প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
এই অপরাহ্নের রোদ্দুর আজ আদিম হতে পারতো
ইমারতের ছায়ার ভঙ্গিমায়
অন্তিম হতে পারতো কোনো এক গুহার কারুকার্য।
লোমশ আমি আর তুমির মাঝখানে জন্মাতে পারতো এক সমুদ্র।
কিন্তু প্রাপ্তির শরীরে অবক্ষয়।
হলুদ পাতার ফাঁকে লুকিয়ে পড়েছে আকাঙ্ক্ষার দল।
পা পিছলে পড়ে গেছে হাসি….
সমস্ত রশ্মি জড়ো করে পুঁতে দিয়েছি মাটির ভিতর।
আদিম অঙ্কুরোদ্গমে ফোঁটে একটা দুটো সমাপ্তি …
পত্রকক্ষ পেড়ে আনে মহাকাশ থেকে তারা।
অনাদি মৃত্তিকায় পাতাল ছোঁয়ার পরিক্রমা… রশ্মিরা শিকড়।
নক্ষত্র ধর্ম জন্ম দেয়।
নাহলে ফুলে ফুলে। মন্দির মসজিদ। শ্মশান হতে যে পথে মানুষের কবর।
প্রাচীন বিক্ষোভ আসে ব্রহ্মাণ্ড পরিবারে।
কয়েকটি নক্ষত্র তাই বোরখা পরে নেয়।
কিছু আয়ু বহন করেছি বলে
তুমি ফেলে দেওয়া ঠোঁট তুলে আবারও ঠোঁটে দাও।
ঝিরঝির করা এই বাবলা গাছ ,পড়ন্ত রোদ শোষা এই নদীর জল, বউ কথা কও পাখির গানে ভিজে ওঠে চোখ।
আমার জন্য দেখলাম তুমি খুলে দিয়েছো সার্টের বোতাম।
বিশ্বাস করো আমি বুঝিনি তুমি সার্ট নয় খুলেছো ফটক।
দেখলাম সারিসারি সৈন্যদল দাড়িয়ে তোমার বুকের উপর।
অস্ত্র ফেলে সব তাকিয়ে আছে আমার দিকে, ক্লান্ত শরীর নদী যদি হই।
তোমার একবুক সৈন্য হাতরে বলেছিলাম বিশ্বাস করো
সন্তান আমার। সন্তাপ আমার।
তিলে তিলে গড়ে ওঠা এই শূন্যখাত,
বিচ্যুতি এই,
মেঘমল্লার কারুকার্যে তোমার বুকে জমে যাক যত কান্নার জল।
শীতল ঝরণা এক ,গোমুখ এক, মন্দির থেকে বেয়ে আসা শতশত সন্ধ্যাপ্রদীপ।
থাক। থাক। সব জমা থাক। আমি ঠোঁট দিয়ে বন্ধ করি ফটক।
আরো কিছু আয়ু জমা ট্যাপের জলে,
সম্রাজ্ঞীর বইয়ের পাতায়, দিয়ার রিংটোনে।
এলাচের ঘ্রাণে কিছু কথা উন্মাদ ,জলবায়ুর ভিন্নতায় উদভ্রান্ত পদ্য কিছু।
পার্বনী কিছু কথা সমাপ্ত হলে বহন করি ডাহুক পাখির অন্তরীপে জলজ গান।
কিছু আয়ু এখনও বহন করি বলে কেটে গেলে ব্যথা পাই এখনও,
ধেয়ে আসে অনুচক্রিকার দল।
যতবিধ আয়ু সংযোজিত এ দেহের ভিতর ততবধি সংবেদনী অনুভব
নাহলে সহজ জন্মের মত এ অকাল মৃত্যুও হত সহজ নির্বোধ।
এই নে ছেমড়ি একগ্লাস জল খা।
আমি চিনি তোকে… তুই আম্রপালী।
মাটির চামড়া ফাটা এই বসন্ত দুপুরে একটা দুটো সবে তোর কচি কচিপাতা
ছুঁয়ে নেচে যায় নর্তকী রৌদ্রমালা….
নিমেষে বাঁশের বেড়াবোনা এই হৃদপিণ্ডটি অন্দরমহল। যেন সেই রাজকন্যা
নেচে উঠি আমিও … আম্রপালী।
শ্বেতপাথরের পরতে পরতে সমুদ্রের ঢেউ আঁকা হিন্দোল ….
আমার অঙ্গের মুদ্রায় দেখ তুই ভারতনট্টম, কত্থক, কুচিপুরি।
কলমে উচ্ছাস, অসংখ্য অক্ষর বেলাভূমি ছুঁয়েছুঁয়ে ফিরে যায় সমুদ্রে।
আয় নে সেই সমুদ্র থেকে একগ্লাস জল তোকে দিই। খা আম্রপালী।
তোকে আমি প্রতিদিন গ্লাসে ভরে ভারতবর্ষ দেবো
বিনিময়ে তুইও ছেমড়ি আমায় ভারতবর্ষ ই দিস।
আমের মুকুলে ছড়ানো গুটি কতক ভোরের আলো,
মৌমাছির গুঞ্জন।
কাঁচা আমের আঁতুরগন্ধ মাখা উড়ন্ত কিছু ভিজে ভিজে দুপুর দিস
স্নান সেরে চুল ঝাড়বে মগধের রানী।
একঝাঁক পশ্চিমা প্রজাপতি দলে দলে অভিনয়ে আনমোনে
আমফুলে জমা বৈদিক মধু। দেখ আম্রপালী।
তোকে আমি প্রতিদিন একগ্লাস জল দেবো
বিনিময়ে দিস তোর ছায়া
ফাল্গুনী বাতাস এলে ওকেও একটা উঠোন দিস তুই।
মাঠে মাঠে পঞ্চশস্য ফলিয়ে এলে চাষী
ওকেও ছেমড়ি ….তুই বসতে দিস
আমাদের রক্তে এখনো খেলা করে সেই ঈশ্বর ঈশ্বরী
হাওয়ার রক্তেও সেই রাজকীয় বায়ু।
এখনও চাষী সেই বুক মেলে শুয়ে থাকে মাঠে
এখনও ভগবান। আত্মহত্যার হুমকি শুনে ঠেকাতে যায় অকাল বর্ষণ।
ভগবান এলে ছেমড়ি ফেরাস না তাঁকেও
আমের পল্লব চাইলে দিয়ে দিবি।
আমি তোকে বিনিময়ে একগ্লাস জল দেবো প্রতিদিন আর।
আর দেবো দুটো ফুল।
ভগবান এলে ফেরাস না ছেমড়ি। বসতে দিবি।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..