আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
ওইদিকে অনেক ট্রেনবেলা।
দানা বাধা হুইসেল থেকে ফু্ঁটছে যেসব
বালিকাদের ট্রাফিক
তার দিকে নোয়ানো লালরেল,
কত কত স্তনের ডালিম
ফেটে হয়ে গেলো নীপবন। ও বনকুমার,
ঘুঙুরতলা থেকে আগরঘ্রাণের ভ্রূন এসে
আলগা করে দিচ্ছে—
মেয়েটার হাতে রাখা রোকার ভাষা
এবার কি করবে?
কোথাও ঘুমের তুফানে —
মিতিমণি রাঙালো মেহেদী বন
ঐ তো রিক্ত আবরণ, ঘোড়াশাল থেকে
খিলিমুখে পাটরানি এক :
সাবানমাখা গা’য়ে
নরম বধূ হয়ে সরে গেলো —
যেখানে টুকরো টুকরো জলকাচ
বকুল হয়ে ঝরে যাচ্ছে।
চোখের পাতায় দুধের বাছুর।
বর্ষা, একটি পোস্টকার্ডকে রোদ চোষাচ্ছে
কারও কাতুকুতু সোহাগে
একটি তোতলানো দিন শোনপাপড়ি নিয়ে —
ছুতোর পাড়ার দিকে ঢুকে পড়েছে আকাশ
ওড়া রঙের পাখি
গেঁথে আছে শূন্যে
আর তার ভাঁজকরা পালে —
অনেক ধানশীষের দুধহাওয়া খাবি…
এসো নাথ, পালকিতে রুপোর রাধারানি,
দেদার চুমো। প্রমোটার শোনায়—
সাজানো আম্রপালীর বাড়িতে
আজ তামাম হলুদ ব্লাউজে
অনেকটা কমলালেবু
অথবা আগামী একটা ঈদ
দেখো কাহার, তাই তো ঝিলিক পেইন্টস্
ব্লুম করা সন্ধ্যার ফিল্মে —
শাদা জোনাকিরা ঘাসের সমুদ্রে
কেমন ফোটাচ্ছে জলচন্দ্র!
আর ওদিকে মাটি মাখা মে এর
দুটো কমলা ছিলে যায়।
জিরাফসময় ধরে—
চোখের পাতায় চাঁদ ভেঁজে চলছে
কাঁচারঙ
ও হল্লার হরকরা ,একটা ছিচকে
ডাকটিকিট
পাঠিয়ে দাও
বরাবর —
যে ছিলো সারারাত বনের রাজা।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..