প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
তোমার গন্ধ পাললিক শিলার মত স্তরে স্তরে জমে আছে।
শীত প্রকোপে ঝরাপাতার মত কিছু সাদামাটা পরিধানে,
পুরনো তোরঙ্গে ব্যর্থ কবিতায় ভরা ডাইরির পাতায়,
এমনকি পাঁচটাকা দামের শেষ কেনা কলমটিতে পর্যন্ত,
সব, সব সাজানো আছে।
তারা মৃদু সুগন্ধীর মত ছড়িয়ে দেয় তোমার উপেক্ষিত অস্তিত্ব।
বদ্ধ জলাশয়ের তরঙ্গ তোলার ব্যর্থ প্রয়াসের মত,
তুমি চেয়েছিলে এক তরঙ্গঘন সংসার তটভূমি।
তীর ছুঁয়ে কূল ছাপিয়ে আনন্দ হাসির প্রগাঢ় ঢেউ,
ভিজিয়ে দেবে তোমার আঁকড়ে ধরা তটভূমি,
তুমি টলমল হয়ে এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়তে চেয়েছিলে,
সেই ঢেউয়ের অতলে।
সুদূর প্রান্তরে বুলেট বিদ্ধ সৈনিকের ঝাঁঝরা শরীরের মত,
অসংখ্য ক্ষত তোমার আশার ছায়াতরুকে করেছে,
স্থবির মৈনাক পর্বত।
সেই ব্যর্থ-তটভূমির মাঝে আমি আজও পাই,
তোমার বিনিদ্র প্রহরার সতর্ক ঘ্রাণ।
বাবা তুমিও পাচ্ছ তোমারই আঘ্রাণ,
বাবা, পাচ্ছ কি?
দুটি সমান্তরাল মনের মানুষ একে অপরকে বেষ্টন করে,
গড়ে তোলে মানব বন্ধন।
মাসকাবারি হিসেব নিকেষ শিকেয় তুলে,
জ্বালায় ভালোবাসার চিন্ময় বাসর।
সপ্তপদীর অমোঘ মায়ায় শ্রাবণ ভেজা,
মেঘ-জলের ঝুলন সাঁঝে কখন যেন তারা হারিয়ে যায়,
চেনা বাগানের ছাতিম কদমের আঁকে বাঁকে।
মাটি ভেজা গাছের মতই তৃপ্তির স্বরলিপি সাজিয়ে দেয়,
প্রকৃতির আদিম বীজতলায়।
রিমঝিম বৃষ্টির বন্ধন-বেষ্টনীর নুইয়ে পড়া সুধারস,
আষ্টেপৃষ্ঠে আগলে রাখে পরিয়ায়ি মনের অমৃত অনুভব।
যুবতী ধানের গোলার মত পশ্চিমের আকাশ জুড়ে,
সূর্যের সম্পদ বিতরণ শেষ সেই দিনটির জন্য।
মাটি ঘেঁষা গ্রাম গোধূলীর বিদায়ের ক্ষণে
সাঁঝের প্রদীপে এঁকে যায় রাতের পটভূমি,
নদীর ভাসমান বক্ষে সেজে উঠে মহাকাশ।
নক্ষত্রলোকের পরিব্যাপ্ত সুধারস,
ঝিঁঝিঁ জোনাকের ঐক্যতান; বুনো ফুলের স্মিতহাসি,
রাত জাগা পাখীদের ডানা ঝাপটানোর শব্দে,
মৃদু হাওয়ার অনুভবে প্রাজ্ঞ ছায়াতরু,
স্তব্ধতায় গড়ে তোলে অবগুন্ঠন রাতের শিশমহলে।
জোছনা উপত্যকায় নিশিথের নিশি জাগরণ,
ক্লান্ত প্রদীপের শিখা ছুঁয়ে যায় শেষের প্রহর।
ঝরা বকুলের মায়াময় পথে নদীতটে নামে শুকতারা,
আজানের সুরে ভৈরবী তানে জেগে উঠে,
আগামীর ভোর পুবের আলয়ে।
শেষ যে পথে তুমি আমার কাছ থেকে
রাত্রি চেয়ে নিয়ে, ফিরিয়ে দিয়েছিলে আলোক নিকেতন।
আমি সেই ভোরের আলোয় দেখেছিলাম
তোমার কুসুম উপত্যকায় সাজানো
অভিমানহত ছায়াদের নিটোল সুষমা।
তারা দুঃখ সুখের গন্ডী পার করে,
মিশে গেছে অনন্ত উদাসী হাওয়ায়।
সাঁঝ ফুরানো রাতে আমার জন্য রেখে গেছে,
নিবিড় ছায়াপথের সজল মেঘের ধারা।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..