শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বারান্দায় যে বনসাই রাখা আছে,
তার কাছে আমি যাই না
সুযোগ পেলেই প্রস্তাব দেয় জঙ্গলে চলে যাবে,
মাটির শরীরে খনিজের আয়ুকাল ক্রমশ আসছে কমে…
বৈঠকে গেলে,
অ্যকোরিয়াম তাকায়
মাছেদের দেহ আটকে আটকে, কাঁচের দেওয়ালে ক্রমশ জমছে ব্যাথা
তার কাছে গেলে ইচ্ছা প্রকাশ করে
সমুদ্রে চলে যাবে…
আমার কোথাও যাওয়ার মতন নেই
এদের ইচ্ছে কি করে পূরণ করি!
অ্যাকুয়ারিয়াম, টব এবং আমি
তিনটি মাত্র জীবিত বাস্তুতন্ত্র
ত্রিভূজের মত আছি
সংসার ভেঙে সম্মতি দিই কি করে?
দেওয়াল ঘড়িটা নামাই,
ব্যাটারি বিয়োগে কাঁটাগুলো যায় থেমে…
গাছ আর মাছ দিন ফুরোনোর–হিসেব রাখতে পারে না
তারপর ঘুরে আসি ,
বারান্দা থেকে বৈঠক
টবের মাটিতে সার, মাছেদের জলে খাবার…
দেওয়া হলে বলি,
আমার এখনো সময় হয়নি যাওয়ার
মাছেরা আবার চলে,বনসাই নড়ে ওঠে
আমি স্মিত হেসে মিথ্যে গোপন করি,
তোষকের নীচে হাতঘড়িটার ব্যাটারী লাগানো আছে।
বিবিধ প্রকার বিতর্কিত ও বিচিত্র বাঁক নিয়ে,
বহুকাল হলো হাঁটছি
আমার হাঁটা
যীশুর, কিংবা সক্রেটিসের নয়
কাফকা কিংবা জীবনানন্দ ,
রবীন্দ্রনাথ, টলস্টয়েরও নয়,
কিন্তু ওরাও হাঁটছেন
পাশাপাশি এসে কখনো হাঁটছে লালন,
কখনো বিভূতি-ভূষণ
কখনও বা বনফুল
বহুবার আমি ওদের সঙ্গে হেঁটেছি,
রাস্তা একই
হাঁটার ধরন আলাদা
ওঁরা খালি পায়ে হাঁটছেন…
পায়ের পাতায় রাস্তা হোঁচট খাচ্ছে…
ওঁরা থেমে গেছে, এবার রাস্তা হাঁটছে—
আমি ও আমার একজোড়া জুতো হাঁটছি…
রাস্তা হঠাৎ শেষ ;
ওরা তো দেখছি হাঁটছে তো হাঁটছেই…!
একটু পিছিয়ে বুঝতে পেরেছি আমি
রাস্তা ধরার কোনো এক বাঁকে ছদ্ম চেতনা ছিলো।
ব্যাটারী লাগাই বারবার
তবুও চলে না ঘড়ি
উল্টে পাল্টে দেখি
ধাক্কাও দিই বহুবার
নতুন ব্যাটারী খুলে
আবার নতুন লাগাই
দোকানে দিয়েছি, সারাই করেছে ওরা
সেখানে দেখেছি কাঁটা এগোচ্ছে —
ঘন্টা, মিনিট সেকেন্ড–তিনজনে মিলে হিসেব মিলিয়ে দেয়…
বাড়ি নিয়ে এলে তথৈবচ,
আবার চলে না ঘড়ি!
আচমকা মাঝরাতে অ্যালার্মটা বেজে ওঠে
আধভাঙা ঘুমে দেখি
ঘড়িটা শূন্যে ভাসতে ভাসতে লিখছে…
কারা নাকি ওর কানে কানে বলে গেছে
সময়ের সাথে বদল আনতে হয়…
আগুন— কেন জ্বলে?
আগুন— কারা জ্বালায়?
আগুন —কোথায় লাগে?
আগুন— কিভাবে পোড়ায়?
কি ছিলো আঁচের অতীত?
কি তার বর্তমান?
কি বা হতে পারে অদূর ভবিষ্যত?
আগুন –কিভাবে মরে?
আগুন–কারা নেভায়?
বুঝতে বুঝতে সারা শরীরটা ছাই —
আদম-ইভও উত্তাপ চেয়েছিল…
এবড়োখেবড়ো পাথরও বুঝেছে
সংঘর্ষের সূত্র
তারপর বহু যুগ…
তুমি,আগুন না হয়ে,
জ্বালানিই রয়ে গেলে! — সভ্যতা…
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..