প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
(ভারতের জনগণের উদ্দেশে)
হে ভারত! কে তুমি-
আদি না অনাদি, আর্য না অনার্য, হিন্দু না মুসলিম, এ বাহুল্য দেমাগে পুনর্বার মজো? ভাঙা ছাড়া গড়েনি যে দেমাগ, তাকেই করেছো পূজ্য!
ভারত-পাকিস্তান, এপার-ওপার শেষতো এটাই দিয়েছো উপহার! ঝুড়ি ঝুড়ি কান্না, ছিন্নভিন্ন খুন তাতেও তৃপ্ত না তোমার মন!
অাবার এখন বাতাসে ছুড়েছো ‘বহিরাগত’ ধোঁয়া।
তবে তাই হোক! ধোঁয়া থেকে হাওয়া, হাওয়া থেকে ঝড় কুণ্ডলী পাকাচ্ছে যা, বুঝে নেবে সুদে-আসলে আবার বিভক্ত ভারত।
হায় ভারত! শুধু মনে রাখো-
চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে যে লবণাক্ত জল, এখানে সে বহিরাগত!
দেহ বেয়ে ঝরতে থাকে যে ঊষ্ণ লাল, এখানে সে বহিরাগত!
যখন গৌরী দ্বীপ থেকে সবুজালয়ে এসে ছিলে তুমি, সেখানেও তোমার পরিচয় বহিরাগত;
এমনকি শিবালয় থেকে দূর্গাপুর যাওয়াটাও ছিলো তোমার বহিরাগত নিয়তি!
এখন শুধু মনে রাখলে চলবে, যে সূর্যালোক পানে চেয়ে চেয়ে তুমি জীবন ভিক্ষামাগ, সে রশ্মিও কিন্তু- বহিরাগত!
কেন আমরা ভুলে যাই-
এ ভূ-ভাগের আদি নিবাস ছিলো নক্ষত্রলোকে। এখানে জল বহিরাগত। জলে প্রাণ, বহিরাগত।
জল থেকে ভূমিতে প্রাণী, বহিরাগত।
আফ্রিকা থেকে ভূমধ্যসাগর উপকুলে মানুষ, বহিরাগত। কোল-ভিল-নিষাৎ-দ্রাবিড়; ভারত ভূমিতে, বহিরাগত।
চার্বাক-দ্রাবিড় ভারতবর্ষে-আর্য, বহিরাগত। আর্য ভারতে মুসলিম যেমন, বহিরাগত। যেমন, কালো রেড ইন্ডিয়ান ভূমিতে বহিরাগত সাদা আমেরিকান।
মোদি-মদে মত্ত হলে চলবে না ভারত;
জানোনা- বাংলা, বাঙালি, বাংলাভাষা কত বড়! তোমার পেট শুদ্ধ খসিয়ে দেবে। বাংলা, বিহার, উরিষ্যা, আসাম, ত্রিপুরার যেখানেই বাঙালি বাংলাভাষা জোট বাঁধলে হবে সুবে-বাংলা।
শুধু ভুলে যায়, বারবার ভুলে যায়, স্বার্থান্ধ দেমাগি মন! বহিরাগত ভিন্ন জগৎ কী?
তবে প্রস্তুত হও, মুখোমুখি হও আবারও ভাঙনের!
বিভক্ত ভারতের!
জীবনের দৈর্ঘ্য আছে আর সাতদিন জেনেও ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী লিখতে পারে জীবনের গল্প!
অঙ্গ জুড়ে পাঁচড়া নিয়ে চুলকানি আক্রান্ত রোগী ভাবতেই পারেনা জীবনের অর্থ!
ফ্যাসিবাদের গর্ভেও জন্ম হয় আনাতোলিয় গ্রামসির!
সংজ্ঞাহীন রাজনীতি এতটাই বন্ধ্যা যে, সে-গর্ভাশয়ে জন্মায় না ভাবুক ভ্রূণ!
আমি পলি মাটির সাথে ভেসে আসা এক রুপালি হাঁস! অঙ্গে আমার সবুজ চাদর, ডিম পাড়ি সোনার।
আমার কখনো ঘর হয়নি, সন্তান সন্ততি নিয়ে হয়নি পরিবার।
আমার সাথে সকলেই পরকীয়া করেছে! হয়েছি কেপ্ট, হয়নি সংসার।
আমি সব সময়ই ক্রীতদাস থেকেছি! সন্তানেরাও বারবার করেছে বিক্রি, দু’দণ্ড হয়নি অবসর।
এখন আমি শ্রী হনুমানের কেপ্ট! চায় মিস্টার পেন্টাগনও, হাত বাড়িয়েছে আরদ্ধ ড্রাগন।
আমি এখন ক্লান্ত! রক্তাক্ত যোনিপথ নিয়ে ধূসর সবুজে মোড়া ক্ষতবিক্ষত রুপালি হাঁস; তবুও আমি ডিম পাড়ি সোনার।
হায় রুপালি হাঁস! সু-সন্তান জন্মদানে অক্ষম আমায় কেয়ামত অবধি অপেক্ষায় থাকতে হবে, যবে হবে সময় যাবার…
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..