আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
তৃতীয় সূত্রে চন্দন গন্ধের গতি নিয়ে চলাচল।
একটা ডিম্ব কুসুমে পোষা লজ্জ্বা
অতঃপর একদিন ওমলেট!
কতকাল চূর্ণ হয়েছে সোহাগের চিমনি,
প্রত্যাহার করা অভিমানে স্ফটিক লেখা
হয়ে যায় ব্যকরণ কিংবা রসায়নের কাগজে।
কবিতার ডালে বসা টুনটুনির ডাক; ভেঙ্গে গেলে ঘুম,
রেশম সুতার লাইনে চলে রেশমি ট্রেন।
আহা! মসলিন বুনন।
যুগের পর;
প্রগাঢ় চুম্বনে লেখা পেপিরাস ঠোঁট থেকে
যাচাই করে তারা রক্তচন্দন,না এটা শ্বেত ঘ্রাণ!
কোমল আঙুলের কি কৌশলে বাদামের সাদা মাংস বের করে আনো,
ঝুর ঝুর লাল আবরণে ঢেকে রাখো তালুর ভাগ্য রেখা।
জ্যোতিষের কথায়;তোমার রেখায় ছিলো আমার বসবাস।
অভিযোগে দুষ্ট; আমার সমান তালু।
আমি যেন লঞ্চের খালাসি,কষ্টের রশি টেনেটুনে ভাগ্যহত,
যেন গুন টানা মাঝি ছিলাম যুগ-যুগান্তর,রেখা গেছে সেই কবে ক্ষয়ে।
মনে পরে?তখন বলেছিলাম ;
তোমার আমি হওয়া মানেইতো
তুমি আমার হওয়া,
তোমার কাছে যাওয়াইতো
আমার তোমায় পাওয়া।
বিষম চতুরতার প্রস্থানে তোমার পোড়াবাড়ির শূন্যতা,আর মিথ্যে দেবপুষ্প ফোটাও!দাম্ভিক ঘোড়ার খুরের টগবগে পরাজয়ের শব্দ অবিরাম! এখনও নাকি বাদাম মাংস ছাড়াও আর ফুঁ দিয়ে তালুর রেখা খোঁজো বারে বার।
নেপোলিয়নের ছুরিতে করি নিজ হাতের রেখা বিন্যাস,আল্পস পর্বতে তোমার ছায়া ইল্যুশন,তুমিই আমার প্যারিডোলিয়া।
পাতা বিদ্রোহ করে চলে গেলে
বৃক্ষ অসহায় হয়ে পড়ে।
কাঁদতে হয় তাকে নতুন পাতার সাধে।
সবুজপাতাও জন্মাতে জানে নতুন চারা,
সবুজ শ্যামলিমা।
হলুদাভ শুকনো মরা পাতা নিয়মে ঝরে।
সজীব ঢালের ন্যায় পাতা যদি হঠাৎ
ক্রোধে সরে যায়,,
দিতে পারেনা ফুল-ফল-ছায়া,তুমি মহীরুহ!
মহীপতি! হয়ে যাবে শশ্মান-কফিনের কাঠ,
জনপাতারা আবার বানাবে নব কোনো লাট।
মানুষপাতারা বড় ভালোই জানে,
ব্যর্থ স্বৈরতায় কোন স্বাক্ষরতার কোন মানে!
একটা দৈনিকে বোল্ড করা শান্তির সুবাতাস শান্তিনগরে।
যেখানে জীবনের গান,পাখীদের ওড়াওড়ি,
নতুন কোন দ্বীপ, জোছনায় মরে যায় প্রেমিক যুগল,
ইতমধ্যে বিশ্বব্যাংক হাজির তাবৎ ক্ষুধার্তের কাছে।
কাগজের ভাঁজে ছায়া কিনে তপ্ত রোদে বাড়ি ফেরা।
আমার ছাতা নেই।
আজ আবার অনুমেয় রোমাঞ্চিত আলোখলবলে
কলামের নেশা..
কাগজের ছাতা কিনে পুরানো পথে ফেরা।
হঠাৎ বৃষ্টি!টুপটুপ ভেজা দৈনিক!
ছাপা ছিলো রক্ত খুন,ধর্ষন-গুম-হত্যা,
ক্ষুধার্ত শিশুর চিৎকার।
হৃদয় বিবর্ণতা,মৃত চোখের দৈনিক’
ভিজে যা,ভিজে যা!
আমার কিন্তু ছাতা কেনা হচ্ছে না।
ঝুলিয়ে রাখা আর ঝুলে থাকা এক নয়।
হ্যাঙ্গারে শার্ট ঝুলিয়ে রেখেছি,
না পরলেই তার ঝুলে থাকার স্বভাব।
চুলের সাথে ফিতে জড়ানো, না ফিতের সাথে চুল;
এমন প্রশ্নের মুখোমুখি নয় কখনও বেনী;
আশ্চর্য সুন্দর কতটা কিশোরীর সাজ!
এখানে কি ঝুলে আছি, না ঝুলিয়ে রেখেছো;
এসব প্রশ্নাতীত। ঝুলছি এযে বড় সত্য।
ওহে সূর্য! তুমিও কি ঝুলছো?
জলসা,মাহফিল শেষ হলে চলে যাই
সবাই নিজস্ব জায়গায়।
মাদুর,শামিয়ানা গুছিয়ে ছেলেটার
দেরী হতেই পারে তবু যাওয়া নিশ্চিত।
ইথারে উড়ছে সুর-শায়েরী,বয়ান।
সরাইখানায় দ্ব্যর্থ সময় যদি,
কেন তবে লম্বা সূচীর নিমন্ত্রণ?
ক্ষণেক আলোতে ক্ষণেক থেকে
গভীর অন্ধকারে চির চলে যাওয়া!
বৃথা আসোনি তুমি হে, ছিলে মুগ্ধ শ্রোতা;
কানেকানে বলেই যাচ্ছে অবিনশ্বর আত্মা।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..