দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
কেউ নেই আকাশে। একটি ঘুঘু, চুমু,
আলোর লাল কণাগুলি, যেন বেমালুম
ঘাপটি মেরে বসে আছে কোন এক
ঝোপের গোপনে—
এ ঝোপের কাছে আমি দায় রেখে যাচ্ছি
একখণ্ড কাপড় আর সেদ্ধ বেগুনের
গুণগান গেয়ে যাচ্ছি।
মনে হতে পারে আমি কোন সৌরলোকের সন্ধানে
চোখবুঁজে নিরর্থক নিঃশ্বাস নিচ্ছি।
সেই তারাটি আর ফোনে পাচ্ছিল না
ফোনের করোটিতে অসুখের মতো
রিঙ বাজছে তো বাজছেই।
তুমি মনে রেখো লালের নানান অর্থ হয়
মনে রেখো আমি ভূপৃষ্ঠ বিচ্ছিন্ন
একটি বক্ররেখা মাত্র।
আমাকে ভালোবাসার আগে তোমাকে জন্মাতে হবে প্রথমে
আঁতুড় ঘরে নাড়ি কাটা হয়ে গেলে, ধাত্রীর চোখে
ব্লেডের তীক্ষ্ণ চুম্বন খুঁজে নিও;
সার্জনের ছুরির অপেক্ষায় থাকা ক্লান্ত গর্ভের আবহাওয়ায়
‘দশ মাস দশ দিনের’ মিথে মিশে যেতে হবে;
মিথ্যা মোহময় মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে ছোবলবিদ্যা শেখো
অথবা আমাকে ধারণ করো রক্তপাতহীন যোনী পৃষ্ঠায়
পেয়ে যাবে মানুষজন্ম এবারের মতো বেদেনীর ব্যথিত শয্যায়
বিলাপ
তোমার কোন পরিচয় নেই। নেই ইচ্ছার আদিম প্রকাশ।
তাই লিখে রাখো নাম, হিমায়িত অক্ষরে, দরিদ্র কাফনে আমার।
হাড়ের আওয়াজ শোন, দেখ বরফের কত বুদ্বুদ; ঈশ্বর জেগে
আছেন তোমার যৌনতায়, তুমিও শিখে নাও বিলাপের স্বরলিপি।
একটি শালপাতা নড়ছে
একটি শালপাতা নড়ছে। হাওয়া নেই
সড়ক জুড়ে সস্তা পানি।
পাখিরা উড়ে যাচ্ছে শাহরাস্তি
রোদ ভেঙে যাচ্ছে
রোদ ভেঙে যাচ্ছে। ছায়া সরে গেছে পশ্চিমে
হৃদযন্ত্র ধাপে ধাপে অস্থির হয়ে
পাচার করছে ষড়যন্ত্র সংকুল অণুচক্রিকা
বিরহ
তোমার এক নাম সাবিত্রী; আরেক নাম শতদল।
বিরহের মতো দীর্ঘ তোমার নামের বানান।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..