ফিরে এসো
আমার বাবা ছিলেন অত্যন্ত সাহসী একজন লড়াকু মনের মানুষ।শত অভাব অভিযোগেও তাকে কোনোদিন ভেঙ্গে…..
মৌসুমী আমায় কফিশপে ডেকেছে। কেন? আমি জানিনা। যে মৌসুমী বাপ্পা নামটা শুনলেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে সে হঠাৎ সেই বাপ্পাকেই কেন ডেকে বসলো একান্তে? কফির গন্ধে চারিদিক ম-ম করছে। আমার গড়ের মাঠ পকেটের দৌলতে এসব দামী জায়গায় ঢোকা হয়ে ওঠেনি কখনো। মেন্যুকার্ডে চোখ বোলাচ্ছি বারবার। ভদ্রতার খাতিরে বিলটা তো আমারই দেওয়া উচিত। যতই হোক মাসতুতো ভাইয়ের হবু বউ বলে কথা। পকেটে দু’টো একশ’ টাকার নোট প্রেম করছে, আর কিছু খুচরো পয়সা মাছের বাজার বসিয়েছে।
হাস্নুহানার গন্ধ ফুসফুসে ঢেলে মৌসুমী দরজা ঠেলে ঢুকলো। মৌসুমীর সাথে আমার প্রথম দেখা অপূর্বর বাড়িতে। বিদেশ থেকে এমবিএ করে এসে অপূর্ব এদেশের এক বড় হোটেলে ম্যানেজার পদে চাকরি পায়। সেই খুশিতে মেসোমশাই পার্টি দেন। মাসির বাড়িতে আমরা মানে মা আর আমি একটু কমই যাতায়াত করি। আসলে স্ট্যাটাস তো মেলে না। কী আশ্চর্য না? একইমায়ের পেটের দুই বোন। একইসাথে বেড়ে ওঠা কিন্তু পরিস্থিতি কতো দূরত্ব তৈরি করে দিল। সেই মেয়েদের ব্রতকথার গল্পগুলোর মতো। আমার বাবা ব্যবসা করতেন। মেসোমশাই ছিলেন সরকারি কর্মচারী। দাদু নেহাত হাত-পা বেঁধে জলে ফেলে দেন নি বড় মেয়েকে। তবু কপাল। হঠাৎ বাবার হার্ট এট্যাক সবকিছু নিয়ে চলে গেল। কালীঘাটের পৈত্রিক ভিটে, ব্যবসায় জমানো টাকা, মায়ের গয়না একেএকে চলে গেল বাবার চিকিৎসায়। আমার কলেজে পড়াও বন্ধ হলো। ঢুকলাম ছোটখাটো কাজ করতে। বাবার মতো ব্যবসার মাথা ছিল না যে।
এই ঘটনার আগে পর্যন্তও মাসি খোঁজ খবর নিত। টাকা দিতে না পারুক সান্তনাটুকু দিত, কিন্তু যেদিন বাড়ি ছেড়ে বস্তিতে উঠলাম সেদিন থেকে কেমন অচ্ছুৎ হয়ে গেলাম ওদের কাছে। মাসির বাড়ি ভীষণরকম দম বন্ধের জায়গা হয়ে দাঁড়ালো। যেন বুঝিয়ে দেওয়া হতো, বাপ্পা তুমি অনাহুত। অপূর্ব আমার থেকে সাতমাসের ছোট। ওর ভিতর আমি খোলা আকাশ পেতাম যতবার দেখা হতো। ওর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, বড় ম্যানেজমেন্ট কলেজ, জামাকাপড়, ক্লিনশেভ মুখে আভিজাত্য ঝরে পড়ত। তবু ওর মধ্যে কখনো দাম্ভিকতা দেখি নি। বাপ্পা’দা বলে ডাকলেই প্রাণ জুড়িয়ে যেত। মেসোমশাই জানতেন অপূর্ব আমায় ভালোবাসে তাই কখনো আমায় বারণ করেননি তাঁর বাড়িতে পা রাখতে। কিন্তু তাঁর আকার ইঙ্গিত স্পষ্ট বুঝিয়ে দিত, তিনি আমায় পছন্দ করেন না। অপূর্ব বিদেশ চলে যাওয়ার পর ওবাড়ির পাট চুকিয়েই দিয়েছিলাম। মা তো বাবার বিছানার পাশেই হত্তে দিয়ে পরে থাকেন দিন থেকে রাত, রাত থেকে দিন। যেন যমকে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছোড়েন প্রতিদিন।
অপূর্ব ফিরে এসে প্রায় জোর করেই আমায় নিয়ে গেছিল ওদের বাড়ি। আলোর রোশনাই ভরা দোতলা বাড়িটাকে পরিযায়ী পাখির মতো সুন্দর লাগছিল। দোতলার ব্যালকনিতে বসে কাগজের কাপে কফি খাচ্ছিলাম আর দেখছিলাম আমার শহরের ব্যস্ততা। এই এতো ব্যস্ততায় যেন আমি একাই অলস, নিস্পৃহ, স্বপ্নহীন এক জন্তু যার প্রতিদিন দিনগত পাপক্ষয়। অপূর্বর ডাকে পেছন ঘুরতেই চোখ আটকে গেল। আমার দিকে নিস্পন্দ চোখে তাকিয়ে আছে এক সুন্দরী। তার পরণে কালো ভেলভেট শাড়ি, মানানসই গয়না আর খোলা চুলে সে এক রাতপরী। অপূর্ব হেসে আলাপ করিয়ে দিল, “মৌ হি ইজ বাপ্পাদা, তোমায় বলেছিলাম না, আমার দাদার কথা? এন্ড বাপ্পাদা মিট মৌসুমী মাই উড বি ওয়াইফ।” আমি প্রতি নমস্কার জানালাম, সঙ্গে সঙ্গে মনটা ভার হয়ে গেল। অপূর্ব আগে তো বলেনি কখনো। মৌসুমীর চোখের দিকে চেয়ে ভীষণ অস্বস্তি হচ্ছিল। ওর চোখে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম তাচ্ছিল্য। এই বিলাসবহুল পার্টিতে আমার মতো একজন রংচটা চেক শার্ট, আর দু’বছর আগের কেনা জিন্স পরা একটা ছেলে যে বড্ড বেমানান সেটা বিনা বাক্যব্যয়ে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিল মৌসুমী। অপূর্ব ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি সিঁড়ি বেয়ে নেমে এলাম। এই শহরের আপামরের সঙ্গে মিশে যাওয়াই ভালো। আমার জীবন তো বৌদির দোকানের চা আর বাবুলালের চপ দিয়েই রাত কাটায়।
তারপর আর দেখা হয়নি ওদের সাথে। হওয়ার কথাও নয়। ভেবেছিলাম আবার দেখা হবে ওদের বিয়েতে। বিশাল এক হলের সুসজ্জিত মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকবে যুবরাজ অপূর্ব। পাশে তার বহু আকাঙ্খিত নারী, যুবরানী। আমার অকাল বৃদ্ধা মা তার অশীতিপর হাতে একটা ছোট্ট কানের দুলের বাক্স নিয়ে উঠবে সেই মঞ্চে। নববধূর হাতে তুলে দেবেন তাঁর স্বামীর সাতদিনের ওষুধের টাকা বাঁচিয়ে কেনা সম্মান। কিন্তু নববধূর চোখে সেদিনও থাকবে সেই তাচ্ছিল্য, সেই বক্র হাসি। ব্যাপারটা সাদা-কালো সিনেমার একটা কান্না ঝরা সিন। পরিচালক দেখলে জাস্ট লুফে নেবে। হা হা হা।
কিন্তু তা হলো না, মৌসুমী আমায় ডেকে নিল। চেয়ারে বসে মেনু কার্ডে চোখ বুলিয়ে বলল, “কি নেবে?” আমি এই আধ-ঘণ্টায় প্রায় একশ বার চোখ বুলিয়েও আমার বাজেটের পানীয় খুঁজে পাইনি তাই সৌজন্যমূলক হাসি হেসে বললাম, “কিছু না। একগ্লাস জল।” মৌসুমীর আবার সেই চাউনি বুঝিয়ে দিল সে আমার পকেটের হাল হকিকত বুঝে ফেলেছে। ওয়েটারকে ডেকে দুটো দার্জিলিং টি অর্ডার করে সে হেলান দিয়ে বসলো। আমার দিকে স্থির দৃষ্টি হেনে বলল, “অপূর্বর সঙ্গে এর মধ্যে কথা হয়েছে?” আমার কুঁচকানো ভ্রূযুগল আমার উত্তর বলে দিলেও প্রবলভাবে ঘাড় নাড়িয়ে বুঝিয়ে দিলাম এরকম ঘটনা গত তিনমাসে ঘটেনি। সে বলল, “আমার সাথেও গত দু’সপ্তাহ কোনো যোগাযোগ করছে না। ও ইউ,এস,এ’তে একটা জব পেয়েছে। কিন্তু যেতে চাইছে না। সেই নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হওয়ার পর আর কোনো কন্টাক্ট করেনি।” আমি এত কথার মধ্যে নিজের এই বিলাসবহুল কফিশপে বসে থাকার তাৎপর্য হাতড়ে যাচ্ছিলাম। মৌসুমী একটু চুপ করে থেকে আবার বলল, “ও তোমায় খুব ভালোবাসে। তোমার কথা শোনে। ওর প্যারেন্ট এর থেকেও বেশী। ইউ হ্যাভ টু কনভিন্স হিম।” এমন অপ্রত্যাশিত আবেদন আমার কাছে আগে কখনো আসে নি। আমি শালা কাপড়ের দোকানের সাতহাজারি কেরানি, সে নাকি কনভিন্স করবে বিলেতফেরৎ ম্যানেজারকে। ভাবতেই ঠোঁটে একটা আলগা হাসি ঝুলে পড়লো। মৌসুমীর চোখ এড়ালো না । বিরক্ত হয়ে বলল, “হাসছ যে? তোমার কি মনে হয় আমি তোমার সাথে মজা করতে এসেছি? শোনো আমার কিন্তু তোমার মতো একটা ভেগাবন্ড-এর সাথে সময় নষ্ট করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই। তুমি জানো তুমি আমার লাভ লাইফ হেল করে দিয়েছ?” আমি মধ্যগগণ থেকে একেবারে পাতালের গভীরে প্রবেশ করলাম। “আমি? আমি তোমার লাভ লাইফ নষ্ট করেছি।”
― আর নয়তো কী? যখনই দেখা হয় বাপ্পাদা এই করে বড় হয়েছে। বাপ্পাদা ওই করে পড়াশুনা করেছে। তোমাদের চাইল্ডহুড, ফ্যামিলি হিস্ট্রি এভরিথিং আমার মুখস্থ। আমি জানিনা অপূর্বর লাইফে আমি কোথায়? আমাকে এগুলো কেন শুনতে হবে বাপ্পা? লেসন, তুমি ওকে বোঝাও। ও বিদেশ গেলে ওর ফিউচার সিকিওর হবে। ওর বাবা-মায়ের তো কোনো প্রবলেম নেই। আমারও চাকরি ছেড়ে ওর সাথে সেটল করতে আপত্তি নেই। ও শুধু তোমার জন্য যেতে চাইছে না।
― আমার জন্য! আমার সাথে তো ওর দেখাই হয় না।
― আই ডোন্ট নো। মে বি ইউ গাইজ আর গে। আমি জানিনা বাপ্পা। তোমাকে অপূর্বকে কনভিন্স করতেই হবে।
মৌসুমীর কণ্ঠে আদেশ ঝরে পড়লো। আমি তার দিকে একবার নিস্পলক তাকালাম। সৌন্দর্য ভগবান দিলেও মাধুর্য দেন নি। বেশ কিছুক্ষণ টানা কথা বলে সে ক্লান্ত। এখন কালচে লাল চায়ে টকটকে লাল ঠোঁট ডুবিয়েছে। একটু কঠোর হয়েই বলে ফেললাম, “তোমার কি মনে হয়না মৌসুমী আমার সাথে তোমার আরেকটু সংযত হয়ে কথা বলা উচিত? আমি অপুর দাদা, সম্পর্কে তোমার হবু ভাসুর।” সে একটু থমকালো মনে হলো। যাক বাঘিনীকে বশ করতে পেরেছে বাপ্পা রায়। মনে মনে একটু নিজের পিঠ চাপড়ে নিলাম। পরক্ষণেই প্রতিপক্ষ তার বিস্কিট কালার ব্যাগ থেকে পাঁচশ টাকার নোট বের করে টেবিলে রেখে উঠে গেল। বলে গেল, “না, আমি তা মনে করিনা।” দরজা ঠেলে সে মিশে গেল সাধারণে। নাঃ, অপূর্বকে বোঝাতেই হবে। এসব পাবলিক থাকলে আমার মাসির কপালে দুঃখ নাচছে।
অপূর্ব আসলে ওর বাবা মাকে ছেড়ে, এই শহর ছেড়ে, বন্ধু-বান্ধব ছেড়ে যেতে চাইছে না। চারবছর দেশছাড়া থেকেও কিছুতেই নড়তে চাইছে না আবেগপ্রিয় বাঙালি। অপুকে রাজি করানোর সুবাদে মৌসুমীর সাথে দেখা হতে লাগল, একবার, দু’বার, দশবার। ওর চোখের সেই চাউনি কেমন বদলে গেল। যদিও এই দশবারের দেখায় আমরা কেউই যেচে কথা বলি নি। অবশেষে ভাই আমার রাজি হলো। ঠিক হলো ওদের দু’জনের বিয়ের পরই যুগলে বিদেশ পাড়ি দেবে। বড়লোকের কথা, মুখ থেকে খসতেই ব্যবস্থা শুরু। এদিকে আমি চাকরি বাকরি মাথায় তুলে বরের হয়ে প্রক্সি দিয়ে যাচ্ছি। মৌসুমী অবলীলাক্রমে আমার মাপের শেরওয়ানি কিনছে, বেনারসির রং নির্বাচন করছে আমার কথায়।
এক বিকেলে মৌসুমীর সাথে গয়না আনতে যাওয়ার কথা। বৌবাজারে দাঁড়ানোর কথা নববধূর। বেরুতে যাবো এমনসময় বাবার বুকে ব্যথা উঠলো। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সব শেষ। আশ্চর্য আমাদের চোখ বেয়ে শুধু একফোঁটা জল ঝরলো, বুক ফাঁটা হাহাকার বেরোল না। পকেটের ফোনটা ভাইব্রেট করে করে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। শ্মশানে যখন লাইনে দাঁড়িয়ে লাশের নম্বর গুনছি দূর থেকে দেখলাম অপু আর মৌসুমী গেটে দাঁড়িয়ে। এগিয়ে এলাম। ক্ষমা চাইব? আজ তো আমার মুক্তির দিন। আমার সাত হাজার মাইনের চার হাজার খেয়ে ফেলা লোকটা আজ দুটি প্রাণীকে মুক্তি দিলো। আমার চোখে ভাসছে মায়ের নতুন শাড়ি, আমার একজোড়া জুতো আর দু’বেলা দু’মুঠো ভাত। অপু জড়িয়ে ধরলো। মৌসুমী তাকিয়ে রইল আমার চোখে। আজ ওর চোখে কী আছে?
বিয়ের দিন চলে এলো। আমার ব্যস্ততা বেড়ে গেল। মায়ের মুখে বহুদিন পর নিশ্চিন্তে ঘুমানোর ছাপ বুক জুড়িয়ে দিচ্ছে। দারিদ্র্য কী পাশবিক তাই না? অপুর গায়ে হলুদ নিয়ে ঢুকেছি মৌসুমীর এলগিন রোডের বাড়িতে। শরবত সবে ঠোঁটে লাগিয়েছি হঠাৎ কলারে টান। একটা ঘরে এনে দাঁড় করালো মৌসুমী। আজ তার চোখ দেখে বোঝা যাচ্ছে না তার মনের কথা। “কিছু হয়েছে?” বললাম আমি। মৌসুমী চুপ। বেশ কিছুক্ষণ পর নিস্তব্ধতা ভেঙে বলল, “একটা জিনিস চাইব দেবে?” আমি হেসে বললাম, “যদি সামর্থের মধ্যে থাকে অবশ্যই দেবো।” মৌসুমী আবার চুপ। হঠাৎ খুব কাছে এসে বলল, “আমায় চুমু খাবে?” আমার বুকের ধুকপুকানি বেড়ে গেছে। শুনতে পাচ্ছি― লাবডুব, লাবডুব। মৌসুমী আরো কাছে সরে এলো, আরো আরো… কখন যেন দুটো ঠোঁট এক হয়ে গেল। খেলা করতে লাগলো। আমার থেকে আমার প্রতিপক্ষের তাগিদটাই বেশি। কতক্ষণ গেল জানিনা। মৌসুমী আমায় নিঃস্ব করে গায়ে হলুদ মাখতে চলে গেল। ওদের নতুন জীবন, আর আমার? ভীষণ এক ঘোরের মধ্যে বাড়ি ফিরলাম। মাসির বাড়ি যেতে পারিনি আর, অপুর মুখোমুখি হতে পারবো না। আলগোছে নতুন পাঞ্জাবিটা খুলতেই পকেট থেকে টুক করে পড়ল একটা চিরকুট। খুলে দেখলাম মেয়েলি হাতের লেখায় লেখা,
“আমি তোমায় আজীবন ঘেন্না করতে চাই বাপ্পা।”
বুকের বাঁদিকে চিনচিনে ব্যথার শুরু হলো। গলার কাছেও কি একটা ব্যথা। হৃদয়, তুমি ভীষণ প্রবঞ্চক।
আমার বাবা ছিলেন অত্যন্ত সাহসী একজন লড়াকু মনের মানুষ।শত অভাব অভিযোগেও তাকে কোনোদিন ভেঙ্গে…..
ভার্সিটির বাস ধরতে হয় আমাকে খুব সকালে। বাড়ি থেকে একটু হেঁটেই রিকসা। তারপর বাস। হাঁটা…..
আজকের সন্ধ্যাটা থমকে যাওয়া মেঘেদের। ঝিরিঝির বৃষ্টি ছিল দিনভর। ঢাকা শহরের পথঘাট জল কাদায় মাখামাখি।…..
জোছনা করেছে আড়ি আসে না আমার বাড়ি গলি দিয়ে চলে যায়, গলি দিয়ে চলে যায়…..