বঙ্গীয় বিজ্ঞান-সাহিত্যের পূর্ব-পশ্চিম

ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী
প্রবন্ধ
Bengali
বঙ্গীয় বিজ্ঞান-সাহিত্যের পূর্ব-পশ্চিম

পূর্ব বাংলার এই অঞ্চল দু’বার স্বাধীন হয়। ১৯৪৭-এ ভারতভাগের সময় একবার, এবং ১৯৭১ সালে দ্বিতীয়বার। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশের বিকাশ একটি অভিনব ঘটনা। এই কালপর্বে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে প্রয়াস পেয়েছে। যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি গ্রামীণ পটভূমির কৃষিনির্ভর দেশকে আধুনিক একটি রাষ্ট্রে রূপান্তর করবার জন্য শিক্ষাক্ষেত্রে, শিল্পক্ষেত্রে, অর্থনীতির ক্ষেত্রে, দেশ গঠনের ক্ষেত্রে অনেকগুলো পথিকৃতের কাজ সমাধা করতে হয়েছে। কিন্তু সংস্কৃতির ব্যপারে? এ তো সেই আবহমানকালের পূর্ববঙ্গীয় সংস্কৃতি যা নতুন করে বাংলাদেশ কালপর্বে বিকশিত হয়েছে। পার্থক্য যে, ১৯৭১-পরবর্তী সময়কালে এই বিকাশ ঘটেছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, অন্যান্য দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে। সংস্কৃতির এই সূত্র ধরে লেখালেখির জগতে চলে আসা যায়। পূর্ববঙ্গের আকাশ-বাতাস, জল-হাওয়া, হাওর-বাওর, নদী-নালা, দিগন্ত বিস্তৃত ধানক্ষেত আর বর্ষার জলদগম্ভীর মেঘমেদুর পরিবেশ লেখালিখির জন্য এক চমৎকার পরিবেশ। ফলে লেখালিখির কমতি এই অঞ্চলে হয় নি। কবিতা আর গীতিকাব্য এ পরিবেশে সহজাত প্রকাশিত হয়। লেখালিখির এই পরম্পরাগত ঐতিহ্য অবিভক্ত বাংলার এক চিরকালীন বৈশিষ্ট্য। বহু রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্য দিয়ে বঙ্গভূমি অতিক্রম করেছে, বহু ঘাত-প্রতিঘাত-সংঘাত হয়েছে। কিন্তু বাঙালি লেখালেখি ছাড়ে নি। আজকের বঙ্গভূমি রাজনৈতিকভাবে দ্বিধাবিভক্ত হলেও সেই চিরন্তন ধারাবাহিকতা এখনো প্রবাহিত হতে দেখা যায়।

একথা সত্য যে, রাজনৈতিক কারণেই এখনকার পশ্চিমবঙ্গে কোলকাতাভিত্তিক সাহিত্যচর্চা বা লেখালেখির জগত প্রস্ফুটিত হয় সেই বঙ্গীয় নবজাগরণের সময় থেকেই। আঠারো শতকে বাংলা গদ্য যখন নবপরিচয় লাভ করে, বলা যায় তখন থেকেই। ফলে সংস্কৃতি চর্চার এই জায়গাটুকু, এবং আরো অনেক জায়গাতেই কোলকাতা-কেন্দ্রিক সমাজ এগিয়ে যায়। বৃহত্তর পূর্ব-বঙ্গীয় সমাজের নিদ্রাবিলতা কাটতে তখনো অনেক বাকি। কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, এবং এতদ্বজাতীয় আরো কার্যকরী বিদ্বৎসভার আয়োজনে বাংলায় আধুনিক বিজ্ঞান ইংরেজির মোড়কে প্রবেশ করতে শুরু করে। এবং সেই সুবাদে মিশনারিদের অনুপ্রেরণায় প্রথম দিককার জনপ্রিয় বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থাদি বাংলায় রচিত হয়। শরদিন্দু শেখর রায় লিখেছেন,

“ছাপার অক্ষরে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার কুণ্ঠিত সূচনা ঊনিশ শতকের ঊষাকালে”

সূচনাকাল থেকে আজ পর্যন্ত বিজ্ঞান-সাহিত্যের নানাদিক উন্মোচিত হয়েছে। আজকাল পেশাদার বিজ্ঞানীরাও বাংলায় বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখিতে পিছুপা হন না।

সূচনাকাল থেকেই বিজ্ঞানের চর্চা বৃহৎ বঙ্গের মধ্যে কোলকাতাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। কোলকাতা ক্রমশ ব্রিটিশ-ভারতের রাজধানী হয়ে উঠলে স্বভাবত কর্মচাঞ্চল্য সেখানেই থাকবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার সূতিকাগার বিভিন্ন বিদ্যালয় ও সংস্থা সেখানেই গড়ে উঠেছে। বাংলা গদ্য সেখানেই কাঠামো পাচ্ছে, ফলত বিজ্ঞান-সাহিত্যও ওখানেই বেড়ে উঠে। বাংলার গদ্যসাহিত্য বিকশিত হতে থাকলে তাঁর হাত ধরে বিজ্ঞান-সাহিত্যও বেড়ে উঠতে থাকে। বিজ্ঞান-সাহিত্যের প্রথম দিককার একটা সমস্যা ছিল পরিভাষার। বাংলায়, বা চলতি বাংলায়, বৈজ্ঞানিক শব্দের অনুবাদ বা ভাষান্তর কীভাবে করা যায়? এই কাজে মিশনারিদের অবদান অনস্বীকার্য। যেমন angle শব্দের অনুবাদ হতো ‘অত্র‘ কিংবা calcium-এর অনুবাদ হতো ‘শরকরাকর‘ (বাংলা শব্দগুলো বুঝতে পারিনি)। যাহোক একুশ শতকে এসে পরিভাষাকে আমরা অনেক পঠনে পরিশ্রুত করে এনেছি। অনেক নতুন শব্দের বাংলা এখন আমরা করতে পারছি, আবার অনেকগুলোর পারছি না। কিন্তু গত তিন শতকে বিজ্ঞান-সাহিত্যের ‘দিক-দর্শন’ আমরা অনেক বদলে দিতে সক্ষম হয়েছি।

একুশ শতকে এসে দুই বিভক্ত বাংলার বিজ্ঞান-সাহিত্য কীরূপ অবস্থায় আছে? দীর্ঘ বিভাজনের ফলে ঐতিহ্যে ছেদ না পড়লেও ভাষায় পরিবর্তন এসেছে। পরিভাষাও কিছুটা ভিন্নতর। অবশ্য গদ্যসাহিত্যের বা নন-ফিকশনের যেকোনো বই হাতে নিলেই ভাষার পার্থক্য বোঝা যায়। বিজ্ঞান-সাহিত্য প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে জারিত হয়েছে। তারপর এসেছে পূর্ববঙ্গে। ফলে স্বভাবতই উল্লেখযোগ্য লেখকের সংখ্যা, লেখার ভাষা, বিষয়-বৈচিত্র্য – সবটাতেই পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে। পূর্ববঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আধুনিক বিজ্ঞান এসেছে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। কাজেই এই বঙ্গ অন্তত একশ বছর পিছিয়ে ছিল। শতবছরের এই নিঃসঙ্গতা কাটিয়ে পূর্ববঙ্গ দ্রুতই জেগে ওঠে, সত্যেন্দ্রনাথ বসু এবং এস,এস কৃষ্ণানের হাতে আধুনিক বিজ্ঞানের ছবক নিতে শুরু করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সেই অবস্থাতেই ১৯৪৭ ঘটে, তার রেশ কাটতে না কাটতেই ২৪ বছর পর আবার ১৯৭১। কিন্তু বাংলাদেশ পর্বে পূর্ববঙ্গের ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ বেশ দ্রুতই ঘটে। এবং এই জাগরণের প্রক্রিয়া বেশ দ্রুতই সংঘঠিত হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বের মেধা-বাজারে আজ বাংলাদেশীরা অনেকখানি সুপ্রতিষ্ঠিত। একইসাথে পশ্চিম মুখাপেক্ষী না থেকে এরা নিজেরাই একটা বিজ্ঞান-সাহিত্য তৈরি করে নিয়েছে। এই বিজ্ঞান-সাহিত্য পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় কিছুটা দুর্বল ভাষার দিক দিয়ে। কিন্তু তবুও বলা যায় যে বিজ্ঞান-সাহিত্যে বাংলাদেশী ধারা মোটেই হেলাফেলার নয়। সমগ্র বাংলা ভাষায় লিখিত বিজ্ঞান-সাহিত্যের সালতামামী গ্রহণ করা হলে সেখানে পূর্ববঙ্গের এই অবদান অবশ্যই থাকবে।

বৃহত্তর পূর্ববঙ্গ বা আধুনিক বাংলাদেশে ১৯৭০-এর দশক থেকে জনপ্রিয় বিজ্ঞানমূলক লেখালেখি এবং পাঠ্যপুস্তক প্রবর্তন পুরোদমে শুরু হয়। ১৯৭০ এবং ১৯৮০-র দশকে ঢাকায় বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন শিক্ষাক্রমে বাংলায় পাঠ্যপুস্তক রচনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ পর্যায়ের বহু শিক্ষক এই পাঠ্যপুস্তক রচনা কাজে জড়িত ছিলেন। মহতি উদ্যোগ হওয়া সত্ত্বেও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির জন্য প্রণীত এসব পাঠ্যপুস্তক খুব একটা কাজে আসেনি। এর কারণ একদিকে পারিভাষিক জটিলতা এবং অন্যদিকে সাবলীল বাংলা গদ্য লেখার অনভিজ্ঞতা। এইসব ব্যর্থতার মাঝেও কয়েকটি পাঠ্যপুস্তকের নাম উল্লেখ করা যায় – ডঃ মুনিবুর রহমান চৌধুরীর লেখা ‘বীজগণিত’ এবং ‘মৌলিক সংখ্যা’ (সহলেখক সহ), ডঃ এ. এম. হারুন-অর রশীদের ‘চিরায়ত বলবিদ্যা’, প্রফেসর রহমান আলী সরদারের ‘প্রাথমিক বিশ্লেষণ গণিত’, ডঃ মহিজ –উদ-দিন আহমেদের সম্পাদনায় ‘জৈব রসায়ন’ (দুই খণ্ড), ডঃ সরোজ কান্তি সিংহের ‘নিউক্লীয় রসায়ন’, ডঃ নজরুল ইসলামের ‘প্রাকৃতিক ভূগোল’, ইত্যাদি। এছাড়া বিখ্যাত কিছু পাঠ্যবইয়ের অনুবাদও হয়েছিল। এদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ হলো রবার্ট রেসনিক ও ডেভিড হ্যালিডের বিখ্যাত ‘ফিনিক্স’ বইটির অনুবাদ (ডঃ অজয় রায়ের নেতৃত্বে অনুদিত হয়)। এসব ছাড়াও জনবোধ্য বিজ্ঞানেরও বহু গ্রন্থ প্রণীত হয় এই বাংলা একাডেমী থেকেই – মৌলিক কণা (এ. এম. হারুন-অর রশীদ) কৃষ্ণবিবর (জামাল নজরুল ইসলাম), তারা পরিচিতি (আব্দুল জব্বার), প্রাচীন জ্যোতির্বিদ্যা (আব্দুল জব্বার), আমাদের গাছ-গাছালি (এ. কে. এম. নুরুল ইসলাম), জ্যামিতি ও দর্শন (লিয়াকত আলী), বৃষ্টি ও ব্জ্র ( মুহাম্মদ ইব্রাহিম), ক্যানসার (শুভাগত চৌধুরী), সাপ (রেজাউর রহমান), আগুনের কি গুণ (নজরুল হোক) ইত্যাদি। এছাড়া সত্তর ও আশির দশকে বাংলাদেশের প্রধান বিজ্ঞান লেখকদের মধ্যে অন্যতম হলেন আবদুল্লাহ আল-মুতি শরফুদ্দিন, আব্দুল জব্বার, আলি আজগর, এ. এম. হারুন-অর রশীদ, জহুরুল হক, মুহাম্মদ ইব্রাহীম প্রমুখ। কয়েকটি ভালো ইংরেজি বইয়ের অনুবাদও হয়। যেমন – জেমস ওয়াটসনের ‘ডাবল হেলিক্স’, তোবিয়াস দান্তজিত্যের ‘সংখ্যা-বিজ্ঞানের ভাষা’, জর্জ গ্যামের ‘বিশ্বজগতের সৃষ্টি’।

এই সকল গ্রন্থসম্ভার দিয়ে বাংলাদেশের ভূমিসন্তানের বৈজ্ঞানিক মেজাজ নির্মিত হয়। অবশ্য শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাঠ্যক্রমে বিদেশি পাঠ্যবইয়েরও রমরমা অবস্থান ছিল – বিশেষ করে পেশাদারী বিষয়গুলোতে ( প্রকৌশল, কৃষি ও চিকিৎসা)। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে কলেজগুলোতে পাঠ্যবই হিসেবে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বহু গ্রন্থ বাংলায় রচিত হয়। সেসবের মান যাই হোক না কেন তারা মধ্যম  মেধাকে লালন করেছে। এবং এই মধ্যম ও তার নীচের শ্রেণির মেধা-লালনের জন্য বিদেশি বইয়ের থেকে দেশী লেখকের বাংলা বই অনেক বেশী উপকারী। এবং সেক্ষেত্রে নাম-না-জানা বহু কলেজ শিক্ষকের অবদান স্মরণ করতেই হয়। বলতে দ্বিধা নেই, এই শ্রেণির পাঠকের কাছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত অপেক্ষাকৃত উৎকৃষ্ট স্নাতক পাঠ্যের বইগুলো অধিকতর আকর্ষণীয়। সে যাইহোক, এছাড়া বাংলাদেশে বিজ্ঞান পত্রিকাও বিজ্ঞান লেখক তৈরিতে সাহায্য করেছে। একাজে ১৯৭০, ১৯৮০ ও ১৯৯০এর দশকে ডঃ মুহাম্মদ ইব্রাহীম সম্পাদিত ‘বিজ্ঞান সাময়িকী’ এবং ‘বাংলা একাডেমি বিজ্ঞান পত্রিকা’ পথিকৃতের কাজ করেছে। একুশ শতকে এসে ২০১০এর দশকের গোড়ায় তরুণ বিজ্ঞানকর্মীদের মেধা নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘জিরো-টু-ইনফিনিটি’ নামক মাসিক বিজ্ঞান পত্রিকা। এছাড়া বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর জগতে স্বপন কুমার গায়েন, হুমায়ুন আহমেদ, মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, দীপেন ভট্টাচার্য অশেষ ভুমিকা রেখেছেন। যদিও বাংলাদেশের কল্পবিজ্ঞান সাহিত্য খুব পরিপক্ক যেটা একদমই বলা যায় না, কিন্তু এদিকে কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন দুই অধ্যাপক-লেখক ভ্রাতা – হুমায়ুন আহমেদ ও জাফর ইকবাল। তাদের ঈর্ষণীয় পাঠকপ্রীতির ফলে বিজ্ঞানের দিকে অন্তত টারশিয়ারি আগ্রহ তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের অনেক সাধারণ পাঠক ফিবোনাক্কি রাশিমালা কিংবা সলিটনের নাম জানে। একুশ শতকের প্রথম দশকে বাংলাদেশে ৪ কোটি অন্তরজাল ব্যবহারকারী আছেন। এর ফলে বাংলায় ব্লগলিখন ও বিজ্ঞান ব্লগ প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিজ্ঞান ব্লগ হিসেবে অংশত ‘মুক্তমনা’ ব্লগ, হিরো টু ইনফিনিটি ব্লগ, বিজ্ঞাননবীশ ইত্যাদি ব্লগ নাম করেছে যারা বাংলায় বিজ্ঞান লিখে থাকেন।

বিজ্ঞান সাহিত্যে পশ্চিমবঙ্গ অনেককাল থেকেই এগিয়ে। সাবলীল গদ্যে সাহিত্যিক উৎপ্রেক্ষা সহকারে জনবোধ্য বিজ্ঞান গ্রন্থ রচনায় তাদের জুড়ি মেলা ভার। সমরজিৎ কর, পথিক গুহ, সুধাজিৎ দাশগুপ্ত বিজ্ঞান সামাজিকতার এমন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাংলা সাহিত্যে যা অনন্য। এছাড়া জনবোধ্য বিজ্ঞানগ্রন্থ রচনায় পার্থ ঘোষ, বিমান নাথ, পালাশরন পাল, শ্যামল চক্রবর্তী, সাধন দাশগুপ্ত, অমল দাশগুপ্ত, অরূপরতন ভট্টাচার্য, রমাতোষ সরকার প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞান পত্রিকার প্রকাশনার সাথে প্রত্যক্ষ সংযোগ না থাকায় এ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে অপারগ। তবে বিজ্ঞানচেতনা বলতে আমরা যা বুঝি তা পশ্চিমেই বেশী। এর মূল কারণ দুই বাংলার জনমিতিতে ধর্মবোধ ও ভিন্ন মতাদর্শের দীর্ঘ রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা। তবে এসব প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে অন্তরজালে ব্লগে ও ফেসবুকে দুই বাংলার বিজ্ঞান-পাঠকদের সক্রিয়তা দেখা যায়। দুই বাংলার বিজ্ঞান-লেখক, বিজ্ঞান-সংগঠক ও বিজ্ঞান-পাঠকদের নিয়ে একটি বিজ্ঞান-লেখক সম্মেলন করলে মন্দ হয় না।

ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী, পিএইচডি। গবেষক, বিজ্ঞান লেখক ও অধ্যাপক। জন্ম ১৯৭৫ সালে, বেড়ে ওঠা ঢাকায়। তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞান-চর্চা কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। বুয়েট থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন, এখন সেখানেই পড়ান। ক্যানাডার ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি। বাংলা একাডেমির একজন জীবন-সদস্য। উল্লেখযোগ্য প্রকাশনার মধ্যে ‘অপূর্ব...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

বাংলাদেশের বইমেলায় পশ্চিমবঙ্গের বই-প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক বিতর্ক

বাংলাদেশের বইমেলায় পশ্চিমবঙ্গের বই-প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক বিতর্ক

বাংলা একাডেমি কর্তৃক ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী একাডেমি প্রাঙ্গন ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে আয়োজিত একুশে বইমেলা ২০২৩ শেষ…..