দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
খড়দহের অলোক সওদাগরকে নাও চিনতে পারো।
বিদ্যায়তনের নিষ্ঠাবান কাঠামো থেকে উঠে আসা পুরুষ চরিত্র।
প্রতিদিনের আলো যে বিশ্রাম ধর্মের ভেতর মাতৃদুগ্ধ খুঁজে বেড়ায় সেই অনিয়ন্ত্রিত ভাটিখানায় রাত জাগা নিয়ন শ্রমিক।
তার জন্মকথনের ঠিকুজী কেষ্ঠি ভুলে যায় যে কোন বিধৌতক্ষেত্রের ভেতর এক নীল ধারা থাকে।
তাই মদন ঠুলিদারের কথা অতিরিক্ত উপপাদ্য মনে হলেও
আমরা চিনে নিতে পারি এপাড়া একটি অন্ধ বিদ্যালয় ব্রেল জাতকদের সুতিকাগার।
একজন মুক মানুষের ছবি আঁকতে
দক্ষ অলোক সওদাগর সেই কবে থেকে নিরুদ্দেশ।
তা কী একমাত্র বাঁচার পদ্ধতি বলে
ধরে নেবো।
মদন ধুলিদারকে কেহ মনে রাখবেনা শুধু তার বাজনা থেকে অসংখ্য সওদাগর নাও ভাসায় উজান নক্ষত্রে।
বাতাসের বীজ থেকে জন্ম নেয় অস্পৃশ্য হরিণ
তৃণক্ষেত পাহারা দেয় বাঘের দোসর,
হরিণের গন্ধ মেখে জেগে থাকে অনাগত দিন
জীবনের থেকে শ্বাস চুরি করে চোর।
২.
ধর্মাবতার আমাদের গর্ভাশয়ের আত্মকথা এখানে লিখে রাখা যাবে!
৩.
হাঁসেরা কি পালকদের স্বার্থপরতা শেখায়।
৪.
হস্তান্তরযোগ্য প্রেমিকার নাম ফেসবুক।
৫.
একটি বিড়াল তার ছায়ার কাছে
নতজানু হয়ে জানতে চাইলো
মাছ আর দুধের ছায়ারা কেন তাকে ভয় পায়।
৬.
হে ধর্মাবতার
মদ খেলে তুমি কার?
৭.
ও আলোর ডাক্তার
তোমাকে কি ভাবেই বলি-
সেই সব নির্বাচিত অন্ধকার কথা।
৮.
সব থেকে কঠিন
মহাদুগ্ধের মানচিত্র আঁকা।
৯.
মেঘেরা যদি পরতেথাকে উলটো করে শাড়ি
রাষ্ট্রতাকে ভেট পাঠাচ্ছে হাজত বাসের গাড়ি।
১০.
কন্যা আর পুত্র
এরাই ধর্মসূত্র।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..