আপ্লুত রজনী
কৈশোরের এক রাজকন্যা অভিভূত পৃথিবীতে এখনও অনন্যা অবাক জানায় অনুভবে আছি স্মৃতির মৌমাছি আমাদের মায়াবী…..
অপেক্ষা ছিঁড়ে ছিঁড়ে
তুমুল বর্ষা প্রেমে
মেঘ নেমে আসে মাটির উপর
প্রাচুর্য হারিয়ে যায় একসময়
কাঁকর বিছানো পথে
অজান্তেই ঝরে গেল
প্রতিশ্রুতি, পাতাদের নামে…
বৃষ্টি, তুমি তো শিকড়ের প্রতিবেশী…
ফিসফাস গল্পেরা বিচ্ছেদ চেয়ে
ঝরে পড়ে; কত সহজ, সাবলীল
বৃষ্টি ধুয়ে দেয়, পায়ের পাতা
ফেলে আসা জলছাপ।
দূর থেকে দেখি, নীলচোখ
পর্দার আড়ালে, আত্মগোপন
ক্রমশ ক্ষয়ে যাওয়া উৎসমুখ
ব্যথাগুলি খুলে রাখি বিছানায়।
নিরাভরণ, বিবর্ণ পাতা উড়ে এলে
হারিয়ে যাওয়া যাবতীয় আলোয়
পুরানো চিঠিগুলি পড়ে নিই
ঢেউয়ের খুব কাছে বসে;
প্রতিটি দিনের শেষে, গুটিগুটি পায়ে
সন্ধ্যা নেমে আসে।
এসো, সূর্যের আলো থাকতে থাকতেই
আমরা জেগে উঠি
ঘুম থেকে টেনে তুলি আত্মাকে।
কোনো আলপথ নেই নিজেকে ছড়িয়ে দেবার
পায়ে পায়ে জড়িয়েছে লজ্জা।
তবুও চিৎকার করে বলি,—
হে অনন্ত যৌবনা পৃথ্বী,
হে গর্ভিণী মৃত্তিকা,
এবার প্রসববেদনা উঠুক।
পিতৃত্বের স্বাদ গুনে গুনে
আমিও পাখির মতো
কচি কচি কান্না শুনে শুনে
বৃষ্টির ভেতর সাঁতরাতে সাঁতরাতে
আমি কি পুরুষ হব?
আমি আশ্রমে যাবো। সেই আশ্রম
যেখানে সিংহ ও শিশু একসাথে খেলা করে
মাছের চোখের মতো রোমাঞ্চকর বিকেল
একতার আমাকে বাঁধতে পারেনি
কৈশোরের এক রাজকন্যা অভিভূত পৃথিবীতে এখনও অনন্যা অবাক জানায় অনুভবে আছি স্মৃতির মৌমাছি আমাদের মায়াবী…..
ভালো আছো, ভুলে আছো একটাই আঙুল একটাই সেতার যতোবার সুর তুলি তোমার নাম ততবার একটাই…..
প্রতীক্ষিত প্রেম চোখের চাহনিতে গভীর প্রণয় অন্তরে তৃষ্ণা সুধায়, একপলক দৃষ্টি আকুলতার নিঃশ্বাসে প্রতীক্ষার অন্তিম…..
মাঝরাতে বেড়াবার একদিন মাঝরাতে ঘুরে বেড়াবার ইচ্ছা হলো আঁধারে কপাল ঠুকে বেরিয়ে পড়লাম সটান দূরের…..