আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
সোনার হুইসেল
মাঝরাতের সাথে একলা ট্রেনিং। ফেলে আসা কয়েন কুড়োচ্ছি আর অন্ধকারে ঘাস খাচ্ছে অশ্বমেধের ঘোড়া। হারানো মুখ ও মুখোসের গল্প সাজিয়ে এক মাঠ রোদ্দুরে এই সার্কাস তাঁবু। জল ছবির চামড়ায় তুমি আমার মৃত্যু ঘন্টা বাজালেও ঘোড়দৌড় টপকে যাবে আগুনের রিং। শুখা বীজ থেকে যে প্রান উঠেছে তাকে বাহবা দাও। দ্যাখো কত বিনির্মাণে ভেঙে যাচ্ছে জেব্রাক্রশিং। নিজের মধ্যে কত সহস্র গুণিতক ঘুমিয়ে আছে আর শব্দপাগল তুমি নিঃশব্দে আত্মহত্যা বুনছ মাকড়সার জালে। ওঠো, হাঁটলেই নড়ে উঠবে মানচিত্র। গ্রহে গ্রহে ব্রেকিংনিউস ঝিনচিকিয়ে উঠবে একলক্ষছিয়াশি হাজার মাইল। আলোর নতুন গানে ড্রপ খেতে খেতে সূর্য উঠবে গোলপোস্ট ছাড়িয়ে। পুনর্জন্মের জন্য বাজাও তোমার সোনার হুইসেল।
ভুল
একটা পৃথিবী চাই দু দন্ড বসার জন্য। অনর্গল কথা বলার জন্য বন্ধু চাই। চারিদিকের সুখা মরুভূমি আপাদমস্তক গিলছে মানচিত্রেরা। আসন পাতা পরিতৃপ্তির মাঝখানে ঢুকে পড়েছে আবোল তাবোল ইতিহাসের টুকরো। বিজ্ঞানের খাতায় এত ফুটো যে চারিদিক থেকেই দেখছি নিজেকে একটা ভুল রাস্তার নির্ভুল অঙ্ক আমাদের এই গোলকধাঁধাঁয় দাঁড় করিয়েছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী চিবোচ্ছে রাষ্ট্রপতির ঘাড় আর হাড়গিলে পাখির ঠোঁটে ঝুলছে গোটা দেশের পরোটা। কত লাল নীল পতাকার সার্কাস তাঁবু পড়েছে ঘাসের উপর। চিৎকার উঠছে চিমনী ছাড়িয়ে আর লম্বা হচ্ছে ফুটপাত লম্বা হচ্ছে ছিবড়ে দুনিয়ার ভূগোলজফি। এই বিপর্যয়েই দিক বদলায় বর্ণপরিচয়। এক্কাদোক্কা খেলে শব্দ আর ভূমিকম্পে দুলে ওঠে পংক্তির পর পংক্তি। ভুল কেমন তোমার সংসারে ঢুকে পড়েছে দেখো যে তুমি তাকে ভুলতেই পারছ না।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..