প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
ভালোবাসি বলেছিলো কেউ, কেউ তো বলেছিলো
ভালোবাসার পরশ বুলিয়ে এই পাষাণ বুকে
আমি তাকে বলতে পারিনি ভালোবাসি, ভালোবাসি না
বলতেও পারিনি এক বুক সাহস সঞ্চয় করে
চাঁদপনা করুণ মুখখানা সে নিয়েছিলো ফিরিয়ে।
মতিচ্ছন্ন মুহূর্তগুলো আমাকে কেন যেন গিলে খেতে চায়
চিবিয়ে খেতে চায় আমার বুকের পাঁজরগুলো
হতশ্রী হাভাতে দিনগুলো দোর ঠেলে ভিতরে ঢুকে আসে।
গঙ্গার বুকে জেগে ওঠা চরে কার যেন বাসর সাজানো
দ্রুতগামী স্রোতের মাথায় নৃত্য করে কচুরিপানার নীল ফুল
বাসর জাগরণের পালা বুঝি শুরু হয়নি এখনো।
ভালোবাসি বলেছিলো কেউ, বলেছিলো হয়তো বা ভুল করে
ভালোবাসি না যদিও বলতে পারিনি,
কথাগুলো আজও গেঁথে আছে আমার এই পাষাণ অন্তরে।
কত সহজেই বলে দিলে তুমি – আর এসো না
আমার কাছে, আমাদের কাছে
একবারও ভাবলে না আমারও বলার কিছু আছে।
তাহলে কি ধরে নেবো রাত্রি ভেবে ভুল করি যাকে
সে আসলে আরও একটা নতুন কালো দিবস
যে-দিবসে সূর্যেরও অবাধ গতি অবাঞ্ছিত!
যে-দিবসে ফুলের সৌরভে মিশে থাকে নিরাসক্ত আহ্বান
গাছেরাও কুণ্ঠিত হয় বিলোতে শীতল ছায়া
যেন সকলেই আজ অপরের ইচ্ছের অধীন
আশার আস্ফালনে বুক ফেটে যেতে চায়
যে-আশা নিয়ে আজও বেঁচে আছি সে-আশা ধুলিস্যাৎ করে
‘আর এসো না’ বলে দিলে কতো অবলীলায়!
জীবনে আবার এসেছে আরও এক নতুন বছর
গ্রীষ্মের দাবদাহ, বর্ষার ঝমঝম শব্দের সাথে
হেমন্তের ঘ্রাণ ও নবান্নের ধান বুকে বয়ে
এনেছে উজার করে দেবার অঙ্গীকার নিয়ে।
এবছরও হয়তো নিজেরই কারো মৃত্যু সংবাদ
কোনো এক নিশুতি আঁধারে এসে দরজার
কড়া নেড়ে যাবে জোরে জোরে
হয়তো নবীন কোনো সদস্য জন্ম নেবে এই পরিবারে।
নতুন বছর ফিরিয়ে দেবে সব শোকতাপ
হাসি আনন্দ হয়তো বা চিরপ্রাচীন কোনো ঢংয়ে
যেন পিছনে ফেলে আসা বছরটাই ফিরেছে নতুন বেশে
চিরপুরাতন এই সাংসারিক পরিবেশে।
শুধু আর ফিরে পাবো না তোমাকে
দশ বছর আগেকার সেই বিভিষিকাময় রাত
আচমকা আমাদের জীবনে নেমে এসে
হাতছানি দিয়ে ডেকে সেই যে নিয়ে গেল তোমাকে।
আমিও সেইথেকে একলা বসে বসে
বিগত ও আগত বছরের পদধ্বনি শুনি কান পেতে
যারা আজও ক্রমাগত যাতায়াত করে চলেছে
আমার এই ছন্নছাড়া সংসারের ভিটেতে।
এই ডিসেম্বরের শীতে কাকভোরে জবুথবু গোটা গ্রাম।
ঘরে আগুন আছে, ঘর গরম করা গড়সির,
সেই আগুন কাঠের টুকরো,
শুকনো গাছের ডাল পড়তে পুড়তে
উথলে ওঠা চরম উত্তাপে ভারিক্কী ঘরের হাওয়া…
শরীরের কাঁপুনি তবু থামে না।
কাঠের দহনে যে তাপটুকু তার ধোঁয়ায় ধোঁয়ায়, পাকিয়ে
ওঠা, আকাশ ছুঁতে চাওয়া শরীরে চোখ জ্বালা ধরায়।
অদূরেই উত্তাপের ভাগীদার হয়ে বসে আছে মেনী,
আমার প্রিয় বিড়াল। কাঠের আগুনের নীলাভ
ধোঁয়া আমাদের গা ছুঁয়ে মিশে যাচ্ছে
হিমধরা কুয়াশার গায়ে
যেতে যেতে লেগে থাকে শিশিরভেজা গাছের পাতায়।
অদূরেই গোয়ালে চটের জামা গায়ে গোরুগুলো
মশাদের মুহুমুহু আক্রমণে অতিষ্ঠ হয়ে
বিরক্তি জানাচ্ছে গোয়ালের বাঁধানো মেঝেয়
পা ঠুকে ঠুকে, তার সাথে তাল মিলিয়ে গলায় বাঁধা
পেতলের ঘন্টি বেজে উঠছে টং টং করে।
চারদিক ফর্সা হয়ে আসছে একটু একটু করে
পাতলা রাত আরও পাতলা হতে হতে ধীরে ধীরে
একসময় মিলিয়ে যাবে সুনীল আকাশে
অথচ শীতের প্রকোপ যে কমছে না এতটুকু।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..