প্রেমের কাণ্ডারী

সোমা লাহিড়ী মল্লিক
কবিতা
Bengali
প্রেমের কাণ্ডারী

স্বপ্ন দেখা

আজ রাতে দেখা হবে তোমার সাথে
দেখা হবে তোমার সাথে ঘুমের দেশে
অজানা এক পুলক মেখে সারা গায়ে
ঘুমিয়েছিলাম রাতদুপুরে দীঘির পাশে,

কাজল কালো পরীর চোখের পাতা গুলো
হাতের চুড়ি, পায়ের নূপুর আটকে দিয়ে
ভাসিয়ে দিলো পদ্মবনে ভেলায় করে
রাত্রি শেষে আমার চোখের স্বপ্ন হয়ে।

 

রাতের আকাশ

তোমার জন্য না হয় জাগব আরেকটা রাত,
রাতে আমার ক্লান্তি যদি আসে
তোমার জন্য জাগবে দুচোখ আমার
বাঁশিওয়ালা রোজ রাতে একবার, ঘুরে বেড়ায় বাড়ির আশেপাশে
কখনো বা পড়ার টেবিল থেকে, আমার চোখের সামনে রাধা তখন নাচে;
তোমাকে বলা হয়নি কোনোদিন
আমার কলম যদি ডাকে তোমায় রাতে
তুমি টেবিল নিচের ড্রয়ার ছেড়ে তখন, বসবে ঠিক চোখের সমুখেতে,
রাতের ফোনকল থেকে বেরিয়ে আসো যদি!
আমার ট্রিগার তখন আমায় পিছনে ফেলে,
আসবে ভাবছে অবচেতন মনে
তুমি দাঁড়িয়ে আছ বাঁশি নিয়ে হাতে
বাঁশির সুরে ছবি শব্দ হঠাৎ
একি! ভাবের ঘরে বসে আছি একা,
বাঁশি আছে তানপুরা আজ নেই,
শব্দ আছে কোলাহল নেই,
কাগজ কলম, সারা টেবিলময়
আমার রাতের আকাশ এখন পদ্যময়।

 

প্রেমের কাণ্ডারী

রাধা তোমার মান হয়েছে
কৃষ্ণ গেছে চলে
এখন আছে শতেক কৃষ্ণ
রাধা গেছে ছাপ ফেলে,
কৃষ্ণ প্রেমে মজেছে কৃষ্ণ
রাধা প্রেমে রাধা
রইল না আর কারো জন্য
আইনি কোন বাধা।
পায়ের নুপুর খুলবে কেন,
বসবে না আর কোণে
প্রকাশ্যে আজ যুগল মেতেছে
নুপুর বাজছে মনে।
মনের প্রেম, শরীরি প্রেম
নারীর প্রেমে নারী
সমলিঙ্গে বিবাহ বৈধ
ঈশ্বর প্রেমের কান্ডারী।

 

যাস না খোকা

আমায় নিয়ে চলো, না-ফেরার দেশে
কোথায় কারা যেন শব্দ করে ওঠে
যাস না খোকা, আমি যাব বলে পা বাড়াই
আবার ওরা চিৎকার করে ওঠে যাস না।
ফিরে তাকাই কেউ কোথাও নেই
শুধু চাপ চাপ রক্ত, মাটি ভিজে আছে
হা হুতাশ বিষিয়ে দিয়েছে বাতাস
গাড়ি চলে গেছে অন্ধকার ভেদ করে
শুধু পড়ে আছে খোকা,
বুক চিরে ফালাফালা;
ওই শোনা যায় শব্দ যাস না খোকা।

 

তোমায় দেখে

তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝেছিলাম
আঁকিবুকি অনেক বলিরেখা
জেগে উঠেছে অভিজ্ঞতার ভারে,
তোমার গালের ভাঁজ দেখে মনে হয়েছিল
এ গালে একদিন গোলাপ ঝরে পড়ত,
ঠোঁটের কোনের স্বল্প হাসি মনে করিয়েছিল
অসময়ে পাপড়ি মেলার কথা
একফোঁটা বৃষ্টিপাতের মতো
কথাগুলো ফুটে ফুটে উঠেছিল
রাতের অন্ধকারে সজল ভাবে।

সোমা লাহিড়ী মল্লিক। কবি। জন্ম ভারতের পশ্চিমবঙ্গরাজ্যের জলপাইগুড়ি শহরে। লেখপড়া ও বড়ো হয়ে ওঠা নিজের পিত্রালয় পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার রিষড়া থেকে। লেখপড়ার সাথে আবৃত্তি চর্চা, গান শেখা এবং পাশাপাশি অল্প বিস্তর কবিতা লেখা চলতে থাকে। এরপর বিবাহসুত্রে আবদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি।...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..

ফ্রেম

ফ্রেম

দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..