বেশরম
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
পা পদ্মে তোমার
হুড়মুড় করে চুমু খাচ্ছে বৈকালিক বখাটে রোদ
যেনবা তিন দিনের না খাওয়া লোক গিলছে বিরিয়ানি
পার্কের বেঞ্চিতে বর্ণালি তুমি, পাশে পানির বোতল
আইফোনের আঠালো স্ক্রিন থেকে নজর ফেরালে
সে চুরমার করা চাহনিতে
সবুজ শার্টের বোতাম খুলে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে গাছের পর গাছ
কথা না বলা কুঁড়িরা আড়মোড়া ভাংছে ডালের দোলনায়
সোহাগ বুকে তুলে মলয় খেলছে বউচি বউচি খেলা
আর আমার অধৈর্য অধর
তোমার পায়ের কাছে পড়ে আছে চিবানো চুইনগামের মত, বড় বিধ্বস্ত
হাঙ্গর হজম করবে বলে নামিনি নদীতে
ভেসে যাবার ভয়
পুষি না কলিজায়
তরঙ্গ তিমিরে জানি সাঁতার সাবধানে
ডুবে মরার ডর
নেই একান্ত অভিধানে
শিখেছি কুমিরকে কব্জা করতে আমিও
ধসে যেতে যেতে
চর হয়ে জেগে উঠবো অদূরে
দিনদিন অন্তর্গত শূন্যস্থানের বিশালতা দেখে আঁতকে উঠি
অতলস্পর্শী খাদের দিকে তাকিয়ে ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে যাই
মূর্খতার মহাবিশ্ব ঠেলে ঠেলে কি করে আঁকবো একটি নিজস্ব বিন্দু
কি করে টানবো একটি অচেনা রেখা অন্ধকার গর্তে হাবুডুবু খেয়ে
বিপুল ঘাটতির পরেও আমি স্বপ্ন পুষি, পৃথক পথের; একটি পৃথক পৃথিবীর
কষ্টের ককপিটে মেলে ধরি প্রত্যাশার পাপড়ি, রংধনু আকাঙ্ক্ষা
সমীর শিহরণ কতিপয় আলতো ঢুকে পড়ে দুঃখের দরজা ঠেলে
সুপ্রভাত- বলে আমি ডেকে উঠি, কেঁদে উঠি মধ্যরাতের বধ্যভূমিতে
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
একি অনাসৃষ্টি নিত্য পণ্য উর্ধ দাম মন তার ভালো নেই, বাজারেতে যেতে যে হবে…..
পাশের রাস্তাতে তিন জন্মের লাশ ; অনিয়মহীন এভাবেই একক অপার্থিব অশরীর ৷ উল্টোদিকে আমি…..
পাষাণের প্রেম বিকট স্তব্ধতায় সুনিপুণ সীমানা প্রাচীর তুলেছ, বেসামাল ভালোবাসার জাগতিক জায়নামাজে। প্রার্থনার গতিরোধ করো…..