প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
আপেল বা কোন বলের মতো একটি ছায়া আমাকে নিয়ে লুফোলুফি খেলে
আকাশে বিদ্যুৎ হেসে চলে গেলে
বাদামী বিকেল দাঁত কেলিয়ে হাসে!
পাহাড়ের স্তব্ধতায় জমে মানঅভিমান কালের ফসিল…
পা ফেলতেই মচমচ কচকচ
আমি ও আমার শব্দগুলো গুটিদানার মতো ঝরতে থাকি শিশিরের সাথে
রোয়া ওঠা উঠোনে খেলতে থাকে চাঁদের এক্কা দোক্কা।
স্বয়ম্ভর সময় হাতের মুঠোয় ধরতে ধরতে বাগিচায় জমে ঘাসপাতা
সাগর উপকূলে বুলবুলের শোর উঠে; কখনো আইলা…
বাবা বলেছিল, ‘ধৈর্যের দিঘি প্রশস্ত কর তবেই অবগাহন হবে।’
অপেক্ষার আকাশ দৈর্ঘ্য-প্রস্তে ব্যাপ্ত হল
অবগাহনের আগেই পৈঠা পার হয়ে আমরা পৌঁছে যাই অবকাশের খেয়াঘাটে..
ছুঁয়েছিলে অঘ্রানের কালে-
মৌমাছিদের ডানাভাঙা শব্দে যখন
ধূপের গন্ধে পোড়ে গোপন প্রশ্বাস।
ফাগুনের উষ্ণতায়
নাভিমূল থেকে কাটে তন্দ্রা-ঘোর
কেটে ঝেঁটে ছুঁড়ে ফেলি পুরনো অসুখ।
এবার ঘামের গায়ে স্মৃতির চাদর
স্মৃতি হয়ে, মেঘ হয়ে এ ভরা ভাদর
এখন স্পর্শে রাখ স্পর্শের দাগ।
পড়ে থাকি এ-শব্দায়মান শহরের একপাশে।
কঙ্কর জড়ানো ঘাস;
সময় শিথিল ঘাসের তলায় করাত বালুতে।
আমি দেখি-
কারও বিষণ্নতা ও ছায়ায় কারও উন্নাসিকতার বিলুপ্তি;
এই ভালো কিছু নেই আকাক্ষ্খা বা আবদার।
জলে পাতা পড়ার শব্দে চতুর তক্ষক যেমন সতর্ক হয়
তেমনই সতর্কতা-
তেমন সুঁচের মতো সূক্ষ্ম বিবেক
হামাগুড়ি দিয়ে কোথাও লুকিয়ে থাকে।
পাতা ঝরার শব্দে তুমি চমকে চাইলে
যেন শুনতে পাও পুরনো দিনের স্পন্দন
যখন স্পর্শ করেছিল সকাল সন্ধ্যাকে
চিরহরিৎ বনের পাশ দিয়ে বেঁকে যাওয়া রাস্তায়
কয়েকটি থেমে যাওয়া মুহূর্তও তো
আঁজলা ভরে রাখে মুহূর্তকাল
তোমার পিঠের কাছে জমানো ব্যথা
শরীরে প্রাগৈতিহাসিক ছায়া
তুমি কেটে যাচ্ছো আবহমান সুতো
শুধু নোঙ্গরে জমা হয় গুটিকয় মুহূর্তের
চমকেওঠা বার্তা…
আমরা পরস্পরকে কিছুই দিতে পারি না
অপরিমেয় বিচ্ছেদ ছাড়া
বিচ্ছেদ কেবলই বিচ্ছেদ
চোখের জলের সাথে সাথে মিশে থাকে ধর্মান্ধতার ক্রোধ
যা সব অর্জনের সাথে বিচ্ছেদ ঘটায়
হৃদয় প্রগতির তন্তু বয়ন করে এধার ওধার দোল খায়
যেন বাবুইয়ের ঘর
ঝড় ও তান্ডব বিচ্ছেদ ঘটায়
শিকড় ও চূড়ার সংযোগ…
কিছু কিছু অক্ষর তো ছেড়ে দিতেই হয়
কিছু কিছু মৌলিক মূহু
হোগলাবনের ঝুলনকাল নয়তো হঠাৎ চমকে দেওয়া
ভোরের স্থাপত্্য
ইচ্ছার অনতিক্রমনতায় জড়িয়ে থাকি অতি বিচ্ছেদকালে…
তোমার ফাগুন চোখ জেগে
এই শিল্পিত কল্পিত কাননে
সিঁদুরের ছায়াঘন আলো যেন সিঁথির ছায়ায়…
ফাগুন কি ফোটায় ফুল দূরতম গ্রাম, মরুপথে!
ফাগুন কি অপেক্ষা জ্বালে যেখানে নদীর ডাক,
বটের ঝুরি নুয়ে ছুঁয়ে দেয় অনুপ্রাসকাল?
তোমার ফাগুন চোখ বল্কলতা খুলে
ডেকে নেয় মহাজাগতিক সৌরভ-স্মরণ।
তোমাকে ভেজাবে বলে স্নিগ্ধতা শিশির হয়;
সেঁজুতির নীচে ছায়া জমে;
জাগতিক ছায়াসব সরে যাবে কিনা!
ছায়ারা থাকুক আলোছায়া দুই বোন
সুফির ক্কালব
তোমার ফাগুন চোখে নেচে বেড়াক
আহ্লাদী অহল্যার মতো।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..