দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
বৈষ্ণবীর মতো এই পথ চলার দোলায় ,
বৃষ্টি এসে জমেছে পুরনো চিলেকোঠার ছায়ায়..
শরতের ধুসর অতীত করিডোরে
এ্যাশ ট্রেতে ক্লান্ত ছাই
ফায়ারপ্লেসে খানিকটুকু পোড়া কাঠ নিভুনিভু
ভালো তো লাগেনা লং আইল্যান্ডের নিঃস্পৃহ স্পর্শ
অথচ আঙ্গুলে কিছুটা জড়িয়ে থাকে সুর
তলানিতে আজলাভরা স্বপ্ন
তখনো তো আমি নিশিডাকা রাতে নিঃশ্ব হই
না ছোঁয়ার বেদনায়…
আজকাল ভাবনাগুলো বিচ্ছিন্ন চিলের মতো নীল,
পাতাঝরানোর ভোরগুলোতে পাখিরা অস্থির ঝাকে ঝাকে ডানা মেলে,
গুচ্ছাকার লালে বিলাপের সুর…,
মেঘপল্লব ঘোলা চোখে তাকিয়ে আমাকে নিজের কাছে ডাকে
! দক্ষিণ দোরে হু হু হাওয়া।
অথচ আমি পাতাদের সাথে ঝরে গেছি সেই তো কবেই!
আলোর প্রস্রবণে যখন
আনমনে কিছু রং ঝরে যায়,
পাতাদের শিরায় শিরায় জেগে ওঠে স্বেদ
হয়তোবা তখন কবিতার বিকেল ছেড়ে চলে গেছে সারি সারি পাখিদের মিছিল….
জল ঝরে ঝরে ক্লান্ত বিবর্ণ কোন রাত
ঠোঁটের উত্তাপ ফুরিয়ে গেলে
সময় এক কর্কশ পাথর বইত কিছু নয়!
সহজ সমীকরণে কোথাও কি নিভে গেছে আলো
হয়তো আসবে নস্টালজিক সময়
উত্তাল স্মৃতি বয়ে যাওয়া পেন্ডুলাম
যেখানে অসংখ্য ভুলসংখ্যা সৃজনসঙ্গী হয় তোমার প্রতীক্ষিত ক্যানভাসে
দেখো এখানে এখনো রডডেনড্রনের সুবাতাস চিমনি গলে গলে বয়ে যায়,
বাউল সুরের অপেক্ষায় ।
অতীত ভুলে গিয়ে নিরবে যুদ্ধে গিয়েছিলো যারা
এখনো ছায়াদেরই সঙ্গী ভাবে তারা
অথচ সব হারানো এই জল কোলাহলের রাতেও
শব্দের ছায়াচিত্রে বন্দি হয়ে আছি আমি…
মেঘের বুকের উপর তরঙ্গ খেলা করে
যেন চিবুকের হাড়ে অপরূপ খাঁজ
সেখানে মগ্নতা আর জলোচ্ছ্বাস আছে
আর দীর্ঘ ভ্রমণের পথে সোয়ালোরা উড়ে যায়
ওরা ম্যারাথন রেস করছে
অথচ মঠের মতো নীরবতা
হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি ঝুলে থাকে ভোরের শার্সিতে
ওরা আমাকে গানের ভিতর স্তব্ধতা শুনতে বলে
আর আমি তো জলের ভিতর আলোর রূপ
আর ধ্যানের ভিতর শুধুই বিচ্ছেদ দেখি …
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..