প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
তুমি জোছনার ছলা-কলা মাখো আর তোমার মেকাপ থেকে ঝরে যায় নক্ষত্রের বোতাম। উম্মোচিত বিস্ময়! রোদেরা তীর্যক দৃষ্টিতে তোমাকে একপশলা গুলি করে। তখন তুমি বৃষ্টিতে নগ্ন হয়ে যাও। তোমার শরীরে রোদের কামড় ও লেহন তোমাকে ময়ূর থেকে বানিয়ে দেয় কাক। সৌন্দর্যের প্যারাডাইজ বন্ধ হয়ে গেলে সেখানে প্রেত খুলে রাখে ঘন অন্ধকারের বিপনী বিতান।
ন্যুড মেকাপ ও গাঢ় লিপিস্টিকের কারখানায় পৃথিবী বেআব্রু। উড়ায় জোছনা দানার গুড়ো গুড়ো পাউডার। তৈরী হয় গ্ল্যামার ফিভার। সব যেনো পুতুলের প্রতিমূর্তি। পলিশ করা শরীরের ভিতরে বাস করে ডোরাকাটা বাঘ। মুখে লেগে থাকে হরিণ কিংবা পাখির আদল।
আমার শরীরকে মানুষ হিশেবে স্বীকার করি না।
শরীর খুলে রাখো; আমি অজাগরী মন খুলে রাখি সাঁই… চলো, দৈবচয়ন করি। রঙ তুলি রঙ থেকে। চোখের পায়রা মেখে দেই তোমার কুসুমে। দেখো জ্যামেতিক আলোয় উদ্ভাসিত গহীন বোধন।
তুমি ভেঙে ভেঙে গড়ে তোলো সন্ধ্যার সূফি; সুবর্ণ চারু রোদ খসে যায় সরল জলে। তবু হায় সন্ধিসাঁকো জুড়ে প্রলম্বিত তৃষ্ণাছবক। ডাকে অতল… বুতাম খুলে দেখে লাল হয়ে ডুবে যায় রাতের সারস।
ত্রিশ অধ্যায় পাঠে শেখা হয় জীবন বিধান।
এসো মন, এসো শরীরপুরাণ… সোনামন রঙের আয়ু যাপন করি। চয়ন করি দিব্যকলা। আনন্দ খুলে পড়ুক তিতলিরঙে।
আলেকসাঁই ষড়রিপু জল করে, আমি বাঞ্চা থেকে পুঁতির মতো খুলে রাখি আগুনকাল।
শরীরপিদিম সহজিয়া সই হলে… জঁপ করে ওয়াফা বরদার; রবের রেজামন্দি সরণে মুকাম্মেল দরবেশ। গাফিল মনে পালিশ করে রঙের হাওয়াকাল। সকাল-সন্ধ্যা নূরের পয়গামে ফানা হয় রূহের ফকির।
কুসুম ফুটে আলোক রঙে রাঙালে ধরা
শরীরপুস্তকে আঁকে মালেকসাঁই- ঈশ্বরনামা।
অ্যালার্ম ঘড়িতে ঘোরে বিভ্রম। গন্তব্য। দ্বাদশ স্টেশন সংখ্যা। প্রতিটি স্টেশনে অপেক্ষমান জাতক। ঘোড়ার খুঁড়ের টগবগ টগবগ ম্যারাথন। ছুটছে অশ্বারোহী তীরন্দাজ। হরিণের ভয়ার্ত লম্ফ। স্কয়ারফ্রেম জুড়ে অরণ্য। কাঁটায় কাঁটায় আদি জীবনচক্র। ফুল ও ফল। সত্যমিথ্যা। জন্মমৃত্যু। স্বপ্ন ও সফলতা। বিধাতার হস্তে আয়ুষ্কাল বাতাসে চক্রবাক।
ঘড়ির ডায়ালে সংসার পাতে অদৃশ্য দেবদূত।
টিক টিক টিক…
সূর্যঘড়ি। চোখের কোণে কাঁপে বয়সরেখা। শব্দহীন রশ্নি। রোদের তীক্ষ্ণ ফলায় অতৃপ্ত সময়দণ্ড। ক্রমান্বয়ে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর। তীব্র আলোয় ফেটে যায় কুসুম। ফুটে ওঠে নক্ষত্রের পৌনঃপুনিক। গবেষণায় বিভোর বিজ্ঞানী। হাঁটছে- কবি বোহেমিয়ান। দৌড়াচ্ছে- বাঘ, সিংহ। উড়ছে-সারস। ঘুরছে- সাগর-নদী-পাহাড়-আগুন-হাওয়া। ঘুম এক ভ্রমণ। সহসা ভেঙ্গে পড়ে এ শহর; তোমার, আমার।
কালপুরুষ; প্রতিটি ঘড়ির পেণ্ডুলামে নৃত্যরত ভাগ্য সঞ্চালক।
ঘড়ির স্কুলে শিখি সময় যাপনের ব্যবহারিক পাঠ।
টফি চকলেটের মতো চুষছি গোল গোল সময়।
আমার সেই ছটফট বয়ঃসন্ধি অ্যালার্ম ঘড়িটার নাম- জানালা।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..