শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
নদীর বুকের খাঁচা রক্ত মাংস হীন
হাড় পাঁজর ক্ষয়ে, মৃত সে নদী
অথচ একদিন সেই নদীতেও বান আসতো,
উচ্ছল, চঞ্চল, উন্মত্ত, প্রাণ চঞ্চল জলের ধারা ছিল সে নদী
নদীর ধারের গাছ গুলোও আজ প্রাণহীন,
ঝরা পাতার শুকনো বিছানার ওপর তারা দাঁড়িয়ে আছে, শূন্য শাখা প্রশাখা আর
কাণ্ড নিয়ে!
কত ফুল ফুটতো এই গাছ গুলিতেই
কত পাখি এসে বসতো গাছের ডালে
কত সুরেলা গানে ভরিয়ে দিত নদীর চারপাশের আকাশ, বাতাস…
কত প্রেমের সাক্ষী রয়েছে,এই গাছ আর নদীর ধার..
কিন্তু কে শোনাবে সেই প্রেমের উপাখ্যান?
নদী, গাছ এরা সবাই তো আজ প্রাণহীন!
পুরাতন প্রেম চাপা পড়ে যায়, এই নদীর তটে
নদীর চর খনন করলে পাওয়া যাবে,
প্রেমের ধ্বংস স্তূপ।
চাষের মাঠের লাঙ্গল চোষতে গিয়ে
উঠে আসে শুধু না খেতে পাওয়া
ক্ষুধার্ত কঙ্কাল গুলো
যারা আমাদের জন্য খাদ্য প্রস্তুত করতে গিয়ে, জলের দামে বেচে দিয়েছে,
তাদের রক্ত জল করা ঘাম, ক্ষুধার্ত পেট,
খালি পেটের অক্লান্ত পরিশ্রম
শেষে পেটের জ্বালায় সংসার চালাতে না পেরে, প্রাণ দিয়েছে অনেক দুঃখে
সেই চাষের ই জমিতে
আলপথের ধার দিয়ে যেতে যেতে
অভুক্ত কৃষকের কান্না শুনতে পাই
যারা আমাদের খাদ্য যোগায়
তাদের ই অন্ন সংস্থান নেই!
মন ফিরে দেখে ইতিহাসের পাতা,
যখন নীল চাষী দের দাদন দিয়ে
নীল চাষ করানো হতো,
মনে পড়ে তাদের অত্যাচারের কথা।
কিন্তু এরাই যে বাঁচিয়ে রেখেছে,
আমাদের প্রাণ।
অনেক দূরে চলে গেলাম
মেঘবালিকার দেশে
মেঘের মধ্যে হারিয়ে গেলাম
বৃষ্টি এলো শেষে
মেঘের দেশে সূর্য্য ঢাকা
মেঘের পরে মেঘ
বৃষ্টি গুলো যত্নে রাখা
শুধুই হওয়ার বেগ
আয় বৃষ্টি আয়না ঝেঁপে
রিমঝিম সুর তুলে
তড়িৎ রবে উঠবে কেঁপে
বিশ্ব ভুবন ভুলে
ভিজবে মাটি, ভিজবে ধরা
ভিজবে এ মন খুব
গাছপালা রা ভিজে সারা
জলেতে চুবচুব
পুকুর গুলো ভরবে জলে
মাছ কিলবিল খেলা
হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে সকলে
সজল বর্ষা বেলা।।
তোমার ভালোবাসার অসীম শক্তি,
অমোঘ টান,
যে ভালোবাসায় আবদ্ধ করে রেখেছ আমায় সংসারের বাঁধনে….
নইলে আমি তো যোগিনী বৈরাগী
আমায় সংসারের বন্ধনে মানায় না
আর অন্য কেউ হলে আমায় এ মায়ার টানে
বাঁধতে পারতো কিনা জানা নেই।
সংসার সাধনা করেই যেটুকু আধ্যাত্মিক সাধনা হয়,
তেমনই সবটুকু সমলেই আমি মা সরস্বতীর
ধ্যান মগ্ন হই,
তাও তো পুরোটা মন দিতে পারিনি
আবার তোমার ভালোবাসায় ধ্যান ভঙ্গ করে
ফিরে আসি,
কবিতার মধ্যে ডুবে থাকতে চাই,
আমার পিছুটান তুমিই যে
থাকতে আর পারি কই, যে
যোগিনী সন্যাসিনি হবো?
কখনও তন্দ্রাচ্ছন্ন হই,
আবার জাগরণে প্রহর গুনি।
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..