তে মেরুদণ্ড গলে গেছে যার
আমাকে ডেকো না আর
তোমাদের প্রতিবাদী সভায় মিছিলে
আমি জলঢোঁরা সাপ জলেতে গড়াই
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..