বরফশহরে শীতকাতরতা

মোস্তফা মহসীন
ভ্রমণ
Bengali
বরফশহরে শীতকাতরতা

জেইন ডবরে,  জু মুভিশ পান পো আংগ্লিয়েসকু (সুপ্রভাত! স্যার, আপনি কি ইংরেজি বলতে পারেন?)  হোস্টেলের সামনে ছোট্ট এক ফালি বাগানে শোভা পাচ্ছে বিচিত্র বর্ণের ফুল আর লতাপাতা। চেনা -অচেনা গুচ্ছ গুচ্ছ হলুদ ফুল দুল খাচ্ছে আমার চোখের কার্নিশে! সেই সঙ্গে রোজমেরির ঝাড়। প্রচন্ড প্রতাপে হোস্টেলের দেয়াল -মেঝেতেও অবস্থান নিয়েছে নানা রঙের ফুলেল চিত্রশৈলি! তাতে এই যে ক্ষণ মুগ্ধতা, পোলিশ জাতির ফুল প্রিয়তা সম্পর্কে যেন আর কোনো সংশয় থাকেনা! ঝাঁকড়া সোনালি  কেশ আর পরনে পোলিশ নারীদের চির ঐতিহ্যের পোলিশ স্কার্ট  সঙ্গে গোলাপি রঙের টপস।  সপ্রতিভ তরুণী  ক্যারোলিনা কিচিন্সকা। এই কমদামি হোস্টেলটির ম্যানেজার। চমৎকার ইংরেজি বাতচিতে জানালেন, দুপুর বারোটায় রুম খালি হবে। এর আগে আমাকে রিসেপশনে অপেক্ষা করতে হবে। চাইলে ক্যান্টিনে ফ্রি খাবারের বন্দোবস্ত আছে। সুযোগ নেব কিনা? নাকি শহরটি ঘুরে দেখবো! শহরটি ঘুরবো ভেবে দরজার বাইরে বেরুতেই তীব্রতম শীত দুমড়ে -মুচড়ে দিলো শরীর! ফেব্রুয়ারির শেষসপ্তাহ।

পোল্যান্ডে বসন্ত আসতে তখনো বেশ দেরি। ঝিকিমিকি চোখের তারায় ক্যারোলিনা হাসি চওড়া করে বলে, ফিরেই যখন এসেছো, ব্রেকফাস্ট এর সমাপ্তি টানো! সদ্য  রান্না করা ধোঁয়া ওঠা পরিজ, আলুর প্যানকেক,  লালচে  গম থেকে  তৈরি  একধরনের পোলিশ বনরুটি, যা গলায় দিতেই কিনা কটূ স্বাদ! ভাবলাম,  এর চেয়ে আপেল, পাউরুটি  মাখন, দুধ আর বুনো ফুলের মধুই ভালো। টমেটো চিনতে ভুল হলোনা; আস্ত একটা টমেটোও নিলাম সাথে।  শেষে কফি নিয়ে আয়েশি ভঙ্গিতে সিগারেট ধরালাম স্মোকিং জোনে। এখানেও ভারতীয়দের থেকে মুক্ত হওয়া গেলনা! সারা পৃথিবীর বুক তন্নতন্ন করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এইসব ভারতীয় দাদারা। তার আগেই দাদাদের কাছে ইন্ডিয়ান রেঁস্তোরা এবং শহরটির যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পর্কে অবশ্য বিস্তর জেনে নেওয়া গেল!

ট্রাম থেকে নেমে, চোখে-মুখে অদম্য কৌতুহলে হাঁটছি ওল্ডটাউন স্কোয়ারে। পায়ে ঠেলছি তুষারের শুভ্র আভিজাত্য। রাস্তাঘাট ঝকঝকে -তকতকে। ভিস্তলা নদীর তীরে অবস্থিত ওয়ারশ ২য় বিশ্বযুদ্ধের আগপর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক শহরগুলোর অন্যতম হিসেবে গণ্য হতো। যতদূর জানি,পর্যটকরা তখন একে ‘উত্তরের প্যারিস’ বলেই মনে করতেন। চমৎকার একটি মূর্তি দেখে চোখ ফেরানো দায়। আবার বেশ পরিচিত মনে হচ্ছে, হ্যাঁ, এটাই তো সেই মূর্তি! ওয়ারশ শহরে আসার আগেই পড়েছিলাম, বাল্টিক সাগরে দুইটি মারমেইড এর গল্প।

একবার দুইবোন তাদের শারীরিকভাবে অর্ধ -মহিলা, অর্ধ-মৎস সত্তা নিয়ে  জলজ জীবনের প্রতি বিরক্ত হয়ে তীরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। মানব সমাজে পৌঁছাতে গিয়ে এক বোন ডেনিশ জলদস্যুর টার্গেটে পরিণত হয়। অন্যবোন ভিস্তলা নদী পেরিয়ে গডাঙ্ক বন্দরে পৌঁছে ওল্ডটাউনের পাদদেশে বিশ্রাম নিতে চলে এসেছিলো। এখানকার জেলেরা যখন দেখতে পেলো নদী থেকে শিকার করা মাছ, কেউ একজন ছেড়ে দিচ্ছে। তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অপরাধীকে খুঁজতে থাকে। অবশেষে তাঁরা যখন বুঝতে পারলো, এটি একটি মারমেইড ছাড়া আর কেউ নয়। অতঃপর  গ্রামবাসীরা তাঁর আচরণে পুলকিত  হয়ে থাকতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গ্রামবাসীর এই উদারতার জন্য রোজ সন্ধ্যায় জলজ সংগীত লিলিংগানে মারমেইডটি সকলকে বিনোদন যোগাতেন।

যেকোনো দেশ ভ্রমণে ট্রাডিশনাল খাবারের প্রতি আমার বাড়তি ঝোঁক রয়েছে। ‘রেস্তোরাঁর নামেও বৈচিত্র্য আছে ‘রেস্টোরাকজা প্রিজি জামকু’! ‘আপেটিটো‘ নামে খাবারটি সস্তা হিসাবে মধ্যাহ্নভোজনে এখানে বেশ জনপ্রিয়। কারিভুর্স্ট এর সঙ্গে আলুভাজা বা মুচমুচে চিপসের রাজযোটক! টমেটো কেচাপ এবং কারি পাউডার এটাকে আরোও মজাদার করে তুলে। ‘পিয়েরোগি’ ওখানকার আরেকটি স্বুস্বাদু পদ কিন্তু তুলনামূলক ব্যয়বহুল।’ ক্রিসমাসে এটি পোল্যান্ডের লোকেরা প্রচুর পরিমাণে ভক্ষণ করে, আর স্বাদ-গন্ধে অতুলনীয়।

ওয়ারশ শহরে এই নিয়ে আমার দ্বিতীয়বার আসা, প্রথমবার আমি অবশ্য ‘গোবকি’ নামে অনবদ্য খাবারের সন্ধান পেয়েছিলাম। মনে পড়ে, আমি সেটা বেশ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছিলাম, যেটা ছিল মূলতঃ মাংস, চাল, মাশরুম এবং পেঁয়াজের সমাহারে তৈরি রোল। মোড়ে মোড়ে ক্যাফে, মানি এক্সচেঞ্জ, প্রসাধনীর দোকান, সুপারশপ। পৃথক রাস্তায়  বাইসাইকেলে ছুটছেন শ্বেতবর্ণের মনোহারিণী কত্তো কত্তো পোলিশ নারী… এই পোলিশ নারীরা কিন্তু ইউরোপের মধ্যে রূপে-গুণে, আচরণে অনন্যা। অনেকে মনে করেন, পোল্যান্ডে পর্যটকদের উপচেপড়া ভীড়ের পেছনে এটাও অন্যতম অনুঘটক। সেরকমই একজন ইউক্রেন থেকে আসা পর্যটক ভিক্টর ইয়াঙ্কোভিচ। তিনি জানান, বিশ্ববাজারে পোলিশ নারী আর পোলিশ প্রসাধনী বা পারফিউম দু’টোর বেশ সুখ্যাতি। যদিও ইউরোতে কেনা যায়না তাদের, পোলিশ মুদ্রার অন্যনাম ‘ঝলটি’। তিনি আরোও জানালেন, জার্মান খাবারের সাথে পোলিশদের বেশ মিল। পেশায় এই চিত্রশিল্পী ৫ম বারের মতো দেশটিতে এসেছেন। কথায় কথায় তিনি জানাতে ভুললেন না, এখানকার পোলিশ ভদকার রাজসিকতা। কয়েকটি ব্রান্ডের নামও দেখি, তাঁর বেশ মুখস্থ! এক নিঃশ্বাসে বলে গেলেন, জুব্রোকা, জোলাডকোয়া গর্জকা,বেলভেদার…! মনে পড়লো, বহুদিন আগে পঠিত নোবেলজয়ী পোলিশ কবি চেসোয়াভ মিউশের লেখা কয়েকটি কয়েক পঙক্তি-

‘কেউ কেউ আশ্রয় খোঁজে নিরাশায়, যা কিনা কড়া তামাকের মতো মিষ্টি; যেন বিনাশের সময় পান করা এক গেলাশ ভোদকা’।

হোটেলের ডরমিটরিতে ফিরেছি, আর একজন বাঙালি আগন্তুক দেখে খাটিয়ার নীচতলা, তৃতীয় তলার লোকেরা তাকিয়ে রইলেন সন্দিগ্ধ চোখে। মনে হলো রুমের মানুষগুলো যেন অ্যাকুরিয়ামের ভেতর থাকা একেকটি খলবলে রঙিন মাছ, জ্বলে ওঠেছে দুই জোড়া চোখ! চটজলদি বিছানায় কুঁকড়ে-মুকড়ে না গিয়ে বরং ভাব জমিয়ে ফেলাই ভালো! হাত বাড়িয়ে পরিচয়পর্ব সারতে সারতেই বলি, বলুন তো; ‘পৃথিবী কি গোল?’ উভয়ে বলেন’ হ্যাঁ’, ‘তাহলে তো আমরা সেইদেশটিতেই চলে এসেছি, যারা বলেছিলো ‘পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে’! ‘ হো হো করে অট্টহাসি ছাদ স্পর্শ করে! গাম্ভীর্য ভেদ করে ওদের মৃত, হিমশীতল আবেগটা জেগে ওঠলো। একজন চেক প্রজাতন্ত্রের। অপরজন রাশিয়ার।

রেডস্কোয়ারের ভদ্রলোক অবশেষে রেডওয়াইনের বোতলের চিপি খুলতে খুলতে আমন্ত্রণ জানালে,অন্তরের ফুঁটো দিয়ে বেরিয়ে আসে; ধন্যবাদ নিকোলাস কোপার্নিকাস!

ওয়ারশ’র রাস্তার দু’ধারে বিশাল বিশাল প্রাসাদ সমতুল্য বাড়ি। প্রতিটির বৈশিষ্ট্যযুক্ত আকার আর স্বতন্ত্র রংই মনোযোগ কেড়ে নেবার জন্য যথেষ্ট। শীত সকালের মনোরম তেজি রোদ ঠিকরে ওঠে। ঝলসে দেয় চোখ। কিন্তু প্রাসাদগুলোর একটা মজা আছে। ভিতরে ঢুকলে দেখা যায়, বাইরেরটা অনেকটা প্রাচীরের মতো। ভিতরে মাঝখানে বিশাল উঠোন বা পার্ক। সেটা ঘিরে আবার ছোট বহুতল। হাঁটতে হাঁটতে গুগল ম্যাপের সাহায্য নিয়ে চলে এসেছি, পোল্যান্ডের সবচেয়ে উঁচু স্থাপনা সংস্কৃতি এবং বিজ্ঞান প্রাসাদটি পরিদর্শনে। ২৩৭ মিটার উচ্চতা নিয়ে এটি যেমন পোল্যান্ডের সবচেয়ে উঁচু ভবন তেমনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৫ম দীর্ঘতম ভবন। এই ৪২তলা ভবনে আসলে কি নেই?  সিনেমা, থিয়েটার, গ্রন্থাগার, স্পোর্টস ক্লাব, বিশ্ববিদ্যালয় অনুষদ, পোলিশ আকাদেমি অব সায়েন্স কর্তৃপক্ষের অফিস। এখানেই পরিচয় হলো পোলিশ তরুণী লিনা সুচোকার সাথে। ওয়ারশ স্টেইট ইউনিভার্সিটি থেকে জীববিজ্ঞানে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে জাতিতে ক্যাথলিক এই নারী এখন কর্মরত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ। স্বেচ্ছায় মানবতার কাজে।

ছেলেবেলায় বইঘেঁটে আমাদের জানা পৃথিবীর কিছু ঐতিহাসিক সত্যের পুনরুক্তি যেন তাঁর কণ্ঠে-

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ওয়ারশ’র জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ছিলো ইহুদি। নাৎসিদের পরিকল্পিত গণহত্যার শিকার হয়ে এদের সিংহভাগই মৃত্যুবরণ করলেও শহরে এদের সংস্কৃতির ছাপ পর্যটক হিসাবে নিশ্চয়ই  তোমার চোখে পড়েছে!

হ্যাঁ, ইহুদিরা যে জ্ঞানী জাতি সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। পৃথিবীতে ইহুদি মানুষের সংখ্যা ১৫ মিলিয়ন মানে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ০.২ শতাংশ অথচ নোবেল প্রাইজের ২২ শতাংশ কিন্তু তাদেরই দখলে।

ফেইসবুক, গুগলের প্রতিষ্ঠাতাও কিন্তু ইহুদিরা!

হ্যাঁ, আমি তা জানি, কিন্তু আমি যেটা জানিনা সেটি, হিটলার কেন ইহুদি মানুষের প্রতি এতোটা বিক্ষুব্ধ ছিলেন?

এটার পেছনে হিটলারের ইহুদি তরুণীর প্রতি একতরফা  প্রেম, প্রত্যাখাত হওয়ার ঘটনা নয়। বা ইহুদি ডাক্তার কর্তৃক হিটলারের মায়ের অপচিকিৎসা বা জার্মান জাতির প্রতি তীব্রতর ভালোবাসাও নয়। বিষয়টা ছিলো অর্থনৈতিক। ইহুদিদের অর্থনৈতিক উন্নতিকে হিটলার দেখতেন অসূয়া প্রবৃত্তির বশবর্তী হয়ে। জিঘাংসা থেকে হিটলার ওদের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করেছিলেন। এমনকী ভূমি মালিকানার ক্ষেত্রে ইহুদিদের আলাদা রেজিষ্ট্রেশনও নিতে হতো।

বাহ্, শেষের বিষয়টি আমার জানা ছিলো না!

হিটলারের কাণ্ডকীর্তিতে যতোটা না বদনাম জার্মানির তারচেয়ে বেশি ‘ভাবমূর্তি’ নষ্ট হয়েছে পোলিশদের।

হ্যাঁ, এরজন্য তোমাদের আইনসভায় বিলও পাস হয়েছে বোধহয়, হিটলারের ইহুদি নিধনের সাথে পোলিশদের নাম যুক্ত করা যাবেনা!

হ্যাঁ, ঠিক তাই। এখন বলো পর্যটক হিসাবে ওয়ারশ শহর তোমার কেমন লাগলো?

ইউরোপ যতোটা দেখার সুযোগ হয়েছে, তোমাদের ওয়ারশ বা ভারশাভার মতো এতো উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত শহর আর দ্বিতীয়টি দেখিনি!

শোনো, হে রূপমুগ্ধ… এই শহরের পুরোটাই কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো!

তারপর কি দারুণ অধ্যবসায়ে ধ্বংস্তুপের ভেতর তোমাদের সরকার সেটাকে পুনর্নির্মাণ করে নিলো।

লিনার সাথে হাঁটতে হাঁটতে নানারকম গল্প হয়। সঙ্গে খুনসুটি। রোমান পোলানস্কি পরিচালিত অসাধারণ ছবি ‘দ্য পিয়ানিস্ট’এর কথাও আলোচনায় বাদ থাকেনা। কথায় কথায় লিনা জানতে চায়, তোমাদের দেশ তো গ্রীষ্মপ্রধান, শীত কি একেবারে নেই?

স্তব্ধতা ভেঙ্গে  বলি, ঢাকার শীতবিলাস হারিয়ে গেছে সেই কবে! মনে মনে বলি, তুমি তো জানো না হে শীতকন্যা, মানুষের তাপমাত্রায় আমার দেশে শীত এখন লেপ-তোষক মোড়ায় নিজে নিজেই কাতরাচ্ছে! ওয়ারশ রয়্যাল প্রাসাদটিও নন্দনশৈলীতে ভাস্বর অপরুপ কীর্তি। এটি ছিলো মাজোভিয়ান রাজকুমারীদের বাসস্থান। সেইকবে রাজধানী ক্রাকো থেকে ওয়ারশ তে স্থানান্তরিত হওয়ার পরথেকেই, দুর্গটিকে পোলিশ  রাজারা সিংহাসন, রাজদরবার বানিয়েছিলো। দুর্গে লেপ্টে আছে একটি জাতির শৌর্য-বির্যের ইতিহাস। মুগ্ধ হয়ে ভাবছি, জীবনের সব অনুষঙ্গ পূর্ণ করে একদিন তাঁরা হয়েছিলেন রাজ-রাজড়া। শারীরিকভাবে অস্তিত্বহীন হয়েও শত শত বছর পরে এখনও তাঁরাই সিংহাসনবিহীন রাজা, কারন সাধারণ্যে তাঁদের দাপটের তো কোনো কমতি নেই!

বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, সেই বৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, তুষারের দুধসাদা রং রাজ প্রাসাদের জানালাকে খাতা বানিয়ে যেন প্রলেপ দিয়ে দিয়ে কবিতা লিখছে! শীতের দেশের এই শীত- প্রাচুর্য মনের কোনো এক গভীরে আনন্দ দেয়। স্বপ্নালু ভঙ্গিতে মন উথলা হয়। সাহস করে লিনার গোলাপি আঙুলে দিই টোকা, ডাকছে বাইরের পৃথিবী! পরম মায়া। বরফের কণা ছুঁয়ে তাড়াবো হাজার বছরের গ্লানি! বিষ্ময়ানন্দে দেখবো,পত্রবিহীন সারি সারি বৃক্ষ,  সবুজ ঘাসের উদ্যান, তামাটে রঙের ঘরবাড়ি, তার মাঝে তড়িৎ-গতির ছুটে চলা চকচকে একেকটা নতুন গাড়ি! আরোও দেখবো সবকিছু ভেদ করে ওই উঁচুতে; কীভাবে কুয়াশা রঙের শুভ্রতায় হাসছে গির্জার সাদা চূড়া!

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

রে এলাম সিঙ্গিগ্রাম, কবি কাশীরামদাসের জন্মস্থান।

রে এলাম সিঙ্গিগ্রাম, কবি কাশীরামদাসের জন্মস্থান।

কবি কাশীরামদাসের জন্মস্থান পূর্ববর্ধমান জেলার সিঙ্গিগ্রামে বেড়াতে গেলাম।তাঁর জন্মভিটের ভগ্নাবশেষ দেখলাম।আমি,মিহির,রিমি,সোমা,রজত সকলে গ্রাম ঘুুুুরলাম। চারদিকে…..

শিশিরবিন্দু

শিশিরবিন্দু

ভ্রমণবিলাসী চারজন বেরিয়ে পরলাম ভ্রমণে। আমিও গেলাম।প্রথমে ওরা গেল মুকুটমণিপুর। সপ্তাহান্তে পিকনিক বা একদিনে ছুটিতে…..