বেশরম
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
কতদিন পর মাঝরাতে বাড়ি ফিরছি
তোমার বাড়ির পাশ দিয়ে যেতে যেতে
গানের অন্তরা ভুলে যাওয়া দিনগুলো মুখ টিপে হাসে
গ্রীষ্মকাম হুল্লোর, রাতের মৃদু বাতাস নাম ধরে ডেকে ডেকে
তাসখন্দের বিস্তৃত পথে অপেক্ষমাণ বনিতার বেড়াল ছুঁয়ে ছিল
কালো গাড়ির খদ্দের আজও অন্ধকারে বেড়াল-নারীকে তুলে নিয়ে যায়
দোকানে সাজানো মাত্রুশকার মিলিত কোরাস সেদিনও গান ধরেছিল
খুব কি দু:খের গান ছিল সেসব
এই যে ঘর পালানো অভ্যাস, ওটা এখন বেড়ে গেছে
নামি-দামি কিছুর কিছু পরিমাণ টানছে না, টানছে পথ, পাথুরে শপথ
ঘুমলে স্বপ্নজাল মৃদু টোকা দেয়- এই ওঠো! তোমার না মাছ ধরতে
যাবার কথা। স্বপ্ন কথা বলে
শশব্যস্ত দেবতারা গাঢ়রূপ অন্ধকার মাখিয়ে দিয়ে বলে-
ঘুমা, ঘুমিয়ে থাক তো! কোত্থাও যেতে হবে না তোর
আমি কিন্তু পালাব। ডাকছে কেউ পালানো স্বভাব। পথের কি অভাব
ঘরে ঘোর মাথাচাঁড়া জবাব, কিছুই পারছে না ঠেকাতে
নাম নেই, নাম দেবো, লাইন করে দাঁড়াও যাত্রা শুরু হবে
টিকেটের প্রথম ঘরে নিজের নাম দেখে চমকে উঠব না একেবারে
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
একি অনাসৃষ্টি নিত্য পণ্য উর্ধ দাম মন তার ভালো নেই, বাজারেতে যেতে যে হবে…..
পাশের রাস্তাতে তিন জন্মের লাশ ; অনিয়মহীন এভাবেই একক অপার্থিব অশরীর ৷ উল্টোদিকে আমি…..
পাষাণের প্রেম বিকট স্তব্ধতায় সুনিপুণ সীমানা প্রাচীর তুলেছ, বেসামাল ভালোবাসার জাগতিক জায়নামাজে। প্রার্থনার গতিরোধ করো…..