আমাদের প্রায়োরিটি
বাংলাদেশের দেবশিশুরা ডেঙ্গিতে মরে গেলে আমাদের কী! ঠিক যেরকম দুই ইঞ্চি চিন্তার মাপে সহমত ভাই…..
‘নিজেকে চেনো ইরানী মেয়েরা, নিজেকে চেনাও দেখি
চিৎকার করো, বলো মানছিনা দাসানুদাসীর বাঁচা
ভাঙো সামাজিক নিষেধ টিষেধ ভাঙো পুরুষের খাঁচা
একগুঁয়ে ওই স্কার্ট চেপে ধরে বলো আর মানছি না
মৃতের জীবন, হীনের জীবন, মেকি…’ (সশস্ত্র আহ্বা্ন/কল টু আর্মস)
১৯৬৩, বারতোলুচ্চি এসেছেন সেই মহিলার ইন্টারভিউ নিতে। কিছুদিন আগে ইউনেস্কো তাঁর উপরে ৩০ মিনিটের তথ্যচিত্র তৈরি করেছে। বারতোলুচ্চির ইচ্ছে শুধু ইন্টারভিউ নয়, তিনিও একটি তথ্যচিত্র করবেন এই মহিলাকে নিয়ে। কে এই মহিলা? যাঁর কাজে ইউনেস্কো প্রভাবিত, যাঁর জীবন বারতোলুচ্চিকেও প্রভাবিত করে? ইনি ফারা ফারোকজাদ। ইরানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এবং বিতর্কিত কবি, লেখিকা এবং চলচিত্র নির্মাতা! বেঁচেছিলেন মাত্র বত্রিশ বছর। ইতিহাস তৈরি হতে বেশি সময় লাগেনা। র্যাঁবো এবং ‘ফারা’ এর প্রমাণ।মহিলাদের কবিতাশক্তি নিয়ে এখনো কত সংশয়। ফারা ১৯৩৫ সালের ইরানে জন্মেছিলেন। মারা যান ১৯৬৭ সালে। প্রবল ধর্মীয় গোঁড়ামি যে দেশে এখনো শাসনের প্রায়োগিক হাতিয়ার, ফারা সেই দেশের নারী।সাহস, মেধা আর আত্মশক্তি দিয়ে তিনি আমৃত্যু লড়াই করেছেন মহিলাদের প্রতিনিধি হয়ে। প্রতিবাদ করেছেন পুরুষতান্ত্রিক ইরানের সামাজিক মূল্যবোধকে। মিজের লেখায় নারী স্বাধীনতাই শুধু নয় নিয়ে এসছেন নারীর নিজস্ব প্রেমানুভুতির শারীরিক উদ্দীপনাও। আর এসব করেছেন তখনকার ইরানে। যখন পুরুষ কবিদেরও জেলে পুরে দেয়া নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা ছিল।
ফারার জীবন সংক্ষিপ্ত।আর এই ছোট্ট জীবনে ফারা ইরানের ধার্মিক শাসনের অমানবিক নিয়ম ইত্যাদিতে আবদ্ধ হয়ে থাকা নারীসমাজকে একটাই মেসেজ দিতে চেয়েছেন যে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র কোন কাজেই আসেনা, যদি না তাতে স্বধীন যে হবে তার ষোলোআনা ইচ্ছে থাকে। ফারা বিবাহিত জীবনে পা রাখেন মাত্র ষোলো বছর বয়সে।তুতো এই ভাইয়ের বয়স অনেকটা বড় হওয়ায় বাড়িতে আপত্তি ছিল। ফারা সেসব না মেনেই বিয়ে করেন।।১৯৫২ সালের বিয়ে ১৯৫৪ সালে ভেঙে যায়। ইতিমধ্যে একটি পুত্র সন্তানও হয়।কামিয়ার। বিবাহ বিচ্ছেদের পরে ফারা ছেলের ভার তার প্রাক্তন স্বামীকে সঁপে দিয়ে এক অসম্ভব জীবনযাপনের দিকে পা বাড়ান। সেই মুহূর্তে তাঁর আশ্রয় ছিল কবিতা। স্কুলের বেড়া ডিঙিয়ে ফারা একটি টেকনিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়ে পেইন্টিং আর পোষাকের ডিজাইন ইত্যাদি শিখছিলেন। কিন্ত কবিতাই ছিল তাঁর নিজের এলাকা। যেখানে তিনি নবীনা ইরানের স্বপ্ন বুনে দিতেনঃ
আমি থামবো কেন, পাখি তো চলেই যাচ্ছে
জলের দিকে
তার ওড়ায় দ্রুতি রকেটের
যা আছড়ে পড়ছে দিগন্তে
আর চক্চকে এই গ্রহ, সেও তো ঘুরছে
চোখের পলক না ফেলে
ঘুরছে, থামছে না। তো শুধু আমিই
থেমে থাকবো কেন? (আসির/ দি ক্যাপটিভ)
ফারার প্রথম কবিতার বই ‘আসির’ বা ‘বন্দি’ প্রকাশিত হয় ১৯৫৫ সালে। ফারার বয়স তখন কুড়ি বছর। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বিতর্কিত হয়ে উঠল বইটি। ১৯৩৫ সালে অর্থাৎ ফারার জন্মের বছরে তৎকালীন শাসক রেজা শাহ পারস্যকে ইরানে নামান্তরিত করেন। শাহদের শাসন ছিল একতরফা লুঠ আর ভোগের শাসন। মূলত ব্রিটিশ কোম্পানিরা ছিল তেলখনিগুলোর একচেটিয়া মালিক।হিটলার ক্ষমতায় এসেছিল ১৯৩৩-এ। রেজা শাহ ব্রিটিশদের সংগে সম্পর্ক রাখলেও হিটলারের জার্মানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন জোরদার করতে শুরু করে দেয়। একটা সময় ইরান আর জার্মানির মোট আমদানি আর রপ্তানির অনুপাত দাঁড়ায় ৫০ঃ৪২।প্রমাদ গনে ব্রিটেন। সোভিয়েট ইউনিয়নও ভাল ভাবে নেয় না এই বানিজ্যিক অবস্থান। তবে হিটলার ‘মেইন ক্যাম্ফ’- এ লিখে দিয়েছিল যে আরব দুনিয়া আর ভারতীয়রা হল নিচুশ্রেণীর জাতিসত্বা। তাদের সঙ্গে জার্মানির কোন আত্মিক সম্পর্ক থাকতেই পারেনা। অন্যদিকে উপনিবেশবাদ বিরোধী আন্দোলনগুলোকেও হিটলার পাত্তা দিত না ওই জাতিগত কারণে। যাইহোক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইরান নিজেকে নিরপেক্ষ ঘোষনা করে দিল।ফারার বাবা ছিলেন ইরানের সামরিক বাহিনির কর্নেল। নাম বাঘের ফারোকজাদ। মায়ের নাম তোরান ওয়াজিরি।এসবই ফারার শৈশবের ঘটনা। আগেই বলেছি ফারা তাঁর চেয়ে বয়সে অনেকটা বড় সম্পর্কিত ভাই পারভেজ শাপোরকে পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করেন। মাত্র ষোলো বছর বয়সেই ফারা রোমান্স আর শরীরের পারস্পরিক সমঝোতায় ঢুকে যান। আমৃত্যু থেকেও যান।
বিবাহবিচ্ছেদ ফারাকে কবিতায় একনিষ্ঠ ক’রে তোলে। বিচ্ছেদের একবছরের মাথায় ফারার প্রথম কবিতার বই ‘আসির’ (দ্য ক্যাপটিভ) প্রকাশিত হয় চুয়াল্লিশটি কবিতা নিয়ে।এই বইটি ইরানের ফেমিনিস্ট কবিতার ধারা গড়ে দিল।বিবাহবিচ্ছিন্ন ফারা লিখলেনঃ
‘মেয়েটি হেসে বলল, এই আংটি পরলে কী হয়
আমার আঙুলে গেঁথে বসেছে
আর উজ্জ্বল হয়ে উঠছে, রহস্য আছে কোন?
ছেলেটি বলল, সারাজীবন সুখ থাকবে
এই আংটি সৌভাগ্যেরবাকি সবাই বলল, নতুন জীবন সুখের হোক
অভিনন্দন শুভেচ্ছা
এত বলার ভেতরেও মেয়েটি দেখছে তার আঙুল
ঝলমল করছে আংটি
তার সন্দেহ যাচ্ছেনা, কি হয় আংটি দিয়ে
শুধু উজ্জ্বলতা দিয়ে..দিন যায়, যেভাবে দিন যেতে পারে
একটি মাঝবয়েসী মহিলা
আর সেই আংটি
মহিলা ঝুঁকে আছে, দেখছে ওই উজ্জ্বলতার ভেতর সেই ছেলেটি মুছে যাচ্ছে
ক্রমশ চলে যাচ্ছে আরেকটি মেয়ের সঙ্গে
আরেকটি গোপন সম্পর্কেমেয়েটি মহিলা হয়ে তাকিয়ে থাকে
আংটির দিকে বশ্যতার দিকে..’ (দ্য ওয়েডিং ব্যান্ড/ বিয়ের আংটি)
স্বভাবতই ফারাকে কোনঠাসা করার চেষ্টা শুরু হল পুরুষশাসিত ইরানের সাহিত্য-পরিসরে। কুৎসা, চরিত্রহনন ইত্যাদি শুরু হয়ে গেল।নার্ভাস ব্রেকডাউনের শিকার হয়ে ফারা চিকিৎসা আর ওষুধের আশ্রয়ে চলে গেলেন। কিন্তু অদম্য ফারা ফিরে এলেন সব মানসিক আর সামাজিক বাধাকে পরাস্ত করে।এই সময়েই(১৯৫৫) তিনি ন’মাসের ইওরোপ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন, তাঁর মানসিক জটিলতা সন্তুলিত হতে থাকে এই ভ্রমণে।লেখার ক্ষেত্রে যাকে বলা হয় ‘প্রলিফিক’ বা ‘বহুপ্রজ’, ফারা ইওরোপ ভ্রমণ করে আসার পরে তাই হয়ে উঠলেন। ১৯৫৬ সালে দুটি কবিতার বই প্রকাশিত হল। ‘দ্য ওয়াল(দীবার)’ আর এসিয়াঁ ( রিবেলিয়ন)।ফারার কবিতা নারীঊন্মেষের আধারেই স্বতন্ত্র হয়ে উঠছিল। ওইসময়ে অর্থাৎ ১৯৫০ পরবর্তী সময়ে ইরানের রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক ভাঙচুরের ভেতরেই গড়ে উঠছিল এক নতুন কবিতাধারা। ১৯০৬ থেকে ১৯১১ অবধি চলা পারস্যের সাংবিধানিক বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে কবিতাকে বাস্তবানুগ করে তোলার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন ইরানের দুই প্রভাবশালী কবি আলি আকবর দেহখোদা আর আবোলকাশেম আরেফ। এঁরা প্রথাগত পারস্যধারাকে চ্যালেঞ্জ জানালেন রেটরিক, লেক্সিকো সেমাটিক্স আর স্ট্রাকচারের বিভিন্নতা দিয়ে।‘মোজ্জামেত’ নামের একটি অপ্রচলিত কিন্তু ট্রাডিশনাল ধারাকে নিয়ে এলেন আকবর দেহখোদা।এই আঙ্গিকের কবিতায় তিনি এক বিপ্লবী সাংবাদিকের হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। অন্যদিকে ‘গজল’কে আশ্রয় করেই আরেফ লিখলেন ‘প্যায়গাম-এ-আজাদি’। এই নিয়মহারা বিদ্রোহের ধারায় ইরানের কবিতা উশি নিমোজি আর আহমেদ শামলৌউ-এর পরিনতিতে পৌঁছেছিল। ফারা এই সামাজিকনিষ্ক্রান্তির আবহে নারীকেও জুড়ে দিলেন।ইরানের সেই নারী যে আত্মপরিচয় খুঁজে বেড়াচ্ছিল।শিকড়ে রাখছিল স্থা-বিরোধী বিস্থাপনার ভূকম্পন! ফারার কলমেই ইরানের নারী মুখর হয়ে উঠল, প্রভাবী হয়ে উঠল! ফারাই প্রথম নারী শরীরের আর্তি নিয়ে এলেন ইরানের কবিতায়ঃ
‘পাপ করেছি, একটিই পাপ, ভাল লাগছে তো, ভালোই লাগছে
আমাকে যে সে ছুঁয়ে ছুঁয়ে আছে স্পর্শ করছে অদম্যতায়
পুরুষালি দুটো হাতের খেলায় পাপ করছি, চূড়ান্ত পাপ
এই উষ্ণতা ইস্ত্রীগরম, ভাল লাগছে, কি ভালই না লাগছেঘন হতে থাকা রাত্রি্র রাতে ‘নির্জন’ ভাল লাগবে না বলো
দুবুকে আমার লেপ্টে যাচ্ছে তীব্র তোমার শারীরিকতা
ভাল তো লাগছে, শিউরে উঠছি খুশিভরা এই সমূহ পাপে
ডুবে যেতে চাই, ভাল লাগা চোখে, মরে যেতে চাই গহন তাপেঅন্ধকারের ইচ্ছে জড়িয়ে নাবাল ঠোঁটের জমিটি হাসছে
ভাল লাগছে এই স্পর্শ পুরুষ, তুমি এত পাপী আগে জানতাম না
তোমার ঠোঁটেই নিহিত আমার স্বাধীনচেতা ঠিকানা ফিকানা
দুঃখ আমার হারিয়ে গেছে, এই দিগন্তে ফুরিয়ে গেছে..’ (গুনাহ/ সিন)
আর ফারার ব্যক্তিজীবনেও ছোট, বড় পুরুষবন্ধু এসেছে, চলে গেছে।ফারা রোমান্টিক ছিলেন।তাঁর বিদ্রোহ মেকি ছিলনা। ব্যক্তিজীবনের স্বাধীনতার সঙ্গে আপোষ না করার সাহস আর জেদ তাঁকে এক অদ্ভুত জীবন্ত সম্পর্কে নিয়ে যায়।এব্রাহাম গোলস্তান ইরানের ‘নিউ ওয়েভ’ সিনেমার অন্যতম পথপ্রদর্শক। ‘Brick and the mirror’, ‘The ghost valley’s treasure’ তাঁর বহু আলোচিত ফিল্ম। এছাড়াও বেশকিছু তথ্যচিত্রর নির্মাতা গোলস্তানের সঙ্গে আমৃত্যু এক বন্ধনহীন বন্ধুত্ব আর ভালবাসায় জড়িয়ে ছিলেন ফারা।এই সময়েই কুষ্ঠরোগীদের নিয়ে করা ফারার তথ্যচিত্র ‘The house is black’ সাড়া ফেলে দেয়, পুরষ্কৃত হয়।লেপার কলোনিতে শুটিং করার সময় ফারা একটি কুষ্ঠরোগীর পরিবারের দুটি বাচ্চাকে ‘এডাপ্ট’ করেন।১৯৬৩ সালে করা এই তথ্যচিত্রটিই তাঁর একমাত্র ফিল্ম।এরপরেই ইউনেস্কো ফারার ওপরে ৩০ মিনিটের তথ্যচিত্রর প্রযোজনা করে।বারতোলুচ্চি আসেন ফারার ইন্টারভিউ নিতে।এবং কবি ফারার জীবন নিয়ে ১৫ মিনিটের একটি ফিল্ম করার সিদ্ধান্ত নেন।
কবি ফারা কিন্তু থেমে থাকেন নি।তাঁর চতুর্থ(Another Birth) এবং পঞ্চম বই(“Let Us Believe In The Beginning Of The Cold Season” ) প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ এবং ১৯৬৫ সালে।ফারার কবিতায় নারীর ঊন্মেষ ছিল তার উপস্থিতি ঘোষনায়, ফারা লায়লা, মজনুর গল্প নিয়ে একটি অসাধারণ কবিতা লিখেছিলেন।যেখানে আদম এবং ঈভেরও উল্লেখ আছে।ফারার কবিতায় ঈভ আর লায়লা, আদম আর মজনুর মতই সক্রিয়।মূল কাহিনিতে ঈভ আর লায়লাকে যেভাবে পুরুষের অনুবর্তী করে দেখানো হয়েছে ফারা তাকে অস্বীকার করে নারী এবং পুরুষের সমান ভাগদারির কথাই লিখলেনঃ
সবাই জানে
সবাই জানে যে, আমি আর তুমি
দেয়ালের ফাটল দিয়ে দেখেছিলাম
সেই বাগানটাসবাই জানে
সবাই জানে যে, আমি আর তুমি
একটা গাছের ঝুঁকে পড়া ডালের কাছে পৌঁছে
দেখেছিলাম, আপেল
তুলেওছিলামসবাই জানে যে, আমি আর তুমি
সত্য
আর তার শিকড়ে পৌঁছেছিলাম
শুখাজমি তৃণভূমি পেরিয়ে (conquest of the garden)
ফারা বেঁচেছিলেন মাত্র বত্রিশ বছর।ফেব্রুয়ারি ১৪, ১৯৬৭ মায়ের সঙ্গে দেখা করে ফিরে আসার পথে নিজের গাড়িতেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে মারা যান তিনি।পরে ফারার মা বলেছিলেন,সেদিন মেয়ের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ কথাবার্তা হয়েছল। মেয়ের সঙ্গে এত সুন্দর কথাবার্তা এর আগে আর কখনো হয়নি তাঁর। এই সামান্য আয়ুতেই ফারা হয়ে উঠেছিলেন আধুনিক ইরানের সবচেয়ে অসামান্যা নারী।তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে লেখা হয়েছিলঃ
‘A real revolution is, in fact, shaking the foundations of Iranian society, a revolution with women at its very center. Veiled or unveiled, Iranian women are reappraising traditional spaces, boundaries, and limits. They are renegotiating old sanctions and sanctuaries. They are challenging male allocations of power, space, and resources. Exercising increasing control over how reality is defined, they are redefining their own status. It is in this context of the negotiation of boundaries that the veil is now worn by some women, not to segregate, but to desegregate.
The genealogy of this revolution can be traced back more than a century. Women writers, at the forefront of this movement, have consistently spoken the previously unspoken, articulated the once unarticulated. Their voices can be heard loud and clear in their literature. And the formerly silent, the supposedly invisible have discovered surprising resources in their re-appropriated voices and presences and sheer dynamism of their mobility. In the words of one poet, Forugh Farrokhzad‘
ফারার দুটি অসামান্য কবিতা দিয়েই এই আলোচনা শেষ করি।কবির কবিতাই তো তাঁর শেষ আশ্রয়, আমরা বিনম্র হয়ে নতমস্তকে সেই আশ্রয়ী কবিতাগুলো পড়া ছাড়া আর কি করতে পারি?
হ্যাঁ
আমিই রাতের নিস্তব্ধ ধুকপুকে
ছিঁড়েছিলাম
ভালবাসার চিঠি
সে চলে গেছে
যদিও আছে, আমার ভেতরে
টান হয়ে
আমার হৃদয়ে আমার ধ্বকধ্বকে এখনো সে
কি এমন হল
যে ও আর ফিরে এলোনা, ভুলে গেল আমায় ((স্টারস/ তারা))
এই শহর
নদির গর্জন ছুঁয়ে আর শেকল না মানা তালগাছধরা আলোর রাত নিয়ে
কত বছর ধরে
কত যুগ ধরে
হাত বাড়িয়ে আছে আমার দিকে
ওর দিকে ( অতীত/আ রিকালেকশন অফ পাস্ট)
বাংলাদেশের দেবশিশুরা ডেঙ্গিতে মরে গেলে আমাদের কী! ঠিক যেরকম দুই ইঞ্চি চিন্তার মাপে সহমত ভাই…..
কার্ল মার্ক্স ( ১৮১৮ – ১৮৮৩) দুটি অসাধারণ গ্রন্থ রচনা করেছেন। একটি দাস ক্যাপিটাল। সহজ…..
বাংলা একাডেমি কর্তৃক ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী একাডেমি প্রাঙ্গন ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে আয়োজিত একুশে বইমেলা ২০২৩ শেষ…..
চিত্তরঞ্জনের গৃহপরিবেশ এত সুখ ও শান্তির ছিল তবুও তার মন যেন মাঝে মাঝে কেঁদে উঠতাে…..