দৌড়
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
আজকের কালেকশান তিনেটে মোবাইল,দুটো মানি পার্স। পার্স গুলো ঘেটে শত তিনেক টাকা,কিছু খুচরো কয়েন, আর কয়েক ডজন কার্ড বেরিয়েছে। আগামী দুদিন তার ডিউটি নেই কারণ সেকটর ফাইভের বেশীর ভাগ অফিসের ছুটি তাই বাসে তেমন ভিড় ও নেই। যাই হোক কালকে ফোন গুলো জমা করলে নগদ দেড় হাজার টাকা পাবে সে..তাতে দু দিন আরামসে চলে যাবে।
নিজের সাকরেদ কে তিনশ টাকা দিয়ে সামনের হোটলে পাঠিয়ে ডিম তরকা আর বাইশ টাকার পাউচ আনিয়ে নিলো চট করে। তার ছোট টিনের ঘরটায় বাংলা মদ আর বিড়ির ধোয়ায় যেন এক অপার্থিব পরিবেশ। ডেটা ভরা মোবাইলে চলছে ভোজপুরি গান। পাশের পাড়ার বিশের কাছে শুনেছে ব্যাঙ্ককের ডিসকো তেও নাকি ভোজপুরি গান চলে। বিশে আর সে একই সঙ্গে এই লাইনে নেমেছিলো,আজ সে কোথায় চলে গেছে,শুধু ঠিক সময়ে নিজেকে পরিবর্তন করেছিলো বলে।
ওদের ইস্কুলের ফাস্ট বয় ( নিজে অবশ্য ক্লাস ফোর অবধি পড়েছে), মাধ্যমিকে সেকেন্ড হয়েছিল তার সরকারি চাকরিটাও বিশে করে দিয়েছে-নগদ দশ লাখ টাকা,বন্ধু বলে এক লাখ টাকা ছাড় দিয়েছিলো বিশে। মাঝে মাঝে তার গর্ব হয় বিশের জন্য,একটা এইট পাশ করা ছেলে কিভাবে একটা এম এ না এম এস সি পাশ করা ছেলের চাকরি করিয়ে দিচ্ছে। ইদানিং বিশের কথা শুনতে তার ভীষণ ইচ্ছা করে-তাকে সেদিনও সে বললো,বন্ধু লাইফে রিস্ক না নিলে,সারা জীবন ওই পকেট মেরে খেতে হবে-তারপর একদিন দেখবি গণপিটুনি খেয়ে লাশ হয়ে পড়ে আছিস।
নেশাটা সবে চড়েছে,এমন সময় দরজায় ধাক্কা। পুলিশকে গতকালই হপ্তা দিয়েছে,সামনে ভোট ও নেই..তাই পুলিশের আসার চান্স নেই। টলতে টলতে দরজাটা খুললো সে,সামনে দাড়িয়ে পাড়ার বিরোধী নেতা
-ভাই শুনেছিস তো কাল আমাদের বিশাল মিছিল আছে,যাবি নাকি? পাঁচশ টাকা ক্যাশ, সকালে ডিম রুটি, দুপুরে মাংস ভাত,রাতে বিয়ার-চিলি চিকেন।
-কিন্তু ওটা তো তোমার কোন ধম্মের মিছিল দাদা..আমি তো..!!
নেতা হেসে বললো-এটাই গণতন্ত্র ভাই,মিছিলে সবাই যেতে পারবে..শুধু পোষাক টা আমাদের পড়লেই হবে..ওই কথা রইলো সকাল আটটায় চলে আসবি ওখানেই তুই হলুদ পাঞ্জাবি পেয়ে যাবি।আর বিশে বলছিলো তোর কাছে একটা সিংগিল শুটার আছে,ওটা নিয়ে আসবি..ইউজ করলে টাকা ডবল, আর অন্য কিছু করলে..যাগ্গে টাকার হিসাব পরে করে নেবো। শোন ভাই বড় হবার জন্য রিস্ক নিতে হবে। আর কতদিন এই বাইশ টাকার পাউচ মারবি..!!
(২)
সে রিস্ক নিয়েছিলো..নগদ পাঁচ হাজার টাকা,সঙ্গে বিলাতি মদের বোতল আর মুগরীর রোস্ট আর কি চাই। টিনের ঘরে আজ গুছিয়ে বসেছে সে..এমন সময়ে দরজায় টোকা পড়লো, খুলতেই বিশে সামনে দাড়িয়ে।
-কিরে তুই কার্ফুর মধ্যে এলি কি করে?
-ও সব কার্ফু টার্ফু পাবলিকদের জন্য, শোন কাল আমাদের প্রতিবাদ মিছিলে করছি, তোকে যেতে হবে। তুই শুধু গোঁফ টা নাময়ে ফেল, টুপি, পাঞ্জাবি সকালে যে নিতে আসবে সে তোকে দিয়ে দেবে ।শুনলাম আজকে তুই নাকি হেব্বি পারফর্ম করেছিস, তোর মালটা নিয়ে নিস। টাকা নিয়ে চাপ নিস না…!!
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
সকালে উঠে মায়ের মমতামাখা মুড়ি ও লিকার চা খেতাম। তারপর দাদু বলতেন, এবার পড়তে বোস।…..
রোজকার সূর্য ওঠার মত বেলি ভোরে উঠে দরজায় সামনে জল দেয়,ঝাঁট দেয়, ফুল তোলে। তারপর…..
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট অফিসের চাকরির ইন্টারভিউয়ে জটিল একটি প্রশ্ন করা হলো। প্রশ্নটি হচ্ছে –…..