আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
দস্যি মেয়েটি ঝর্নার মত লাফিয়ে লাফিয়ে
ঝাঁপিয়ে পড়তো বুকে।
ওর ইচ্ছে করতো মেঘের ভেলায় ভেসে ভেসে-
চলে যায় লাল পরী নীল পরীদের দেশে।
কিশোরী মুখভার করে বসেছিল অপেক্ষায়,
চেয়েছিল আলতো ছোঁয়ায় ভাঙাক অভিমান-
মেঘভাঙা বৃষ্টির মত ভাসিয়ে দেবে কান্নায়।
তুচ্ছ কারণে সচকিত করে-
সে হেসে লুটিয়ে পড়েছিল বন্ধুর গায়ে,
জানাতে চেয়েছিল সবাই দেখুক ওকে !
ওর চিকন মুখের স্নিগ্ধ হাসি-
বাতাসে নিয়ে এসেছিল নব যৌবনের বার্তা।
বয়:সন্ধির মেয়েটি জানতে চেয়েছিল-
তার শরীরের গোপন রহস্য।
কোনও জাদুকর তার জাদুদণ্ডের কোমল স্পর্শে
জ্বালিয়ে দিক্ হাজার তারার ঝিক্-মিক্ তার দেহে,
অসূর্যম্পশ্যা শরীরের গোপন কন্দরে
আনুক সুখের প্লাবন, সুরের মুর্ছনা।
এখন সে অহংকারী অষ্টাদশী
নিজের রুপে নিজে অভিভূত ।
আত্ম-কামে বিধ্বস্ত তনু মন নিয়ে সে চায়-
স্বপ্নের রাজপুত্র
নতজানু হয়ে বাড়িয়ে দিক্ একটি গোলাপ
কিংবা তার সমস্ত অহংকার চুর্ন করে-
ছোঁ মেরে নিয়ে যাক্ পক্ষীরাজ ঘোড়ায় ;
রাজেন্দ্রাণী হয়ে কাটাবে জীবন ।
পুর্ন যৌবনা নারী বদ্ধ সংসারে
পায়ের তলে অনুভব করে চোরা স্রোত
পিছু হ’টে ফিরে পেতে চায় আদিম বন্য়তা ;
মাটির সোঁদা গন্ধে মহুয়ার রসে মাতাল মন-
আহ্বান জানায় আদমকে ।
তার সুবিশাল বক্ষে নিজেকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে
মাটিতে মিশে অন্তত একটি বার পেতে চায় ক্লান্তির সুখ ;
বীজ বোনে তার শরীরে ।
এরপর , সে চায় বিশুদ্ধ প্রেম ;
শরীরের কাঁটা ছাড়িয়ে মনের দুয়ারে কড়া নেড়ে
সে এখন ‘মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন’ ।।
একটা আকাশ ভালবেসেছিল
আর একটা আকাশকে
একটা মেঘ ভালবেসেছিল
আর একটা মেঘ
চোখ রাঙায় সূর্য ;
এ’তো শাশ্বত প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ !
চিরকাল আকাশের বুকে থাকবে মেঘ ।
নিদান দেয় মেঘকে,
ভয় দেখায়- পুড়িয়ে মারার ।
সূর্যের প্ররোচনায় বাতাস গর্জায়
হুমকি দেয় , যেন-মেঘকে ধর্ষণ করার
শুধু তারই একচেটিয়া অধিকার ।
আকাশকে কেউ কিছু বলেনা !
কে না জানে ! আকাশের কোন সীমানা নেই ;
যত সীমানা শুধু মেঘের !
পৌষের ভাপা প্রেমে থাকে গনগনে আগুনে আঁচ
বিছানা জুড়ে নবান্নের ঘ্রাণ
সারারাত তাল-খেজুরের শরীর চুঁইয়ে নামে
ফোঁটা ফোঁটা মদিরা রস
ভরে যায় মধু ভান্ড ।
জমাটি আঁচে মো মো চারিধার
গৃহিণীর অন্দরমহল ।
সকালে দুয়ার জুড়ে উৎসব ।
আসে কাঠবেড়ালি তিতির বেনেবউ-এর দল
অদূরে জুলু জুলু চোখে তাকায় পৌষ বিড়ালি
শোনায় নবান্নের গান ।
ঠিক যেভাবে কাঁচুকীর দল নাচায় নবজাতক
সমবেত গানে “দে দে তোর মণিতারে একটু নাচাই” ।
কত সরষে নিড়োলে কত তেল আসে
তা কি কবির হিসেবে থাকে ?
তার সমস্ত লেনদেন ফুলেদের সাথে !
তোমার সাজানো বাগানে বিনা আমন্ত্রণে
তার অধিকার ছুঁয়ে দেখবার ।
যার মূল্য কোনওদিন পাওনি
চাষির কণ্ঠলগ্না হয়ে !
সেই দুয়ার খুলে যাবে দখিন সমীরণে ।
আঁচলে বিছিয়ে রেখো ফুল
যা ঝরে গেছে ফসলের আগে ।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..