বহুদূর থেকে এসেছি

ফারুক ওমর
কবিতা
Bengali
বহুদূর থেকে এসেছি

বহুদূর থেকে এসেছি

(উৎসর্গ মাওলানা জালালুদ্দিন রুমিকে,আজ তাঁর আবির্ভাব দিবস)
বহুদূর থেকে এসেছি জলালোয়
অযুত আলোকবর্ষ হতে
ফিরে যাব ঠিক একই বহুদূরে
দিনহীন আলোকের প্রাতে

বিরহের আঘাতে ফিনকি মন
অধীর
গাঁথে তাবুত বন্ধন কামুক বেকুব
সকল জংলার সাথে
একটি বাসরের সুবাতাস পায়নি বলে

হায়রে দিশাহীন কবি
কাঙাল মন
মিলনের প্রিয়রে পাওনি বলে জোটেনা বাসর
তা ও বোঝনি

শুধুই দূরন্তে ছুটে চলি স্বভাবিত দেহ নিয়ে
অশ্বের পিঠে
আমার অশ্বের নাম সময়
সময়ের ভ্রমণ

সময় কি পারে প্রিয়কে এনে দিতে বুকে
নাকি আমার বন্ধনহীন মন
গড়িবে সরস প্রিয়ার বাঁশরী অংগ
মিলন রাতে
মিলনের রাত প্রবালের আলোয় প্লাবিত
সিরাতে তাহার গুল সিফাত প্রপ্রাপিত
এখানে এখন অভিষিক্ত কুমার-কুমারীর শেষ মৃত্যু

মৃত্যুর মালায় যে প্রেম দেয় যে প্রেয়সী
সে নীল নীলিমা সে শিরীন সে বুলবুল
সে প্রেম-বিকাশী

এ প্রিয়া খৈয়ামের
খৈয়ামের প্রিয়া নিয়েছে রুমি
নিয়েছে হাফিজ
নিয়েছে নজরুল
হয়ে বুলবুল
আমিও হরিব ডাকাতি করিব উহার প্রিয়ারে

কি জানি কি কহি
আকাশের চাঁদ ছুঁইতে চাহি
দৈন্য আমি
তবু ভিখ মাগি
প্রিয়ারে চাহি
প্রেয়সীর রূপ আপনায় খুঁজি
চকিতে চপলার পদধ্বনি শুনি

যদ্যপি সে লুকিয়ে কাঁদায়
নীলিমার মত হারিয়ে পালায়
তবু শরতের আকাশ ধিয়ানে বাঁধিয়া রাখি
মন কুন্তলী বিনুনি খোঁপায়

শোন নীলিমা শোন প্রিয়তমা
তোমারে খুঁজিতেই মায়ায় এসেছি

বহুদূর থেকে এসেছি
দূরে ফিরে যাব
একই বহুদূরে
একই বহুদূরে।

ঘুমাও অথবা হাত তালি দাও

বেশ তো হল
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বিপ্লব
এবার চেয়ে দেখো
চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা মানুষ আর নিহত গোলাপ
অভিজাত ক্ষুধার্তের গু খাওয়ার উৎসব

ঘুমাও অথবা হাততালি দাও

বাজারের খোঁয়াড়ে উঠেছে
রাজনীতির তেজপাতা
সের দরে বিক্রি মাননীয় পদ পদবী

ঘুমাও অথবা হাততালি দাও

সরিষার ক্ষেতে অগুণণ ভুত
করিতেছে সার্কাসের চাষাবাদ
কৃষকের চোখে সরিষার ফুল
নগরের স্বপ্নে নিভৃতের বুকে আগুন
যেমন তেলের জন্য খোয়া গেছে চরিত্র
চরিত্রের বদলে এখন মুখোশই প্রযোজ্য
জলও যাবে যাবে স্হল ও আকাশ
চোখ বাঁধা মনিবের কি দারুণ সমাজ

অথচ গুণীর খবর নেই
গুনের কদর নেই

ঘুমাও অথবা হাততালি দাও
কেননা তুমিও সুদের বিছানায় শয্যাশায়ী।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..