প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
সীমানা!
তার কত পরিচয়, কত ভাগ, রকম-সকম!
বাড়ির সীমানা! খেতের সীমানা! রাষ্ট্র-সীমানা!
ভাষা ভিত্তিক সীমানা পাহাড়!
সীমানার তানে নিজস্ব রাগ, তাল-লয়-সুর…
দ্যোতনা ছড়ায়। কিন্তু ম-নে-র?
মনের সীমানা-
কখনও কখনও প্রাচীরের মতো বেঁধে রাখে চোখ।
আবার কখনও চোখ যায় খুলে…
ডিঙিয়ে পাহাড়, মালভূমি-টিলা, বন-জঙ্গল
সমুদ্র-নদী, সমতলভূমি ছেড়েই নিজের উঠোনে।
রূপ-অপরূপ রূপের মাধুরী টোলপড়া গ্রাম মাঝে-
মধ্য সিঁথিতে পাপড়ি ঠোঁটের ন্যায় ছোট খাল,
তিলকের মতো ছোট ঘর-বাড়ি
ভেজা তুলো মেঘ, যেন কাশবন…
তার পিঠ জুড়ে সুনীল আকাশ; রঙধনু রঙে
কৃষক-নারীর কল-কাকলিতে মুখর সকাল।
গোধূলি সন্ধ্যা, আজান-ঘণ্টা
কানাড়ি সুরের দোয়া ও মন্ত্রে
চাঁদের জ্যোস্না ঢলে ঢলে পড়ে উঠোন-রোয়াকে,
সেখানেই আজও উত্তম কাকা নিজেকে খোঁজেন।
পালকের শোকে-
ছোটে অবিরত… অতীতের মধু স্মৃতির স্বপ্নে!
ছোট পাড়া-গাঁয়ে কাঁদা মাখামাখি
জীবনের লিটমাসে একা খোঁজে; আর শুধু ভাবে-
পাখি যদি হতো-
ডানা ঝাপটিয়ে কাঁটাতার ফেলে দু’পারে অবাধ
মুক্ত আকাশে ওড়ে চলে যেত,
আর সবুজের শ্বাস-প্রশ্বাসে রূপ-রস পেতে
জন্মভূমির মাটি-নিশ্বাস নিতো। তারপর…
রহিম শেখের-
সাথে মারামারি, অভিমান ভুলে…
‘আলেয়া’র আলো, নিয়ে হাসাহাসি, সে কী পাগলামী! সবই আবার নূতন মোড়কে
পুকুরের পাড় ধরে হেঁটে যাবে…শৈশবকালে।
কীরে…র হি ম!-
মনে আছে তোর? মহিশূর বটতলার মেলায়
‘আলেয়া’ হারালো!
সে কত কান্না! কেন যে কেঁদেছি…
পাজরে রয়েছে এখনও অবধি, তাকেও একটু ডেকো।
গুবাক তরুর কোঠরে থাকত টিয়ের ছানারা,
মাছরাঙা, কাঠঠোকরা পাখির সঙ্গ নিতাম —
মনে আছে তোর?
সে কোঠরে সাপ মাঝে মাঝে ছানা ধরতে আসত। ছানাকে বাঁচাতে সাপের কামড়…
খেলে সে কষ্টে, তুইও কষ্ট পেতি… মনে আছে?
ইচিং বিচিং, এক্কা দোক্কা, চারা খেলা, আর
বউচি খেলায় ‘আলেয়া’কে নিয়ে হতো কত কাটাকাটি! ওপেন টু বাইস্কোপ, কুতকুত
টোপাভাতি, আর কানামাছি ভোঁ ভোঁ, কত যে খেলেছি। মনে আছে আলেয়া’র?
পুতুল খেলায় বর না করাতে ডাংগুলি মেরে
‘আলেয়া’র খুন ঝরিয়েছি। আরও কত যে কী!
দুজনের বাড়ি ছিল পাশাপাশি,
সকাল না হতে ছুটে চলে যেতে আলেয়া’র বাড়ি,
সে কী রাগ হতো…
আজও হাসি মনে, এপারেতে বসে।
একদিন তোর শিশুর পোষাক খুলে দিলি ডুব,
কি কারণে জানি উঠলি না ভেসে…
‘আলেয়া’ লাফিয়ে বাঁচালো তোকেই।
ভেবে দুখ পাই, ধর্ম আলাদা করে যে আমায়।
ধর্মের যাঁতাকলে দুইভাগ!
একভাগ পানি, একভাগ জল, এ কেমন বিধি?
জল নিলো পিছু,
রয়ে গেল পানি, হারালাম বাটি।
রয়ে গেল নাড়ী!
তার টান আজও ছাড়িতে না পারি,
নিজ দেশে থেকে মনে পরবাসী।
হায়! দেশ! দ্বেষ!
মাত্র মাইল দুয়েক পরেই জন্মভূমির ঠিকানা!
বহু বৎসর ধরে শুধু ভাবি…
এই দু’মাইল কত দূর…দূর! “দিল্লী বহুত দূর”?
কাঁটাতার বেড়া-
দুরুত্বটাকে বাড়িয়ে দিয়েছে…
পড়শী তো নয় যেন, দূর পরবাসী।
বুকের গভীরে জন্মভূমির মানচিত্রের ছবি।
পাসপোর্ট ছাড়া-
যেতে না দিলেও, মৃত্যুর পরে…
চিতার বাসর সেখানে করিও ওহে সূধীজন!
যদিও তোমরা…বলবে আমায়- দেশদ্রোহী।
উত্তম কাকা-
ঘুম থেকে জেগে মনে মনে ভাবে
এ কোন্ স্বপন!
দেশ প্রেমিকের লাইসেন্স কী শুধু পাসপোর্ট?
ও…রহিম শেখ-
‘আলেয়া’রে খবরখান জানাই রাইখ্খ…
বকুল তলায় আলেয়া’র লগে খেলামু,
জন্ম ভিডাটা আগের মতন রাইখ্খ…
আমি আইতাছি, ওহানে পিদিম জালামু।
পাসপোর্টডারে পুইড়্ড়াই দিমু।
মনডায় জ্বালা, এক মুড মাডি দিবা?
অঙ্গে মাখামু!
মাডিতে একটু ঠাই দিবা বাহে…
একটু ঠাই দিবা বাহে…
ঠাই দিবা বাহে-
গেঁথে রাখো যদি প্রিয়ভাষী- শকুন্তলা সন্তাপন
ঘন-ঘোর বনে অমা-বৃষ্টি চঞ্চলা হরিণী যত…
আখছোবরার অধিকালে যাঁতে মায়াবী ক্ষতই
’সরাবান তহুরা’ পিয়াসী তাপসীর আলাপন।
বিদূষক রাত্রির কিনারে বিনয়ী চাবুক কাঁপে
সারিবাঁধা সেগুনবীথিতে রিনিঝিনি বৃষ্টি ছোটে…
আধ-ভাঙা ছড়ার ভিতর সুক্ত জমে না মোটেই
কি কথা কহ হে, কাপালিক! প্রণয়-ভিক্ষার ভাঁপে।
বিবাগীকানন নিশি জাগে, শতবর্ষী অপেক্ষায়!
কোন কু-লক্ষণে অর্ধ-রাত্রি কাটে প্রদোষের দেশে…
সুখতারা নৌকা নিয়ে আসে রুদ্ধ বারতা শেষেই
অধি-সরসী ঝঙ্কারে নেচে জলকেলি স্বপ্নে আয়।
চাঁদ-মূখী কথার সন্তাপে দু’টি প্রাণে বাজে ডুগডুগি
প্রেয়সীর নীরব ঘাতক বেদানার রসে বাঁচে যোগী।
নির্জীব নির্জন…খুঁজে ফিরি একাই
পান্থ, পথ দাও যেথায় চাই;
ওই দূর জলসায়, জ্বলেছি অবেলায়
পাইনি হরদম মনের ঠাঁই।
বিহ্বল রৌদ্দুর…কেটে-কুটে আঁধার
স্বর্ণ-মন্দির কিছুই নয়;
পিঞ্জর সন্ধ্যায়. তারারা কথা কয়
তাজমহল তাই মুখরময়।
বিভ্রম চিন্তায় কোথা যে তোকে পাই
খুঁজছি বিস্তর মনের ’পর;
চঞ্চল হৃদ-মন, খোদা কি ভগবান
পাইনি আজতক এ উত্তর।
সুনসান চিৎকার…আকাশে ছেঁয়ে যায়
নেই কি উত্তর মানুষজন;
রাত্রির ঘোর-বন, আদরে কোলে নেয়
সৃষ্ট সবটাই আপন-মন।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..