আপ্লুত রজনী
কৈশোরের এক রাজকন্যা অভিভূত পৃথিবীতে এখনও অনন্যা অবাক জানায় অনুভবে আছি স্মৃতির মৌমাছি আমাদের মায়াবী…..
মেঘ জমেছে আকাশপাড়ার নীলে
আটকেছে মন শ্যাম্পু করা চুলে
গান বেজেছে মাইকে তারস্বরে
অঞ্জলি’তে আড়চোখে চোখ পড়ে
আটপৌরে হলদে শাড়ির ভাঁজে
চড়াই-দুপুর মন ছটফট কাজে
সাঁঝবিকালে গলি’র মোড়ে তুমি
ওগো, আমার বসন্তপঞ্চমী
দেখে রাখছি সরস্বতীর দিনে
পলাশ রঙে নেব’ই তোমায় চিনে!
এক গভীর ছোঁয়াচে অসুখের নাম ভালোবাসা
কারসেনোজোনিক গ্রোথ
ধরা পড়া’র আগে থেকেই ছড়িয়েছে
তার শেকড়-বাকড়
অপেক্ষা শুধু ফুরিয়ে যাওয়ার
শুধু সেই ক্যাকটাসে
ফুটে ওঠে লালফুল!
সেই রক্তিম মরণের নাম —আদর!
তুমি আমায় কাগজ-কলম দিলে
জল-রঙ, মোম-রঙ, আরও কত কী
ইজেল দিলে যেন একখানা আকাশ
রোজ সেখানে কত কী যে আঁকছি
একটু একটু করে!
তোমার প্রিয় গন্ধরাজ ফুলে’র গাছ
লাল-সুড়কি’র রাস্তা
নদী এক ঝিরঝিরে
সকাল-বিকেল সুখ-তুলি’তে ইচ্ছে-রঙ
আঁকতে আঁকতে পেরিয়েছে অযুত বছর
আমার সারাশরীরে ক্লান্তি’র উইঢিবি!
যখন ঘর আঁকলাম, খোলা জানলা
কুলুঙ্গিতে গীতবিতান
একখানি তানপুরা আমরা কোরাস গাইবো ব’লে!
দু’হাত বাড়িয়ে ডেকেছি তোমায়
‘কই এসো ‘?
তুমি অন্যঘরের সিলিং ফ্যানে
আটকেছো চোখ যখন তখন।
অথচ,
তোমার হোঁচট লাগবে বলে আমি
চৌকাঠ আঁকিনি।
তুলসীতলায় নিষ্কাম প্রদীপ জ্বেলে
পুন্যবতী’র দুচোখ জলে ভরে
‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে ‘
লালপেড়ে পাটের শাড়ি’তে ঢাকা যায় এত বড় কামনা?
অথচ দ্যাখো, টকটকে লাল শাড়ি জড়িয়ে
যে মেয়েটা পেটের দায়ে ঠেস দিয়েছে ল্যাম্পপোস্টে
সে ভদ্রসমাজের চোখে’র বালি!
ক্ষুৎপিপাসা কাম বইকী!
কৈশোরের এক রাজকন্যা অভিভূত পৃথিবীতে এখনও অনন্যা অবাক জানায় অনুভবে আছি স্মৃতির মৌমাছি আমাদের মায়াবী…..
ভালো আছো, ভুলে আছো একটাই আঙুল একটাই সেতার যতোবার সুর তুলি তোমার নাম ততবার একটাই…..
প্রতীক্ষিত প্রেম চোখের চাহনিতে গভীর প্রণয় অন্তরে তৃষ্ণা সুধায়, একপলক দৃষ্টি আকুলতার নিঃশ্বাসে প্রতীক্ষার অন্তিম…..
মাঝরাতে বেড়াবার একদিন মাঝরাতে ঘুরে বেড়াবার ইচ্ছা হলো আঁধারে কপাল ঠুকে বেরিয়ে পড়লাম সটান দূরের…..