প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
তুমি কি পিল খাও—না…
‘না’ বলে পাখিটি উড়ে গেলো
পিছনে পুকুরের জলে একটি দীর্ঘ ছায়া
শোনো, শিশুটি কাঁদছে পিলের উষ্ণতায়!
টেড হিউজ আর সিলভিয়া প্লাথ টেমসের দুঃখ
গাছের ডালে-ডালে কথা কয় কবিতাপুত্র,
শ্রী শ্রী লোকনাথ বাবা তাকিয়ে আছে বোবা
সিগ্রেট জ্বলছে—তোমার মুখে ধূমকেতু;
আপনি থেকে তুমি—আর সেই থেকে (a+b)2
(a-b)2 ভাবতে-ভাবতে প্রপাগান্ডিস্ট কাদায় লুকায়,
শতশত জীর্ণ মুখ দাঁড়ায় (a2-b2)-এর ক্ষুধার্ত সারিতে;
মন্দিরের ঘণ্টার মতো চেয়ে আছে শীতল দু’টি চোখ।
পৃথিবী এখন খুব গোপনের—কুয়োতলে কুয়াশাচর
কোনো রাগ নেই—ভাসছে বেলুন—ফাটছে ছায়া,
বারবার কেটে ফেলছে ফটোগ্রাফ—গ্রিনহাউজে ধোঁয়া
বুকের গহীনে ভাসমান নাগিনীরা ফেলছে নিঃশ্বাস;
কাঁদছে বাসের জানালা—কষ্টরা নিত্যফেরিওয়ালা
সারা বাসজুড়ে কাঁচা-পাকা গন্ধ—তুমিই উড়াচ্ছো ছাই!
জানালা আর আয়নায় তোমারই দীঘল ছায়া দোলে
সরল মানুষের ডানায় চলন্ত বাসের ঘামক্লান্ত শরীর;
স্নানাগারে যাও—দ্যাখো, উদোম করেছে ঊরুর কপাট
আধঘণ্টা খুব বেশি নয় সময়—শুধু একবার এসো…
গন্ধ শুঁকে বুঝে নিবো তুমি পারিজাত প্রজাপতি
প্রেমের কোকিল যেভাবেই ডাকে—গান হয়ে যায়;
শুধুই দু’জন—প্রতিদিন বাসায় একই লাইটপাখি জ্বলে
রেডি হয়ে যাও—সেলুলয়েডে ছাপা হবে অর্ধনগ্ন নাভী,
রোজসংসার আর ভালোলাগে না—উড়িয়ে দাও মেঘ;
পৃথিবী দেখুক থমকে দাঁড়িয়ে—চলো পাখি হই ডানাহীন।
তুমিসম পরাবাস্তব শূন্যতা… পাঁজরে ডালিমফুল আনন্দ
বারান্দা আঙিনা কার্নিশ আর চোখের জাদুবাস্তবতা,
আমি জানি তুমিই আমার অনাগত অপুষ্ট শীতের কাঞ্চনজঙ্ঘা;
যেভাবে তাকিয়ে আছো যেনো মেঘের কোলাজ ভেঙে
বের হতে চায় নিজস্ব রকেট—বাতাবীলেবুর উদ্যান
আপন মহিমায় প্রজ্বলিত হোক চিরন্তন শিখা;
মাস্তুলে ঘূর্ণিঝড়… এখানে কোনো সমতট নেই
শুধু কাঁকড়া গোখরা আর গোরখোদকের বসতভিটা;
তোমার-আমার মাঝে নীরব পড়ে আছে বাল্মিকীর ধ্যান, ভোরের শিশিরআয়না, বালিশসন্তান আর বিছানানদী।
তোমার মসৃণ চুল বেয়ে নেমে যাচ্ছে যে-ইঁদুরছানা
তাকেও দিয়ো দুর্বিনীত সুখের ধারাপাত,
আমরাও হয়তো একদিন গাছ হবো মেঘের তলপেটে;
সমস্ত দূরত্ব ভেদ করে তোমার কপালে ফুটাবো
আলোর ত্রিভুজ প্রিজম কবিতাফুল, তারপর
ধীরে-ধীরে নেমে যাবো অতলে অচিন ডুবুরি।
দুঃখ~ভেজা কাঠ। ওরা মৃদঙ্গবিলাসী—কাঠের বোতাম। পিতলের হাঁস হাসে চুকচুক। ক্ষুব্ধ~কাঠবলদ; কাঠবিড়ালির আনন্দমজমা। দাঁড়িয়াবান্দা হারিয়ে যায় হাঁড়িয়াবান্দায়। শৈশব একটা গ্লাসহাউজ~কাশপিয়ান ভেলা~কাস্পিয়ান ইঁদুর। ঘুমঘুম পাতা ঝরে; কিংবা ঝরাপাতার মুখরোচক কলরোল। গভীর দুঃখ~বিবিধ নিষেধাজ্ঞা—বহুমাত্রিক মৃত্যুর রঙ; উৎসব গান আর এপিটাফ।
জল গড়িয়ে যায়~কুলফির ব্যথা; জুলফিওয়ালি জিরাফ নাচে। আত্মজার আত্মা পুড়ছে—ধর্ম ধর্ম~ওম শান্তি! শিক্ষানবিশ শিক্ষানীতি তিমিরশিক্ষক~দারুণ-দারুণ অরুণ-তরুণ বইতরণী প্রপাত। আত্মা পুড়ছে~আত্মা হাসছে~ভাসছে চোখে-চোখে নিমহাওয়া। কোল-কূল, উপকূল-মানবকূল—জননীকোলে শিশু, আত্মা আর চৌম্বকফুল।
মাতাল-চাতাল-পাতাল; বিনিদ্র দুঃখবিরতি। ব্লাউজফাটা আর্তনাদ। আঙিনায় ছড়ানো অসমাপ্ত জ্যোৎস্নাবাগান। নদী আর পুকুরের বানান হাঁটি-হাঁটি পা-পা জলজ-আঁধার-মিনার। মহাশূন্যের ছায়ায়-ছায়ায় ওড়ে আত্মাযান।
আত্মা~ ধুকধুক ছায়াবাজি খেলা…
দমদম হাওয়াটুস্ট; হাসতে-হাসতে ভাসতে-ভাসতে~আমি এখন থোকা-থোকা বোকা-সোকা ভ্রূণফুল। কবিকুল মহাসঙ্কুল~মহাশয়ের মহাশঙ্খ বাজে মহারণ্যে। নাকপাশ ঘিরে নাগপুরের নাগপুষ্প উড়ায় নগরনাগর। কী এক হট্টগোল রটে-রটে রুটে-রুটে ছুটে-ছুটে ফুটায় কবিতাশ্রম!
বিভ্রমাশ্রমে ওরা কারা~যারা তারা বানায়~নদীর বাঁকে ফাঁকে-ফাঁকে। একদিন সাঁকো-সাঁকো সাঁতারখেলা হবে আঁকুপাঁকু; সাঁতারু এঁকেবেঁকে এঁকে যাবে বাঁকো-সাঁকো কৌণিক ঢেউ। কবিতাকাশে খসে-খসে ঝরে পড়বে খসখসে আঁধার! এবার থামাও সেতারের ভুলভাল মুদ্রানাচ।
মশারির ঝালরে স্ফীত হয় মুদ্রানীতি। চায়ের লোহিতকণিকায় হ্রাস পাচ্ছে শ্বেতকণিকার রাশভারি চোখ। দলছুট বানর হয়ে~শব্দ-বাক্য-যতিচিহ্নের যত্রতত্র পড়ে আছে~অতিশয় নীচু বামন। বামুনের ছলছল ছলাকলায় বিস্মৃত বাকল-বকনা যেনো কবিতাগতর।
দাঁড়িয়ে আছে স্টেশন। ট্রেনবাহী উম্মা-উম্মা শৈশব। হাম্বা-হাম্বা নীরবতা। খাম্বা-খাম্বা কঙ্কালঢেউ~কুটির-কুটির অট্টহাসি। মা কি জানতো~শিয়ালবাড়িতে শিয়াল নেই! বহুগামী কুকুরেরা বাগান সাজায় চাঁদেরহাটে। খিয়ালবাড়িতে খিলখিল হাসে শিয়াল-বেজির চাটুকার।
স্টেশন ফাঁকা হলেও তোমাদের জিহ্বাটান~পরিপূর্ণ ভরাট হলেও জিভেজল! ডিপজল কি আলকাতরার আলকাটা পোকা! চেসোয়াভ মিউশ~আমার বিগত রিক্তবক্ষ কারাগারে~মাংসপিণ্ডের প্রাতরাশ; সুবল-ধবল গাভীর দেহরক্ষী। জিভচাটা বিড়াল হাঁটে সমান্তরাল। বীর্যহীন একটা বীভৎস বলদ হতে চাইলো রাজসাক্ষী।
স্টেশন ঘুমিয়েছে। লালঝুঁটি মোরগফুল~ভুল-ভুল ভোরবল। রক্তবীজ ডাকছে। ঝরে পড়ছে পাউডারমাখা লাবণ্য। নিউরনের খোলাবাক্সে আরশোলার গন্ধম সঙ্গম। আর আমরা হাঁটুজলে হাঁটতে-হাঁটতে ক্লান্ত। হাঁটুক জানে না~কখন হারিয়ে গেছে~তার স্বপ্নের জাদুকরী পাদুকা।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..