বকুল বৈরাগীর ছড়া
গুলিয়ে গেলো হাটে নেইতো এখন কুমোর পাড়া, নেইতো গরুর গাড়ি আকাশ ছোঁয়া ফ্ল্যাট উঠেছে,ঝাঁ চকচকে…..
আমি থাকি ঢাকা শহর
মনটা থাকে দূরে,
আমায় রেখে মনটা কেনো
এদিক সেদিক ঘুরে।
আকাশ যখন ঘটা করে
বদলে ফেলে রঙ,
আকাশের ন্যায় তেমনি করে
মন চলে ঢং ঢং।
আমি যখন পড়তে বসি
মন থাকেনা পাঠে,
মন যে আমার ঘুরে ফিরে
শুধু খেলার মাঠে।
মনটা আমার বহুরুপী
রুপেরও নেই শেষ,
বহুরুপী মনটা আমার
ঘুরে সারাদেশ।
ব্যবসাপাতি যাচ্ছে খারাপ
ছাড়তে হবে ঢাকা,
ছেলের ভর্তি এই মাসেতেই
পকেট খানা ফাঁকা।
লাগবে নতুন পোষাক-আশাক
কেমনে দেবো কিনে?
আগে থেকেই কাটছে জীবন
ধার-দেনা আর ঋণে।
পিতার অসুখ মাতার অসুখ
আছে বারো মাস,
কাঁচা বাজার করতে যেয়ে
মাথায় পড়ে বাঁশ।
চালের দামে ডালের দামে
লাগছে আগুন ভাই,
এই অভাবির খবর নেবার
মানুষ দেশে নাই।
মা আমাকে প্রতিরাতে
পাড়িয়ে দিত ঘুম,
স্নেহের পরশ মেখে হতো
গান কবিতার ধুম।
মায়ের কোলে মায়ের কাঁধে
ঘুম পাড়াতো মা,
এমনি করে হলাম বড়ো
তাও কী জানো না?
ঘুমাই আমি আজো, তবু –
মা নেই আমার পাশে,
ঘুমের মাঝে মায়ের স্মৃতি
বুকের ভেতর ভাসে।
গুলিয়ে গেলো হাটে নেইতো এখন কুমোর পাড়া, নেইতো গরুর গাড়ি আকাশ ছোঁয়া ফ্ল্যাট উঠেছে,ঝাঁ চকচকে…..
লুকিয়ে চলি তোমার থেকে নির্জন হতে নির্জনে, পাবার খাতা পূর্ণ নাহোক লক্ষ্যটা থাক অর্জনে! লুকিয়ে…..
দিদি বলেন, “লেখা পাঠাও হোক না সেটা যাচ্ছেতাই” অমন লেখা লিখব আমি? প্রচণ্ড ভয় পাচ্ছে…..