ঝরা শিউলি
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
ক্ষণস্থায়ী এ জীবন কত বিচিত্র রঙে ভরপুর। ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলায়। কখনো লাল টুকটুকে ফুটন্ত গোলাপ, কখনো বিষাদে ভরাধূসর গোধুলী, কখনো বা বেদনায় নুইয়ে পড়া নীলপদ্ম।
হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন নয়, আজকাল তুচ্ছ অনেক আবেগেও চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। অভিমানের বর্ণমালায় সাজানো মন ডিগবাজি খেয়ে ফিরে দেখে মেঘলা আকাশ, আকাশসীমায় যোগ বিয়োগের হিসাব।
হিসাবে বরাবরই আমি দূর্বল। গণিতশাস্ত্র বুঝতে পিথাগোরাসের উপপাদ্য আয়ত্বে নেবার ক্ষমতা আমার কখনোই ছিলনা। তবে ছোট থেকেই কোনকিছু অর্জনের পক্ষে পরিশ্রমের বিষয়টা আমাকে ঠিকই ভাবাতো। এই অভ্যেসটা আজও রয়ে গেছে। হাতের কনুই-কব্জিতে মেডিক্যাল ব্রেইসেস লাগানো আমার আঙ্গুল প্রায়ই বিদ্রোহ ঘোষণায় জানান দিয়ে যায়, ইট’স অভার! কিন্তু আমি থামিনা। পাল্টা বিদ্রোহে তখনো আমি লিখি। পড়াশুনো, লেখালিখি আমাকে টিকে থাকার উপকরণ যোগান দেয়।
ছোটবেলায় পড়াশুনোয় আমি ছিলাম দূর্দান্ত মেধাবী। মাঝে মাঝে স্কুল ফাঁকি দেয়া আমি ঠিকই শূন্যস্থান পূরণ করে নিতাম পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার নিয়ে। গুলিতে-কুপিয়ে মেরে ফেলা বড় ভাইটার লাশ উঠোনে রেখেও সেদিন আমি স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছিলাম। ওরা বলেছিল, ‘যাসনে! চারদিকে শত্রুরা পিস্তল, বোমা নিয়ে ঘুরছে। কখন আমাদের বাড়ি-ঘর সবাইকে জ্বালিয়ে দেয়! এবছর পরীক্ষা দিতে হবেনা, ঘরে থাক।’
১৯৯৫। সালটা ছিল আমার পরিবারের জন্য এক ভয়াবহ সময়কাল। বাবার রাজনৈতিক সূত্র ধরে ক্ষমতার লোভে আমার ভাই মাসুদকে হত্যা করা হয় ২৯শে এপ্রিল। আমি তখন অতি নম্র স্বভাবের ক্লাসে সর্বোচ্চ ফলাফল তোলাদের একজন স্কুল কিশোরী। আমার পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনেই ঘটনাটি ঘটে। সেসময় রাত হলেই অপরপক্ষের আক্রমণের আতঙ্কে পুরো বাড়ির বাতি নিভিয়ে দেয়া হতো যেন তাঁরা আমাদের লক্ষ্য করতে না পারে। বাড়ির ছাদে নারী-পুরুষ সকলে যে যার মত উপুর হয়ে অস্ত্র হাতে, কেউ পানির বোতলে লাল মরিচের গুড়ো মিশিয়ে শুয়ে থাকতো শত্রুর মোকাবেলায়। অথচ আমি তখনো মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতাম। পুলিসের গাড়িতে করে যেতাম স্কুল বিল্ডিংয়ে পরীক্ষা দিতে।
বিএনপি’র আমলে কিশোর সন্তান হারানো বিধ্বস্ত পিতাকে শান্ত্বনা দিতে তখন দেখেছি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিজবাড়িতে, লাশের মিছিলে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন আমার বাবাকে, বিচার হবে। কিন্তু হয়নি।
তবে ২৫ বছর পর গত পাঁচমাস আগে সে বিচার হতে দেখেছি। নিউইয়র্কে বসে শুনেছি, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান নুরুল ইসলাম। প্রতিটা মৃত্যুই মর্মান্তিক। তবে তাঁর মৃত্যু আমাকে বড় বেশী খুশী করেছিল সেদিন।
ওহ হ্যাঁ! বলা হয়নি নুরুল ইসলামের কথা, বিদ্যুতের কথা। আমার ভাইটির হত্যাকারী তারা।
বলছিলাম, পড়াশুনা-অর্জনের কথা। হ্যাঁ! খুব আসক্ত ছিলাম এসব ব্যাপারে। ঘরের বাতি নিভিয়ে মোমবাতির আলোয় পাশে চায়ের কাপ রেখে রাতভর পড়াশুনা করা ছিল আমার অভ্যাস। মাঝে মাঝে মা বকুনি দিয়ে বলতেন, ‘এত পড়তে হয় কেন? মাথা রিংকু হয়ে যাবে তো!”
আহা রিংকু! রিংকুর কথা কেউ জানেনা। রিংকু ছিল আমাদের প্রতিবেশী। পড়াশুনায় অত্যন্ত মেধাবী একটা ছেলে। হঠাৎ কী হল! মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলল রিংকু। মেধাবী ছেলেটার আর পড়াশুনা হলনা। কেউ বুঝতেই পারলোনা কি ঘটেছিল তাঁর সাথে, কেনই বা ঘটেছিল!
আজ সে কেমন আছে জানিনা। সুদূর প্রবাসে থেকে অনেকের খবরই আজ আমি জানিনা। বলা যায় রাখিনা।
বাস্তব জীবনের গল্পগুলো শুনতে খুব শ্রুতিমধুর হয়না। কেননা, এমন সব গল্পে কাব্য, কবিতা, সাহিত্যের কোন উপকরণ ঢালা যায়না। তাই আজ অন্ধকার ঘরে জানালার পাশে বসে মোমবাতির আলোয় চায়ের কাপ নয়, কফির কাপ হাতে শুনি লরেনড্যাগল এর ‘ইউ সে’ গানটি। আমার খুব পছন্দের সেরা একটি গান। প্রায় রোজই গানটা শুনি। মোটিভেশনাল এই গানটি আমার বর্তমান শারীরিক অক্ষমতাকে বস্তাবন্দি করতে খুব প্রভাবিত করে।
আজ প্রায় মধ্যবয়সে মৃত্যু উপত্যকায় দাঁড়িয়ে আকাশের বুকে জীবনের খণ্ডচিত্র আঁকার চেষ্টা করি। কাগজে কলমে আত্মজীবনী লেখার দুঃসাহস আমার নেই। কেননা, সব সত্য বলতে নেই। কিছু সত্য পারিবারিক বিশ্বাস, সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তবুও খুঁটিনাটি কত কি বলে যাই আপন মনে।
সেদিন ছিলাম আমি সদ্য ২০ পার করা তরুণী গৃহিনী। বলেছিলাম স্কুলে যেতে চাই। জা বলেছিলেন, ‘আমেরিকায় ইংরেজিতে পড়াশুনা করা এত সহজ না।’ বালিশের পাশের মানুষটাও একই অভিমত দিয়েছিলেন। তারপর একদিন পরিবারে ঘটে যাওয়া একটি অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তেড়ে এলেন ভাসুর। বললেন, ‘চোখ নামিয়ে কথা বল। এখনো তোকে আমরা খাওয়াই। যেদিন নিজে সংসারে দুইপয়সা রোজগার করার ক্ষমতা হবে, সেদিন চোখ তুলে কথা বলবি।’
নিউইয়র্কের মেঘাচ্ছন্ন আকাশের বুকে হাত ছুঁয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলাম সেদিন, বৃষ্টি ঝড়ার আগেই নিজ পায়ে দাঁড়াবো বলে।
সালটি ছিল ২০০৫। সবে জন্ম নিয়েছে ছোট, বড় তখন চার বছরের। বহু কৌশলে স্কুলে ফিরে গেলাম। তারপর ব্যাচেলর, মাস্টার্স! বৃষ্টি ঝরার আগেই মেঘ থামিয়ে নিউইয়র্কের মুক্ত আকাশকে আলিঙ্গনে নিলাম। ইতোমধ্যে পরিবারে চোখ তুলে কথা বলবার অধিকার আদায় করলাম।
আর যখন অধিকার আদায় হল, তখন অনাধিকারে সংসারটা ভেঙ্গে গেল। দাদী বলতেন, ‘নারী যত অবুঝ থাকে, সংসার তত সুন্দর ও মজবুত থাকে।’ তিনি হয়তো ঠিকই বলতেন। তাই হয়তো কখনো আমার মাকেও সংসার নিয়ে অভিযোগ করতে শুনিনি। নিতান্তই অবুঝ ছিলেন নাকি সংসারের মায়ায় সব হজম করে গিয়েছিলেন, তাও একটা প্রশ্ন।
মানুষ কি কখনো মানুষের ব্যথা বোঝে? যদি বলি বোঝে, তবে কেন উজাড় করা নিখাঁদ প্রেম স্বার্থসিদ্ধির বেড়াজালে আটকা পড়ে? নদীর পাড়ের মত সম্পর্ক ভাঙ্গে? আর যদি নাই বোঝে, তবে কেন দক্ষিণ কোরিয়ার সন্তান হারানো ব্যাথাতুর মায়ের ‘ভার্চ্যুয়ালরিয়্যালিটি’ ভিডিওটি দেখে মন অস্থির হয়ে উঠে? সবকিছুর অন্তরালে ‘মানুষ’ নামের মানুষটিই তো থাকে!
ছোটবেলায় শুনেছি বড়দের মুখের ওপর কথা বলতে নেই। বাবার অহেতুক রাগ-অন্যায় আচরণ, মায়ের লুকানো কান্না, পরিবারের মাত্রাতিরিক্ত শাসন, সংসার জীবনের দ্বন্দ্ব, আরো কত কি! কোনকিছুতেই কথা বলিনি।
পরিবার থেকে বলা হয়েছিল, স্বামীর সব কথা শুনতে হয়! স্বামীর সাথে তর্ক করতে নেই। সেই থেকে স্বামীর সকল অত্যাচার সয়ে গেছি, তর্ক করিনি। সন্ধ্যার বেদম প্রহার হজম করে রাত বাড়তেই তাঁর বিছানায় মনোরঞ্জনের ক্রীতদাসী হয়েছি। তর্ক করিনি, প্রশ্ন করিনি।
যখন স্বাভাবিকভাবে একটি মানব শরীর ৪৫ ইউনিট ব্যথা ধারণ করার ক্ষমতা রাখে, তখন আমি শরীরে ধারণ করলাম ৫৭ ইউনিট ব্যথা। শরীরের ২০টা হাড় মটমট করে ভেঙ্গে যাওয়া সমব্যথা নিয়ে সন্তান এলো কোলজুড়ে। বলা হল, প্রসবব্যাথার কথা কাউকে বলতে নেই। তাই সে কথাও বলা হয়নি। যেদিন সংসার ছুটে গেল আঙ্গুলের ডগা হতে, সেদিনও বিষণ্ণ মনে ডুবে যাওয়া চাঁদের স্মরণে পুকুর ঘাটে পা ডুবালাম, ভীষণ একাকীত্ব নিয়ে। সে কথাও কাউকে বলা হয়নি। যতদিন বলা হয়নি, ততদিনই সংসারী ছিলাম।
সেই সংসারী আমাকেই একদিন শিক্ষিত হবার দায়ে, অধিকার বুঝতে পারার দায়ে সংসার ছাড়তে হলো।
পরিবারের সাহায্য ছাড়া সে সময়ে শিশুসন্তান দু’টোকে নিয়ে কেমন করে পড়াশুনা সম্পন্ন করেছিলাম, তাও এক বিস্ময়কর ইতিহাস। শুরুর দিকে যখন সংসারেই ছিলাম, বহুবার ফাইনাল পরীক্ষার আগমুহূর্তে আমার বই খাতা, নোট ছিঁড়ে ফেলে দেয়া হতো ডাস্টবিনে! ইন্টারনেট ডিসকানেক্ট করে দেয়া হতো। সংসারের সকল দায়িত্ব-কাজ সেরে ফেলার পরও পড়ার সুযোগ পেতামনা সবসময়। রাতে সবাই ঘুমালে উঁচু খাটের নিচে মোমবাতি জ্বেলে, কখনো বাথরুমে ঢুকে পড়তে হতো।
আহা! আমেরিকার মত জায়গায়ও আমরা বাঙালিরা পুরুষতান্ত্রিক পরিবারে বাস করি।
মনে পড়ে, সেদিন ছিল আমার ‘চাইল্ড সাইকোলজি’ সাবজেক্টের ফাইনাল পরীক্ষা। আগেরদিন রাতে নোট করে রাখি পরদিন রিভিউ করবো বলে। কিন্তু পরদিন সকালে সে নোট আর খুঁজে পাইনা। সম্ভবত ২০০৭ এর ঘটনা।
যথারীতি কলেজ গেলাম। তখন আমি যেতাম ম্যানহাটন টোওরো ইনিভার্সিটিতে। আমার সাইকোলোজির প্রোফেসর ছিলেন প্রিন্সেস কোম্বস্। কোম্বস্ আমাকে খুব ভালবাসতেন। তাকে বিস্তারিত বললাম। তিনি অবাক না হয়ে আমাকে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে আরো ১ সপ্তাহ সময় দিলেন। সে ১ সপ্তাহ আমি রিভিউ করার সুযোগ পেলাম।
কোম্বস্ আমাকে সবসময় উৎসাহিত করতেন। এমন বহু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে তিনি আমাকে সাহস দিতেন।
হিউম্যান মাইন্ড এবং বিহেভিয়ার সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা আয়ত্ব করতে তিনিই আমাকে সীমানার বাহিরে সাহায্য করেছেন। তিনি আমাকে সবসময় একটা কথা বলতেন, ‘Never give up and never let anyone say No to you!’
পরামর্শটা আগে থেকেই নিজের ভিতর ছিল। কিন্তু যখন তিনি সাহস দিলেন, তখন আত্মবিশ্বাস আরো বেড়ে গেল।
একই পরামর্শ আমি অন্য কাউকে দিতে রাজি নই। কেননা, এতে অনেক কিছু ভেঙ্গে যায়! অনেক কিছু মেনে নেয়া, মানিয়ে নেয়া সম্ভব হয়না।
তিনি আরো বলতেন,
‘At every step of life, you will experience something new about human behavior! Someone will love you and tolerate you, again some might not tolerate you at all. This is the characteristic of human behavior. But you must remember that those who tolerate you are prudent. And those who can’t stand you are jealous, because they are insecure, weak and helpless. Again, many will not tolerate you for your evil deeds. In that case you will have to change your behavior, not your own.’
প্রতিটা ব্যক্তির সাফল্যের পেছনে কারো না কারো উৎসাহ, অনুপ্রেরণা, সাহস, অবদান থাকে। আমার উৎসাহ ছিল প্রোফেসর কোম্বস্। তিনি আমাকে সীমাহীনভাবে উৎসাহিত করেছেন পড়াশুনায় সাফল্য অর্জনে।
বয়সের সাথে ভুলে যাবার রোগ বেড়ে যায়। স্মৃতিচারণে ডুবে গিয়ে লরেনের অপূর্ব কণ্ঠে আবারো গানটি শুনছিলাম, ‘I keep fighting voices in my mind that say I’m not enough!’ কফির কাপটি পাশেই আছে, তবে কফি একেবারেই ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। কফির কথা মনেই ছিলনা।
আজকাল অনেক কিছু মনে থাকেনা। আজকাল সব ভুলে যাই। প্রিয় মুহূর্তগুলো, প্রিয় চায়ের কাপে উষ্ণ চুমুক, কান পেতে বৃষ্টিরশব্দ, অর্থহীন পায়চারীতে ভুলে যাই প্রিয় উপন্যাসের শেষটুকু পড়া বাকি। ভুলে যাই অবান্তর প্রশ্নে স্মৃতি বিরহের সুরের কথা, ঈশ্বরের সাথে শেষ আলাপনের কথা। ডানপিটে শৈশব, ডিম্বকুসুম সূর্য অভিমানী ফোলা চোখে বেহুদা আবদার, ভুলে যাই শৈশবের দু’বিনুনী স্কুল পলাতক গল্পের কথা। আজকাল কালজয়ী প্রিয় মানুষগুলোও ভুলে যাই; ভুলে যাই পিছনে ফিরে তাকানোর প্রয়োজন।
জানালার বাহিরের আকাশটাতে এখন বৃষ্টি নেই। এই তো কিছুক্ষণ আগেও ছিল। কখন যে বৃষ্টি থেমে গেল টেরই পেলাম না। পুরো আকাশ ছায়া ঘন অন্ধকারে ঢেকে আছে। বৃষ্টি নামার আগের আকাশ আর বৃষ্টি নামার পরের আকাশের মাঝে ব্যাপক একটা রহস্য আছে। মেঘ ও বৃষ্টি সৃষ্টির রহস্য। এই রহস্য উদ্ভাবনে আবহাওয়াবিদ প্রো. মানফ্রেড ভেনডিশও ব্যর্থ। বিজ্ঞানীদের কাছে আকাশ এখনো রহস্যে ভরা৷ আমি তো ক্ষুদ্র প্রাণি।
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
শেষ থেকে শুরু। আমি রজকিনী রামী,ধোপার বংশে জন্ম আমার।ঘাটে সখিদের সঙ্গে কাপড় কাচি। একাজটা আমি…..
মালঞ্চার পথে ভোরবেলা। সূর্য সবে উঠছিল। বৈশালী দূর থেকে দেখতে পেল,বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ডে বালুরঘাটের দিকে মুখ…..
আমার বাবা ছিলেন অত্যন্ত সাহসী একজন লড়াকু মনের মানুষ।শত অভাব অভিযোগেও তাকে কোনোদিন ভেঙ্গে…..