বন্দেগি জেহাদ

শুভঙ্কর দাস
কবিতা
Bengali
বন্দেগি জেহাদ

বন্দেগি জেহাদ

নমস্তে আমি শান্তি দূত অনির্বাণ ,
সবুজে ছাড়ি ধরেছি পাথরের বাঁচাতে মান।
লাভ শূন্য মেজাজে শূল হেনে খেতে হয় লাত,
নীতি করে খান খান ধরি গান নিকোটিনে দিয় সুখটান।
স্বাদ-হীন ভূ-তে শিশু কোলে বাচ্চা কাঁদে খেতে এক মুঠো ভাত।
হায় বৃথায় বলিদান হাজার সহস্র প্রাণ?
‘খোলা তরোয়ার’ নিয়ে সত্যই বধিলে ভারত পরাণ!

হরতনের গোলাম রং বদলে হল ইস্কাপন গোলাম,
বিবির সাহেব হল ডনের গোলাম।
গোলামে গোলাম নিয়ে রচিত মোলাম ভারত!
মূর্খ রাজা পন্ডিত,পন্ডিত দাস মূর্খ, হল দিতে দাম-
দাসের দেশে দাসরাজ দাসের হয়ে দশদাস হল পুঁজির কৃতদাস ফিরল রাত।
বিধান হল সংবিধান, আমলা হল গামলা,
যত সব মামলা সাধারণ সামলা।

দুএকে তিন খন্ডে প্রশাসন হল দুঃশাসন,
মিডিয়া পুঁজি বিবর্তননীতির প্রজনন।
দেশি কাঠামো,স্নেহান্ধ গান্ধারী!
আমি শান্তি দূত বাস সদর্থক কানন।
শিক্ষা স্বাস্থ্যের ব্যাবসা বাধাহীন কান্ডারি।
বাম বাহুবলে জাম পাথরের কাম অহল্যা দাসী,
রাম ফিরাবে প্রাণ, আম আঁটি শেষে সীতা মা মাসি।

 

মুক্তি

জমেছে মনে আবেগ ব্যাথা।
হতে পারি গেরুয়া ধারী স্বার্থজ্ঞানী।
ধীরে ধীরে কালিমা জমেছে ফুসফুসে।
হবে কবে দূর বিন্দু বিন্দু বারি কণায়।
গত যৌবনা মেঘ রূখতে না পারে –
নবীন প্রাণের বীচ কে।
আমার কষ্ট না হয় সংশোধন
ধোঁয়া হয়েছে পাথর, অশ্রু গেছে হারিয়ে
সুখির সং সেজে করি নিজের সাথেই ছলনা
দাও মুক্তি মেলাক বুকের হীম কণা জলধরে।
যে পথেয় যায় না কেন মিলাতেই হবে শূণ্যে।
তবে এত কীসের দুঃখ, এত কীসের মায়া?
আকৃষ্টে ওই তোমার টোপ অপরুপী ভুজঙ্গী!
আনন্দ পাও, নাকি পাও ঠান্ডা তৃপ্তি?
ভালো লাগে না আর রঙ্গমঞ্চ।
দাও আমার পাওনা মুক্তি বা নির্বাণ।

 

বন্ধু্ত্ব

কী রে কেমন অনেক দিন পড়ে দেখা,দিয়ে কেমন সব?
আঠারো বছরের বন্ধুত্ব, বিয়ের পর কে আর কোথায়!
তুই আবার মুখ গোমরা করে আছিস কেন?
এই লক্ষ করিনি সাদা থান পড়ে আছিস যে… কী হয়েছে ?
বাবা আঠাশ বছরের বন্ধুত্ব ছেড়ে দিলো তাই।
মা ও বোধ হয় তাই করবে ;
তোর বৌ তো….
হ্যাঁ টাকার সাথে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিল,
তাই ডির্ভোস।
আর তোর ভাই!
বিয়ের পরের বছরই সম্পতির সাথে বন্ধু্ত্ব।
বোন !
পুঁজিপতির সাথে বিয়ে দিয়ে মুনাফার সাথে বন্ধুত্ব করেছে।
এখন কী করবি ভাবছিস ?
সাহিত্যের সাথেই কাটাবো ,
শারীরিক সুখ নয় তবে তৃপ্তি দায়ক শান্তি পাই।
কথা দিয়েছে মৃত্যুর পরেও বন্ধুত্ব রাখবে।
হ্যাঁ ভালো কথা,বইয়ের royalty কিছু….
পাস ?
না রে সাহিত্য সব সময় ঐশ্বর্যের জিনিস।
যার তার দ্বারা চালিত হয় না।
জোর পূর্বক করতে গেলে জীবন লাইন চ্যুত হয়।
তবে পথ সৃষ্ট হয় নিত্যের জন্য।
সমাজের চেনা চোখে বেমানান, সাহিত্যের কুলে রাজপদ, অমরত্বের সাথে বন্ধু্ত্ব।

 

সবুজ পাতা

মুক্ত গলে বলি রঙ বিবর্ণ হয়নি ,
ফিরেছে সবুজ আভাটি।
এসেছিল অজ শিশু বটে
খেয়েও ছিল পাতা সবে ,
বাঁকি ছিল কচি নরম ডাঁটা।
তবুও মরেনি গজিয়েছে পাতা।
স্বপ্ন হালকা নীল দুটি ফুল ,
দুলবে হাওয়ায় কালো ঝুড়ি মূল ;
ঈর্ষা কাতর চন্দ্রা ফেলে না কিরণ
পাছে পল্লব সোভা পায় তরুণ।
রবির পয়লা চ্ছটা পড়ল যবে-
সরস ডাঁটায় গৌড় হাসি মোহে।
কাটিলে ঘুম ঘোর দেখি সব মরুভুমি।
এবার এসেছিলে নিজে তুমি।
ধরিলাম আমি স্বপ্ন লাগাম-
হাতে বিজয় তরোয়াল, বলে জয় শ্রী রাম।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..

ফ্রেম

ফ্রেম

দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..

সীমানার শর্ত

বিজ‌য়ের সব মুহূ‌র্তেই… তার অ‌ধিকার! কেন্দ্র হোক আর কেন্দ্রা‌তিগ ব‌লের আসন; কেউকেউ বোরকায় রমনীয় স‌ঙ্গানুসঙ্গের;…..