প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
আমার ঘর
কিছু আসবাব
বইয়ের তাক-ভর্তি কত-ও বই,
ধূলোপড়া রোজের কাগজ
একধারে স্তূপাকার।
বিছানার চাদরের একটা কোণা
পাখার বাতাসে উড়ছে,
আনন্দে -পতপত করে
ঝড়ের পূর্বাভাস পাই যেন,
খোলা জানলার পশ্চিমী-হাওয়া নয়তো!
পুরনো আরামকেদারায় গা এলিয়ে
ভাবি, আসুক ঝড়
তবে একটু সামলে, হালকা মেজাজে
তান্ডব এসে সবকিছু তছনছ না হয়!
সাবধানী আমি সর্বদা,
জীবনটা এ’ভাবেই চলে আমার
ভাবি দাগ লাগতে দেবো না-
দেখি, সত্যি কতোটা পারি।
ছোটবেলার গল্পের ‘নীলনদ’
টেল থাকতো সেখানে,
সেটা নাকি আফ্রিকায়
আরো কিছু, ‘দেশবিদেশের ছেলেমেয়ে’।
সুজয় ওদের সবার সাথে,
আমারও পরিচয় করায়।
তখন থেকেই মনে মধ্যে
নীলজলের শান্ত ছায়ার স্বপ্ন
যেন কতোদিনের দেখা-চেনা ওর সাথে,
রকম-সকম-ভাব-ভঙ্গি
সবই আমার পরিচিত।
‘টেল’ পড়ার বই ভেদ করে, কখন যেন
আমার বন্ধু হয়ে গেছিলো।
আমি তখন ক্লাস ফোরে,
পাঠ্য বই ‘কিশলয়’ এর পাতা খুললেই
টেল, হাসতো ওর প্রাণখোলা হসিতে।
ও, সারাদিন বরফ ঢাকা দেশে
‘স্কি’ করে বেড়াতো,
সঙ্গী হতে বলতো আমায়।
আমি দোটানায় পড়তাম,
‘মা-কে ছেড়ে অতদূরের পথ
নীলনদ-এর দেশে, থাকতে পারবো না’-
টেল-কে জানালাম সে’ কথা,
ওর হাসি মুখটা গম্ভীর হয়ে গেলো মুহূর্তে।
তারপর অন্য ক্লাস
অন্য পাঠ্য-বই,
ভুলে গেলাম টেল-কে।
আজ জানতে ইচ্ছে করে
‘টেল, তুমি কি ওমন-ই আছো
আজ-ও হাসি মুখে? ‘
তবে, আজ-ও যেতে পারবো না গো
নীলনদ-এর দেশে –
আমি যে সংসারের জাতাঁকলে
জড়িয়ে ফেলেছি নিজেকে!
বোবা-মৌনের কথারা শরীরে মেশে,
অঙ্গে বিভঙ্গে কথা বলে ওঠে।
দুপুরবেলার নভেলটা রোজের অভ্যাসে
আলগোছে বুকের আঁচলের ওপরে
খানিক জিরিয়ে নেয়
চোখ বুজে আসে আরামে।
নভেল থেকে বেড়িয়ে আসে পাত্র-পাত্রীরা
নাটকীয় সংলাপ শুনি।
অবচেতনে, ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে
অনুভব করি হৃদযন্ত্রের কাছাকাছি
ওদের ভালোবাসার কথপোকথন।
সুখী সে’ নায়িকার বুকের সুগন্ধী
কখন যেন ঘুমন্ত-নারীর শরীর বেয়ে নামে
চলে আসে সুখের হাতছানি তে,
হাজারো অসুবিধার মাঝে ও।
নভেল ওকে করে পরিতৃপ্ত,
ভাবতে পারে নিজেকে নিয়ে আজ-
স্থান-কাল ভেদে
দর্শনশাস্ত্রের ছাত্রী না হয়েও
নারী হয়ে ওঠে দার্শনিক।
সেদিন, এ’ কারণে-ই পরী হতে
চেয়েছিলাম-
দেশবিদেশ ঘুড়ে বেড়াতাম নিজের সখে
ইচ্ছে হ’লেই।
পাসপোর্টের আর দরকার
পড়তো না-
টপকে টপকে এক দেশ থেকে অন্য দেশে,
স্বাধীন হ’তাম।
তবে আর পরী না, শরীরকে বাদ দিয়ে
ধরো হাওয়া হ’লাম।
আলো-ছায়া বিহীন, এক অনুভব মাত্র
অনুভূতিতে খুঁজে নিতে।
তবু,
কাছে থাকলেও দেখতে পেতেনা তুমি –
আমিতো তখন অশরীরী।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..