লাইমুন নাহার সীমার কবিতা
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
বিজ্ঞাপন ৪
তার চোখের দৈর্ঘ্য বুঝিনি কোনোদিন
মাসকারার বিজ্ঞাপনে
এঁকেছে পটে ঈশ্বরী কাজলের রঙে চোখ
২
হোর্ডিং দেখায় অনাবৃত নাভিমূল
কতজন কতটা আকুল
জানেনি সে
৩
জানি তো, মাটির ঢিপির মতন বুক
কখনো হইনি উৎসুক
তার
ব্রা’র বিজ্ঞাপনে
৪
চুলও বিক্রি হয় সাথে মুখের আদল
চোখও বিক্রি হয়, অবিক্রিত দুচোখের জল
আমি কিনি গোপনে জমাট নুন
এবং আগুন
৫
সবার আগে বিক্রি হয় যা, হোর্ডিং বলেনি তা
লজ্জার কোনো বিজ্ঞাপন হয় না, না তো শয্যার
রাতের ক্রিম বেচে যারা, জানে তো তারা
গোপন দাম শয্যার এবং লজ্জার
বাজেয়াপ্ত শহর
বাজেয়াপ্ত শহরের জব্দ তালিকায় তুমি নেই
ভালো লাগছে তা ভাবতেই…
শুধু আমি আছি
জব্দ তালিকায় নিস্তব্ধ হবার কাছাকাছি।
পরিত্যক্ত বাসস্টপ, যেখানে দাঁড়ায় না কোনো বাস
সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আমার অভ্যাস…
যদি কোনো বাস এসে যায়
হারাতে পারি পুনর্বার তোমায়।
ছোট গল্পের মতন, শেষ হয়েও যা হয় না শেষ
থেকে যায় স্মৃতি এবং ফেরানোর উন্মেষ…
বাজেয়াপ্ত শহর, জানে জব্দ সময়ের শপথ
তোমার সাথে তালিকার নেই কোনো দ্বৈরথ।
বন এবং মন
বন পুড়ে যায়, সাথে পোড়ে মন
মিমি, ছিলো কি কথা, জ্বলবো একসাথে আজীবন
পুড়ে যায় বন, সাথে মন পোড়ে
মিমি, ছিলো কি কথা, হারাবো দুজনেই অগোচরে
যায় বন পুড়ে, পোড়ে মন সাথে
মিমি, ছিলো কি কথা, পদব্রজে পথ চলা একসাথে
বন পোড়ে, সাথে পুড়ে যায় মন
মিমি, দুজনে আজ ঘুড়ি, ভিন্ন আকাশ আলাদা জীবন
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..