দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
স্পষ্টতা
অন্ধকারের মতো স্পষ্টতা
আলোর মধ্যগগনে নেই।
উত্তাপে ঝলসে যাওয়া চোখে
শীতলপাটি বিছিয়ে দেয় রাত মায়ের মতো।
আঁচলের হাওয়া এসে হাত রাখে শিয়রে
জঠরের বাকীটুকু উষ্ণতা অনুভব করি
হাত দিয়ে বালিশের নীচে।
আলোর নিষাদ… বিষাদ;
যেন মানুষের অবয়বে হেঁটে চলে মারীচের দল,
হেঁটে চলে আবছায়া মন।
তবু কালো সাদা হয়; জীবনও বিবর্ণ হয়
শ্যাওলার অভিঘাতে।
লেগে থাকে কিছু অন্ধকার, কিছু স্পষ্টতা
করতলে… বিসংবাদে।
অবশেষে
শিকড়ে পৃথিবীর ঘ্রাণ
তবু ক্লান্ত রন্ধ্র চেয়ে থাকে গ্রহান্তরে
শৈশব ভেসে ওঠে শালুকের রঙে
কিশোরীর আবেগ ভিনদেশী চোখ
কিছুটা যৌবন চাঁদ মাখা স্ট্রিটলাইট;
তারপর নিওনের বাড়াবাড়ি…
অলিগলি বেঁকে গেছে সোজাপথ।
মাটির চিহ্ন বিগত পদতল থেকে
নেই কাঁকরের দহন;
শুধু শূন্যতা টেনে নিয়ে যায় আরও দূরে… অসীমে
চেনা কোনো হলুদ পালক
পড়ে থাকে অচেনা অবশেষে।
প্রতিভাস
সহস্র জীবন বয়ে গেছে কবিতার নাভি ছুঁয়ে;
শুকনো কাঠের মতো প্রতিশ্রুতি যত,
তারা বন্দী করেছে হাতের মুঠোয়
মিথ্যে চন্দ্রমল্লিকার রাত।
আস্বাদ
পেতে চেয়েছে আরো এক অমৃতের মন্থনের;
ইতিহাস যেভাবে চোখ মুছিয়ে দেয় গম্বুজের।
কেঁপে ওঠা পাতায় জমা জলবিন্দু
রাজসাক্ষী হয়ে থাকে না হওয়া প্লাবনের।
সহস্র জীবন বয়ে গেছে কবিতার নাভি ছুঁয়ে…
কোমরবন্ধনীর অক্ষরে অক্ষরে
লেগে আছে সেসব অহেতুক প্রতিভাস।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..