ঝরা শিউলি
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
পূর্বা মরে গেছে আজ এগারো মাস, দৌড়ে দৌড়ে সময়টা চলে গেলো! ওর মৃত্যুতে অসীম একটু কাঁদলো না ওর বাড়ি গেল না, ওর বাবা মাকে একটু শান্তনা দিলো না, বরং অনেকটাই পালিয়ে পালিয়ে ছিল, সেটাই শুধুমাত্র করার ছিল ওর।
অসীম ছিল ওর একমাত্র ঘনিষ্ঠ বন্ধু, ক্লাসমেট এবং আপন ভাইয়ের মত কিছু একটা সম্পর্ক; অসীম এরকমটাই ভাবতো, ভাবতো পূর্বা ওকে ভাই এর চোখে দেখে এবং ও নিজেও ওকে বোনের মতই ভাবার চেষ্টা করতো কিন্তু ভেতরে ভেতরে পূর্বাকে প্রেমিকা কিংবা স্ত্রী হিসেবেই চাইতো কিন্তু ও জানে এসব একদম অসম্ভব চাওয়া তাই নিজের ইচ্ছেগুলোকে সচেতন ভাবেই গোপন করে রাখতো।
সবদিক থেকে চিন্তা করলে পূর্বা ওর বন্ধু কিংবা খুব বেশি হলে বোনের মত; এর বেশি কিছু নয়।
কিন্তু মাঝে মাঝে অসীম দুঃসাহসী হয়ে উঠতো, বই দেয়া নেয়ার সময় কিংবা হাঁটতে হাঁটতে ভুলে ধাক্কা লেগে অথবা নিতান্ত ,ওকে উঁচু কোথাও কোন রাস্তা কিংবা গাড়িতে উঠতে সাহায্য করার অজুহাতে ছুয়ে দিত ও, পূর্বা কখনো কিছু বুঝতে পারতো কিনা অসীম জানেনা কিন্তু কখনো সে এই ব্যাপারে আপত্তি দেখায়নি।
পূর্বা সুন্দরী, ক্লাসে মেধা তালিকায় প্রথম সারির, স্মার্ট মানবতাবাদী সৎ চরিত্রের এক গুনী মেয়ে, আর অসীম ঠিক যেন উল্টো, সিগারেট, নেশা, অন্যায় প্রায় সবার সাথে বাজে ব্যবহার, মিথ্যা বলা; কোন দোষটি নেই!
তারপর ও কীভাবে কীভাবে যেন ওর সাথে বন্ধুত্ত হয়ে গেলো!! তাই পূর্বার সাথে এর থেকে বেশি আশা করা বোকামি! ভালো করেই জানে অসীম।।
হঠাৎ সব ওলটপালট হয়ে গেলো একদিন, ক্লাসেই এক পলিটিকাল লিডারের ছেলের চোখ পড়ে পূর্বার উপর। ক্লাসের সবাই ভালো করেই জানে অসীম পূর্বার বেস্ট ফ্রেন্ড। কাজেই ওকেই ব্যবহার করে সেই ছেলে, খুব খারাপ উদ্দেশেই ব্যবহার করে।।
পুরো এক লাখ টাকা হাতে দিয়ে সেই ছেলেটি অসীমকে বলল “একদিন পূর্বার সাথে ডেট করিয়ে দে না ভাই, ওকে আমি ভীষণ ভালোবাসি। বিশ্বাস কর ওর কোন ক্ষতি আমি করবোনা।”
টাকার প্রয়োজন কার না আছে, এমনিতেও নেশার ব্যাপারটা বাসায় জেনে যাওয়ায় হাত খরচ বন্ধ প্রায়, তাছাড়া ওকে ভালবাসে ছেলেটি, অসীমের হবেনা বলে কি পূর্বা কারো হবেনা!??
পূর্বা এবং ওর নিজের ভালো ভালো ভবিষ্যৎ দিকগুলো চিন্তা করেই রাজি হয়, তারপর একদিন সেই ছেলেটির দেয়া সময় অনুযায়ী পূর্বাকে নিষ্পাপ সত্য সাধু গলায় বলে মা ওকে বাসায় নিয়ে যেতে বলেছে। আজই! এই এক্ষুনি।
আর সেই ছেলেটির ফ্লাটে নিয়ে গিয়ে ছেলেটির হাতে তুলে দিয়ে; পূর্বা কিছু বুঝে ওঠার আগেই দ্রুত চলে আসে সেখান থেকে।
পরের কয়দিন আর পূর্বার খোঁজ নেই।
তারপর একদিন পুরো ভার্সিটি স্তব্ধ।
পূর্বাকে কে বা কারা যেন হত্যা করে ফেলে দিয়েছে নর্দমায়, উদ্ধার হয়েছে ওর অর্ধ গলিত লাশ। প্রাথমিক ভাবে লাশের আলামত দেখে পুলিশ ধারণা করছে রেপ করে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে মেয়েটিকে, বডি পোষ্টমর্টেমের জন্য নিয়ে গেলো তারা।
অনেক দিন ধরেই কেসটা চলল, কারো কিছুই হলনা।
একদিন রাসেল বলল চল আমরা পূর্বার স্মৃতি ধরে রাখি একটা ওয়েব পেইজ বানাই ওকে নিয়ে, সেখানে পূর্বা আমাদের যা যা এস এম এস আর ইনবক্স করেছে সব জমা করে রাখবো।
তারপর এটা নিয়ে সবাই অনেক অনেক কাজ করলো যার যার কাছে যা যা ম্যাসেজ ছিল সব ঐ ওয়েব পেইজে সংরক্ষণ করা হল।।
কম্পিউটার খুলে অসীম আমাদের বন্ধু পূর্বা ডট কমে যায়। একের পর এক ম্যাসেজ খুলে পড়তে থাকে ও, সেখানে ওকে দেয়া ম্যাসেজগুলোও পেয়ে যায়। তারপর পূর্বার এক কাজিনকে দেয়া ম্যাসেজে এসে চোখ আটকে যায় ওর।
সেখানে লেখা, ‘আমি অসীমকে ভালোবাসিরে’, ওর চরিত্রের ভুল ত্রুটিগুলো ও আয়ত্তে নিয়ে এলেই ওকে বলবো যে আমি তোকে ভালোবাসি গাঁধা, তোর সাথে বাকী জীবনটা পার করতে চাই।
ছল ছল চোখে কম্পিউটার বন্ধ করে উঠে দাঁড়ায় অসীম। রান্নাঘর থেকে ধারালো বটিটা হাতে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে,
তখন সন্ধ্যা ছয়টা,
এ সময় পূর্বার হত্যাকারীকে অনায়াসেই পাওয়া যাবে ওদের গোপন মদের আড্ডায়।
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
শেষ থেকে শুরু। আমি রজকিনী রামী,ধোপার বংশে জন্ম আমার।ঘাটে সখিদের সঙ্গে কাপড় কাচি। একাজটা আমি…..
মালঞ্চার পথে ভোরবেলা। সূর্য সবে উঠছিল। বৈশালী দূর থেকে দেখতে পেল,বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ডে বালুরঘাটের দিকে মুখ…..
আমার বাবা ছিলেন অত্যন্ত সাহসী একজন লড়াকু মনের মানুষ।শত অভাব অভিযোগেও তাকে কোনোদিন ভেঙ্গে…..