আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
বসন্ত কাহন
তার থাকা বা না থাকায়
আমি সমান সহনশীল,
নীলিমার কৌশলী নীল
গোধূলি ছিড়ে বেরিয়ে আসে
প্রগত আকাশে
সেলুলয়েড সময়ের আকর্ষণ
কড়া নাড়ে দীর্ঘক্ষণ-
ওপাশ জনশূন্য –
খাঁ খাঁ প্রান্তর
যেন মহেঞ্জোদারো শহর
প্রতি সন্ধ্যায়
বুকে গুঁজে দেয়
ঐন্দ্রজালিক অন্ধকার
করোটিতে জমে
মধ্যরাতের ওংকার
স্বপ্ন-সমেত-
হাওয়ায় হাওয়ায় উড়ে
স্মৃতি আর বেঁচে থাকার প্রহরে;
যে বসন্ত খুব তাড়াতাড়ি আসে
সে বসন্ত তাড়াতাড়ি বাড়ী ফেরে
সে ও ঝরা পাতা
সে আমাকে দেখে না
ঝরা পাতা দেখে-
জল আর জোছনার বিবাদ মেখে
অপলক তাকিয়ে রয়
দূরত্বের অবয়বময়-
গাঢ় ক্ষত -ক্ষতি
করুণ বেহাগের প্রতি
তুমুল কাহিনি ছড়ায়
তৃষ্ণার থরোথরো বুকে
সময়ের কেরানি জীবন
নিজেকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে
ভিজে বর্ষায়,পুড়ে বৈশাখে
প্রেমের পদ্য
অবশ্য তুমি যখন লেখা পড়ো
চেতনার ভেতর থরোথরো
দ্বিধারা কাঁপে
সংশয়ের বৃষ্টিতে,
আর স্মৃতিরা গলে গলে পড়ে
ইচ্ছের পূর্ণিমাতে
ছায়াবাজি
আমার আমিকে
রোদ্দুরের চারদিকে
ছড়িয়ে দিয়ে দেখি
নীলিমা শূন্য, মেঘ নেই
পুরো আকাশটাই মেকি!
হাওয়া শুকিয়ে যায়
তাপদাহের আঙিনায়
দগ্ধতার কপাট খুলে
বিস্মরণের তৃষ্ণা জ্বলে
মনস্তাপের অঞ্চলে;
কখনওবা ঢেউ তুলে
পোড়-খাওয়া গোধূলি মেপে
জীবন ব্যাপে
ঝড়ের অনুভব ডাকে
মননের অন্তঃপুরে
উটের গ্রীবার মত
বয়স্ক ছায়ারা
নতজানু পড়ে থাকে।।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..