ফ্রেম
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..
সেলাই মেশিনে প্রতিদিন ছিদ্র হয়ে তোমাদের থলিতে জমতে থাকে আমাদের ক্ষত বিক্ষত সতীত্ব।
কু-তীব্র রোদ দহনে কালো দেহ থেকে ঝরতে থাকে যে বিষাক্ত পানি তা দিয়ে তোমাদের গোলা ভরে।
আর তোমাদের আহ্লাদে-রাজস্ব হলো, বিদেশ বিভুঁইয়ে ড্রাম-বদ্ধ আমাদের চাপ চাপ পঁচা দুর্গন্ধ।
অথচ এ সবই তোমাদের পবিত্র হজ্বের জোগান, সাউথ ব্লকের তৃপ্তি, মালয়েশিয়া ও কানাডায় দ্বিতীয় স্ত্রী।
ইতিহাসের মধ্যবিত্ত সুন্দর এখানে অনুপস্থিত। পণ্য প্রতিযোগী মালিক এখানে অনুপস্থিত। কবর খোঁড়ক একদম গনগনে লাল শ্রমিক এখানে অনুপস্থিত।
তবুও প্রস্তুত আছে ‘সময়’ সাইরেন বাজাবার। প্রস্তুত আছে শামুক বাতাশ চিরে বের হবার।
কিন্তু আমি শ্রম, দেখেছি ভবিষ্যত; আমার এসবের কিছুই ভালো লাগে না।
আমি পলি মাটির সাথে ভেসে আসা এক রুপালি হাঁস! অঙ্গে আমার সবুজ চাদর, ডিম পাড়ি সোনার।
আমার কখনো ঘর হয়নি, সন্তান সন্ততি নিয়ে হয়নি পরিবার।
আমার সাথে সকলেই পরকীয়া করেছে! হয়েছি কেপ্ট, হয়নি সংসার।
আমি সব সময়ই ক্রীতদাস থেকেছি! সন্তানেরাও বারবার করেছে বিক্রি, দু’দণ্ড হয়নি অবসর।
এখন আমি শ্রী হনুমানের কেপ্ট! চায় মিস্টার পেন্টাগনও, হাত বাড়িয়েছে আরদ্ধ ড্রাগন।
আমি এখন ক্লান্ত! রক্তাক্ত যোনিপথ নিয়ে ধূসর সবুজে মোড়া ক্ষতবিক্ষত রুপালি হাঁস; তবুও আমি ডিম পাড়ি সোনার।
হায় রুপালি হাঁস! সু-সন্তান জন্মদানে অক্ষম আমায় কেয়ামত অবধি অপেক্ষায় থাকতে হবে, যবে হবে সময় যাবার…
ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া ঋণগ্রস্থ দিশেহারা কৃষকের বাম্পার ফসল আর গার্মেন্টসে প্রতিদিন অপমান নির্যাতন ও সতীত্ব হারানো অসহায় নারী শ্রমিকের অর্জনে বিদেশি মুদ্রা এবং ভিন দেশের মাটিতে শেয়াল কুকুরের মত ঘৃণা মাথায় নিয়ে শরীরের রক্ত পানি করা অর্জনে বৈদেশিক মুদ্রায় তৈরি হয় এ দেশের রাজস্ব…
অথচ যারা তার প্রিয় মাতৃভূমিতে বড় চেয়ার ক্ষমতা পদ-পদবী তো দূরের কথা সামান্য মানবিক মর্যাদাটুকুও পায়না।
অন্যদিকে, সমাজের পরগাছা শ্রেণী কথিত শিক্ষিত উচ্চপদস্থ রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক দলের অশিক্ষিত, মূর্খ, পেশাদার, ভাড়াটে, অনুগত, দালাল কর্মী দ্বারা এদেশের মানুষের কষ্টে অর্জিত অর্থ তহবিল প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে পাচার হচ্ছে বিদেশের মাটিতে…
শুধু তাই নয়, দেশের অভ্যন্তরেও এই কালো টাকার মানুষেরা প্রতিদিন ভেঙে ফেলছে দেশের নীতি-নৈতিকতা, নিয়ম-কানুন, আইনের শাসন ও মূল্যবোধ।
টাকা দিয়েই কিনে ফেলছে রাজনৈতিক দলের বড় পদ, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পুলিশ, প্রশাসনের পদ-পদবী।
মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী ও সৃষ্টিশীল সন্তানেরা বঞ্চিত হচ্ছে প্রাপ্য অবস্থান থেকে।
সমাজের সর্বত্র আজ দূর্জন ও মূর্খদের শাসন চলছে, বড় চেয়ারেও আসিন তারা।
এই ‘বটমলেস বাস্কেট’ (তলাবিহীন ঝুড়ি) কিভাবে পূর্ণ করবে এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষের পবিত্র শ্রম!
পৃথিবী ছিল, গাছও ছিল, ছিলো ফল।
ফলটি কুড়িয়ে ব্যাখ্যা দেয় মানুষ
মাটিতে পড়ার কারণ…
পৃথিবীর টান কেন্দ্রের দিকে- ব’লে
মানুষ হলো বিজ্ঞানী!
টানের জনক নয় যদিও
তবুও মানুষ বিশেষ জ্ঞানী।
যে নিয়মের দাসত্ব মেনে ফলটি পড়ে মাটিতে
ওই নিয়মের কারণ কি-যে
বিজ্ঞানী সে সব না জানে।
পৃথিবী ছিল, গাছও ছিল, গাছে ছিলো ফল।
কোন নিয়মে ঘটে! জিজ্ঞেসে মস্তিষ্ক হয় বিকল।
মানুষ কেবল ব্যাখ্যা করবে কারণের কারণ
তবুও মানুষ হবে কি কখনো আদি কারণের জনক?
মানুষ নাকি স্বাধীন
আছে নাকি তার ইচ্ছার স্বাধীনতা
সে মানবে না প্রকৃতির কানুন…
চেষ্টা হলো অবিরাম
গাছকে জানালো- দেবো না
পুনরায় শুনালো- নেবো না
অবুজ মন জানে না
জীবণের সংজ্ঞা হলো অধীনতা
যখন মৃত্যুর সংজ্ঞা হয় স্বাধীনতা
জগতের সবকিছুই অলৌকিক
এমনকি আমিও!
আমিও আমার ‘কারণ’ নই
আমি এক ইচ্ছা নিরপেক্ষ ‘আমি’!
চিরকাল এই আমি অলৌকিক-ই থাকবো!
লৌকিক মানুষ শুধু ব্যাখ্যা করবে;
খুঁজবে সূত্র, অলৌকিক আমি’র!
আমি আছি যেমন আকাশে মেঘ আছে,
সমুদ্রে পানি আছে।
আমি আছি যেমন আকাশে সূর্য আছে,
আছে পৃথিবী।
আমারও প্রশ্ন আছে-
মেঘের পানিতে সমুদ্র ভরে
না, সমুদ্রের পানিতে মেঘ?
যুক্তিবাদী মন আমার ভাগ হয় দু’ভাবে-
কেহ বলে, মেঘের বৃষ্টিতে সমুদ্র গর্ভবতী হয়।
কেহবা বলে, সমুদ্রের পানি বাষ্প হয়ে মেঘকে করে পোয়াতি।
আমার কাছে যুক্তি অনর্থক!
আমি ঢুকে পড়ি সুন্দর-এ,
যেখানে যুক্তি খেই হারায়!
সুন্দরের গর্ভ ভূমে,
যেখানে আত্মসমর্পণ-ই শুধু প্রবেশ মূল্য!
সুন্দরের কোমল কোলে…
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..
বিজয়ের সব মুহূর্তেই… তার অধিকার! কেন্দ্র হোক আর কেন্দ্রাতিগ বলের আসন; কেউকেউ বোরকায় রমনীয় সঙ্গানুসঙ্গের;…..
আমার প্রথম প্রেম কৃষ্ণচূড়া দ্বিতীয় প্রেম হলো ছাতিম। তুমি তবে আমার কী! তুমি যে আমার…..
এগুতে এগুতে দেখি ইচ্ছের বীজতলা অনাবাদী পড়ে আছে বয়সী প্রজাপতির কাছে কিছুই হয়নি জানা বিহ্বলতার…..