দৌড়
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
কেষ্টপুর বাজারের লোকজন গোল হয়ে ভিড় করে কী জানি দেখছিল। সাহারা পাগলির নজর সেদিকে পড়তেই ও ভিড় লক্ষ্য করে হাঁটা ধরল। ভিড় সরিয়ে সাপের মতো এঁকেবেঁকে ও একেবারে সামনে গিয়েই অবাক হয়ে গেল! একটা কাপড়ের পুঁটলির মধ্যে থেকে একটা ছোট্ট হাত বেরিয়ে আছে। চিৎকার করে কান্না ভেসে আসছে সেই পুঁটলির মধ্যে থেকে। মুষ্টিবদ্ধ সেই হাত যেন সমগ্র বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে!
সমবেত জনতা নানাবিধ মতামত প্রকাশ করছে।
– ক্যাডা জানি পোন্টা ফালাইয়া থুইয়া গেছে গো!
– কুন মা এইরম পাষাণ!
– সাবেদালি অরে লয়া যাও, তুমার বউ তো বাঞ্জা!
– না, না, কি কইন? কুন না কুন জাতের গ্যান্দা!
– কার পাপের ফসল জানি!
– ইমাম সাবরে খবর দ্যাও!
– চেরম্যানেরে ডাক দে!
সূর্যের তাপ আর লোকের ভিড় ক্রমশ বাড়ছে, সাথে সাথে বাচ্চাটির কান্নার জোর কমে আসছে। সবাই যার যার মতামত দিতেই ব্যস্ত। কেউ এগিয়ে গিয়ে বাচ্চাটিকে ধরছে না! বুকে জড়িয়ে কেউ একটু আশ্বাস দিতে পারছে না! সাহারা একবার কটমট করে উপস্থিত জনতার দিকে তাকিয়ে বাচ্চাটিকে কোলে নিতে গেল। সাথে সাথে সবাই,
– ধরিস না, পাগলি! অরে ধরিস না!
বলে চেঁচিয়ে উঠলো। সাহারা নির্বিকার এগিয়ে গিয়ে বাচ্চাটাকে কোলে তুলে নিলো। সমবেত সুধী সমাজ অপরিসীম ঘেন্না আর কৌতূহল নিয়ে তাকিয়ে রইল। কাপড়ের আড়াল সরাতেই ফুটফুটে একটা মুখ বেরিয়ে এলো। দেখে মনে হচ্ছে একরাশ স্বর্ণচাঁপা ফুল! হঠাৎ আলোতে পিটপিট করে ওঠা চোখে কিছুটা বিস্ময়। পাগলির বুকে মায়ের উষ্ণতা পেয়ে কান্না থামায় বাচ্চাটা। বড় বড় চোখ মেলে ও দেখে ওর নতুন মাকে। বয়স মনে হয় একদিনও হয়নি।
পাগলির মাথায় মাঝেমধ্যে বাস্তব চিন্তা বেশ ভালোই খেলে। হতভম্ব ভিড় পিছে ফেলে সাহারা এগোয় নরেশ গোয়ালার বাড়ির দিকে। গোয়ালার বউটির দয়ার শরীর। সাহারা মাঝেমাঝে কচু, হেলেঞ্চা, কলমিশাক তুলে ওকে দেয়। শাক ছাড়া খালিহাতে গেলেও বউটি ওকে খেতে দেয়। ওখানে গেলেই বাচ্চাটার জন্য দুধ জুটে যাবে। সাহারা বাচ্চাটিকে বুকে চেপে দ্রুত হাঁটতে থাকে।
সম্বিৎ ফিরে পেয়ে লোকের মুখ আবার খোলে,
– ছিঃ ছিঃ পাগলি যে পাগলিই! কার পাপ যে হাত দিয়া ধরলো!
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
সকালে উঠে মায়ের মমতামাখা মুড়ি ও লিকার চা খেতাম। তারপর দাদু বলতেন, এবার পড়তে বোস।…..
রোজকার সূর্য ওঠার মত বেলি ভোরে উঠে দরজায় সামনে জল দেয়,ঝাঁট দেয়, ফুল তোলে। তারপর…..
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট অফিসের চাকরির ইন্টারভিউয়ে জটিল একটি প্রশ্ন করা হলো। প্রশ্নটি হচ্ছে –…..