ফ্রেম
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..
অন্ধকারের ওপর একটা আবর্ত না ইলশেগুড়ি কুয়াশা?
বরং তুমি আগুনস্বাদ ভঙ্গুরের গায়ে বৌলের গায়ে ফলহীন মন নামক অশরীরী বস্তুর ধাঁধা সুষমা ভেঙে নষ্ট করো।
আর কিছু নয়, বাড়ি বদলানোর সময় পাখিরা একযোগে নেমে এসেছিলো কিনা লক্ষ করো দূর বাসের সর্বাঙ্গে বহুরূপীর নাচ দেখতে দেখতে …
মুখে লেখা মিথ্যেবাদী, তবু মুখের আলাদা চরিত্র চিহ্নিত করবে কে? বাতাসতাড়িত ঘুমের ভেতর স্বপ্ন নয় শান্ত পশু খামারের অতঃপর আত্মহত্যার অপ্রাকৃত হরিৎ অলংকার অই উদাসীন ওঙ্কার দিগবলয়ে মৃদু গান গেয়েছিল …
গেয়েছিল কী? মনে নেই। আদ্যোপান্ত একদা শিহরিত মানুষের বল্মীক ভক্ষণ করছে নিরাকার পিয়াসী মাতঙ্গের তাথৈ
মনে নেই অই সব আত্মা নশ্বর প্রপাত। ভ্রষ্টহীন নিভৃত জনারের ক্ষেত। পলিত পাহাড়ি ঝোরায় ব্রীড়া অবনত আকাশের রঙ।
অন্ধকারের ওপর একটা আবর্ত না আজ্ঞাবহ মনের অতল থেকে ঘনান্ধ ছায়ায় কুয়াশা মূল বিহীন। সমস্ত উপাঙ্গ ছড়িয়ে চারপাশে বিজন পিয়া ঝুম। ভঙ্গুর ভুলে মৃদুলীন শুদ্ধতায় গ্রহাণুসম্বল শূন্যে, পাখিমাংস। হেমলক রঙ স্তনের মতো তুলতুলে…
অথবা চলো। জলের ফাগুন হয়ে ওঠা ভিক্ষা শস্য। ঝুলি ভ’রো। ভিখারির একাকী বধির গোধূলি মুহুর্মুহু কাঁপে। অনন্ত হয়তো শব্দের সর্বস্ব মিথ্যে। হয়তো নরকের স্বভাবদোষ এই জনপদ।
ব্যক্তিগত শব্দটা স্তরে ও অন্তরে নশ্বর। ছড়িয়ে ছিটিয়ে অসংলগ্ন চিৎকার টুকরো টুকরো শব্দদের। অথবা চলার অব্যয়ে একটা নদী জন্মের ভ্রুণ। গাঁ গঞ্জ খেত বাড়ি ভাসিয়ে ভাসিয়ে অপ্রাণ জগতের তমো ক্ষমতা।
জল ন্যাংটো হয় জলের কাছেই। জলের ক্ষত থেকে ধুয়ে ধুয়ে সৈকত জুড়ে এই আমি জীবনকাবারি অস্তিকায় সূচীপত্রহীন।
ভাঁড়ের টুপি আঁকা আদ্যোপান্ত অলীক। জলের নিথরে ব্রক্ষ্মের মতো সেই ধ্বনি সেই বালিকার মৃদু প্রাচী গন্ধের গান। দরিদ্রতা আর অই পৃথিবীর ময়ূরী ঋতু। জরায়ু জ্বরের মধ্যে পলাশ হারানো বসন্ত দিলো কেউ উনুনে…
একটা আকাশ একটু শ্বাস,
সরল একটি দুর্বোধ্য শব্দ।
ছিদ্র বাজুবন্ধ।
চাঁদের কেন খুলছেন মৃদুছিট্?
রঙ? বিনোদন?
আত্মনাশা আঁকা নিভৃত বিষ।
নৈঋতে আবির খোলা রোদ
দৈর্ঘ্য প্রস্থ কেন্দ্রবিন্দু ক্রমশ শব্দহীন,
ঘুঘু দিতে দিতে যে গাছ শীতল গ্রামে থাকে একা
দেহপটে সংঘদোষে ভাঙা কাচে চিড় রাখে।
শিল্প বানায়।
নিঃস্ব রেশমি সুতোয় রেশ কেটে
কোথাকার পথ কোথায় গড়ায়…!
আরো সীমিত বিকল্প।
ছিটেফোঁটা টুকরো টাকরা অনুষ্ণ আকাল,
মেঠো পুইঁ বন ধরে হেঁটে চলি।
ক্রমশ গাণিতিক প্রশ্রয়ে,
পরিযায়ী ফুলটি ফোটে পরিশেষে…
জলশ্রুতির কিঞ্চিৎ এই পয়েলা মেঘ
মেঘশ্রুতির রূপাতীত তরীটি একা।
পৃথিবী ব্যাপী প্রকল্পের কাটাকুটি খাতায়
জল ঝরে,
তরঙ্গের শস্যগুলি আংশিক এক দৃশ্যের…
ভুঁইচাপা মুলুকে মূলাধারের প্রতিস্বর কেন লেগে?
জল সূক্ষ্ম ও সংবেদী। হরিণের পলাতক।
শরীরে লবণ ক্ষ|র গন্ধক অটুট।
তবু শূন্য থেকে শুরুর একদিকে
মৃত আমগাছের ছায়ায় কত ব্যঙ্গ,
ঝরাপাতারা সুতীর্থ কলকাতা।
কত বিদ্রুপ শোভিত স্বল্পায়ু হোমপাত্র।
জল তলে হ্রেষার তুষার ভাঙা মেঘ।
পুরোনো দুটো বিন্দু ঈষৎ একটা সাঁকো।
ভেজা নাভিমূল। দাহ মুদ্রায় নিঃস্বতা।
দেহাতি শরীর,
মহাজাগতিক পক্ষীবৎ সঙ্গম শেষে
দুমুঠো অন্ন খোঁজে।
আঁতাত ভেঙে বিষাদ উপশিরায়
উদ্বাস্তু কলোনির নির্মাণে একখানা বাড়ি।
অলীক ফেরিওয়ালারা পায়নি কখনো
পরিযায়ী শ্লোক। সারস্বত কিন্নরী…
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..
বিজয়ের সব মুহূর্তেই… তার অধিকার! কেন্দ্র হোক আর কেন্দ্রাতিগ বলের আসন; কেউকেউ বোরকায় রমনীয় সঙ্গানুসঙ্গের;…..
আমার প্রথম প্রেম কৃষ্ণচূড়া দ্বিতীয় প্রেম হলো ছাতিম। তুমি তবে আমার কী! তুমি যে আমার…..
এগুতে এগুতে দেখি ইচ্ছের বীজতলা অনাবাদী পড়ে আছে বয়সী প্রজাপতির কাছে কিছুই হয়নি জানা বিহ্বলতার…..